মানসিক চাপ থাকলে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন কারণে মানুষ মানসিক সমস্যায় ভোগে। আর এই মানসিক সমস্যার কারণে সৃষ্টি হয় নানারকম শারীরিক জটিলতা। সবার ক্ষেত্রেই যে সমস্যা এক রকম হয় তা কিন্তু নয়। মানসিক চাপ থেকে একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এমন প্রধান কয়েকটি লক্ষণ জেনে নিন।

অতিরিক্ত ঘুমভাব দেখা দেওয়া

মানসিক চাপ বেড়ে গেলে অতিরিক্ত ঘুমভাবের প্রবণতা দেখা দেয়। এটাকে বলা হয়ে থাকে স্ট্রেস-বেসড-ফ্যাটিগ তথা মানসিক চাপ থেকে শারীরিক ক্লান্তি দেওয়া দেওয়া। ২০১৫ সালের অ্যামেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্তত ৩২ শতাংশ মানুষ মানসিক চাপের দরুন ক্লান্তি ও ঘুমভাবের লক্ষণ প্রকাশ করে।

অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ হয়ে ওঠা

মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে বেড়ে যায় বিভিন্ন ধরণের নেতিবাচক অনুভূতিও। রাগ, হতাশা, একাকিত্ব, ভয়- এই সকল ধরণের অনুভূতিগুলো আচ্ছন্ন করে ফেলে মনকে। মনের এই নেতিবাচক অনুভূতি শারীরিকভাবেও প্রভাব ফেলে। যার ফলে বুকের ভেতর থম ধরে থাকা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, শরীর ঘেমে ওঠার মত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে।

আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া

মানসিক চাপযুক্ত কিছু পরিস্থিতিতে ভয় সম্পূর্ণভাবে মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। যার ফলস্বরূপ সাময়িকভাবে কোন কিছু বোঝার অনুভূতি কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়, শরীরে আড়ষ্টভাবে চলে আসে, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় এবং নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। মানসিক বড় ধরণের বিপর্যয়ে শরীরের এমন অবস্থায় চলে যাওয়াকে বলা হয় ডিসোসিয়েশন (Dissociation), যা বাস্তব ঘটনার দরুন বড় ধরণের শারীরিক হুমকিকে বাধাদান করে।

জ্ঞান হারানোর মত বোধ হয়

কলোরাডোর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অ্যারিয়েল শোয়ার্টজ জানান, অতিরিক্ত মানসিক চাপের মুখে অনেকের চোখে ঘোলা দেখা, বমিভাব দেখা দেওয়া, সোজা হয়ে বসে থাকতে কষ্ট হওয়া এবং যেকোন মুহূর্তে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত প্রবণতা দেখা দিতে পারে। বেশি জটিল কোন ক্ষেত্রে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) দেখা দেয়। এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে খিঁচুনির সমস্যাটিও দেখা দিয়ে থাকে। মানসিক চাপ বহন করার ক্ষমতা সকলের এক রকম নয়। মানসিক চাপ থেকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন সময়ে শরীর নিজ থেকে ‘শাট ডাউন’ বা বন্ধ হয়ে যায়, যা থেকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণ প্রকাশ পায়।

শরীরে ব্যথাভাব দেখা দেওয়া

আপনার কি প্রায়শ ঘুম থেকে উঠতেই পুরো শরীরে ব্যথাভাব দেখা দেয়? মনে হয় যেন কয়েক ঘন্টা যাবত অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রম করা হয়েছে, অথচ আদতে তেমন কোন কাজই করা হয়নি! মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, কোমড়ে ব্যথা, পেশীতে ব্যথাভাব দেখা দেওয়ার সমস্যাটিও মানসিক চাপের সাথে জড়িত বলে জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার অ্যাসোসিয়েশন।

   

চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিনি / ছবি: বিং এআই

চিনি / ছবি: বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর প্রথম খাবার খাওয়া হয় ইফতারে। শরবত ছাড়া ইফতার কি কল্পনা করা যায়! সারাদিন রোজা শেষে পুনরুজ্জীবিত হতে শরবত তো লাগবেই। তার উপর সারাদিনের রোজার পর ভরপেট খেয়ে একটু যদি মিষ্টান্ন হয়, তাহলে তো কথাই নেই! তবে এইসব খাবারের যে ‘মিষ্টি’ স্বাদ সৃষ্টিকারী উপাদান, তা হলো চিনি। অধিকাংশ খাবারেই মিষ্টি স্বাদ আনতে সাধারণত চিনি ব্যবহার করা হয়। তবে, চিনি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া নিয়ে থাকে নানারকম শঙ্কা। বিশেষজ্ঞরাও পরামর্শ দের চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলার। তবে যদি একান্ত খেতেই হয়, তবে সেক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে খাওয়া উচিত। জাতীয় খাদ্যগ্রহণ নির্দেশিকা অনুসারে, একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের  প্রতিদিন ২৫ গ্রাম অর্থাৎ ৫ চা চামচের বেশি চিনি খাওয়া ঠিক নয়।      

চিনি শরীরে প্রবেশ করার পর তা ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। তবে, পরিমিত পরিমাণের বেশি চিনি খাওয়া হলে তা আর বিভাজিত হতে পারে না। তাই তা কঠিন আকারেই রয়ে যায়। পরবর্তীতে এই কারণে ডায়বেটিস, ওজন বৃদ্ধি, রক্ত চলাচলে বাধা, স্মৃতিনাশ, দাঁতক্ষয়, ত্বকের সমস্যা- নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এছাড়াও ক্যান্সার, স্থূলতা, লিভার ও হার্ট সমস্যাসহ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও এর অবদান থাকতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে, বাংলাদেশের অসংক্রামক রোগের মধ্যে শতকরা ৬৭ভাগই এসব রোগের কারণে হয়।    

অনেকে মনে করে বাড়িতে থাকা চিনি কমিয়ে খাওয়াই যথেষ্ট। তবে অনেকে অজান্তেই অপরিমিত চিনি খেয়ে নিচ্ছে। ভারী খাবারের পর কোমলপানীয় খেতে ভালোই লাগে। ভাজা-পোড়ার সাথে বা বিভিন্ন খাবার রান্নার সময় ব্যবহার করা হয় সস। জন্মদিনের কেক, নাস্তায় খাওয়া কুকি ও বিস্কুট, ছোটদের জন্য কেনা চকলেট বা ক্যান্ডি- এই সব খাবার চিনিতে পরিপূর্ণ।   

এইসব সমস্যা এড়াতে চিনি সমৃদ্ধ খাবার পুরোপুরি পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। বিশেষ করে বাইরের প্রক্রিয়াজাত করা খাবার খাওয়া উচিত নয়। যেকোনো খাবার কেনার আগে উৎপাদন প্রণালিতে একবার চোথখ বুুলিয়ে নেবেন। বাড়িতে খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু বা গুড়ের ব্যবহারের প্রতি ঝোঁক বাড়াবেন।    

;

পানিশূন্যতায় ফলের রসের বিকল্প



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফলের জুস

ফলের জুস

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করে ক্লান্তি চলে আসে। স্বাভাবিকভাবেই কয়েক প্রহর নির্জলা থাকায় শরীরে পানিশূন্যতা হয়। দিনশেষে ইফতারে তাই উপকারী খাদ্য উপাদান সহ বেশি করে পানীয় গ্রহণ করা উচিত। এ কারণেই ইফতারে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান হলো শরবত। সাধারণত বেল, তরমুজ, বাঙ্গী, আম, পেঁপে ইত্যাদি ফলের শরবত বানানো হয়।  

গরম এবং পানিশূন্যতায় গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ইফতারে বিভিন্ন শরবতের আয়োজন করা হয়। ঠান্ডা এসব শরবত শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে। সতেজতার অনুভব ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন তাজা ফল দিয়ে জুস বানানো হয়। তার সাথে স্বাদ বৃদ্ধি করতে আরও বেশ কিছু উপাদান যোগ করা হয়। তবে ফলের জুস ছাড়াও আরও কিছু পানীয় আছে, যা শরীরের জন্যও উপকারী। পানিশূন্যতা দূর করতে এসব পানীয় হতে পারে জুসের বিকল্প অথবা সহযোগী।

ডাব: শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের বিকল্প হয় না। ডাবের পানি খনিজে পরিপূর্ণ অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম- এর মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ থাকার তৎক্ষণাৎ দুর্বলতা দূর করতে পারে।     

স্যুপ: যারা গরম পানীয় পছন্দ করেন এবং ঠান্ডা বা গলাব্যথার সমস্যায় ভুগছেন তারা স্যুপ বা ব্রথ খেতে পারেন। সবজি বা মাংসের হাড়ের সাহায্যে স্যুপ বানিয়ে খেলে সেসব পানিশূণ্যতা দূর ককরার পাশাপাশি শরীরে আমিষ এবং ভিটামিনও সরবরাহ করে।

সবজির জুস

সবজি জুস: ফলের জুসের একটি ভালো বিকল্প হলো সবজির রস। গাজর, বিটরুট বা শসার মতো সবজির জুস অনেক স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদুও।   

পানিজাতীয় ফল ও সবজি: পানির বিকল্প হতে পারে পানি প্রধান ফল। নাশপাতি, তরমুজ, পেঁপে, আঙ্গুর-ইত্যাদি ফলে অনেক বেশি পরিমাণে পানি থাক। এছাড়া মিষ্টিকুমড়া, শশার মতো সবজিও পানির আধিক্য থাকে। তাই পাানিশূণ্যতা রোধে এই খাদ্যগুলোও সাহায্য করতে পারে।   

দুধ: হাড় শক্ত করার গুণাগুণের জন্য দুধ বেশি পরিচিত। তবে, পানিশূন্যতা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে এই পানীয়। ১ গ্লাস দুধের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগের কাছাকাছি পানি থাকে। তার সাথে আছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজও। ফোটানো দুধ বা দুধজাতীয় খাবার পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।      

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন 

 

;

ওজন কমাতে উপকারী ৫ আয়ুর্বেদিক ভেষজ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রিফলা, ছবি: সংগৃহীত

ত্রিফলা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকাংশ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হচ্ছে বাড়তি মেদ। সেক্ষেত্রে ওজন কমানোর জন্য প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ভেষজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও কার্যকরী। তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন সব ভেষজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

ত্রিফলা

ত্রিফলা হচ্ছে তিনটি ফলের মিশ্রণ। আমলা, হরিতকি এবং বহেরা এই তিনটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি ভিত্তি। ত্রিফলার উপকারিতা পেতে এক চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়া সারারাত কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে পান করুন। স্বাদ এবং কার্যকারিতার জন্য মধু বা লেবুর রস যোগ করতে পারেন।


তুলসি

তুলসি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, স্ট্রেস কমাতে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যা ওজন বৃদ্ধি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তুলসিকে আপনার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তুলসি পাতা দিয়ে চা তৈরি করুন  বা আপনার স্মুদি বা খাবারে তুলসি গুঁড়া যোগ করুন।


 হলুদ

হলুদে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রোপার্টি। হলুদ মশলা ওজন কমাতে ও স্বাস্থ্যের জন্য মূল্যবান। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা প্রদাহ কমিয়ে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং চর্বিকে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। হলুদকে রান্নায় যুক্ত করা যেতে পারে। অথবা ওজন কমানোর সুবিধার জন্য একটি পরিপূরক হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।


মেথি

মেথি  সাধারণত আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহার করা হয় যা হজমে সাহায্য করে। মেথি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ওজন কমানোর জন্য সহায়তা করে।। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা তৃপ্তি বাড়াতে, ক্ষুধা কমাতে এবং চর্বি নিঃসরণে সহায়তা করে। মেথি সারারাত ভিজিয়ে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে বা ওজন কমানোর প্রচেষ্টার জন্য খাবার, স্যুপ বা চায়ে যোগ করা যেতে পারে।


দারুচিনি

দারুচিনি হলো একটি উষ্ণ মশলা যা সাধারণত আয়ুর্বেদিক রন্ধনশৈলীতে এর সুগন্ধযুক্ত গন্ধ এবং ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। যা ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে এবং চিনির লালসা প্রতিরোধ করতে পারে। দারুচিনি খাবার, পানীয়গুলিতে যোগ করা যেতে পারে বা ওজন হ্রাস স্বাস্থ্যের জন্য একটি পরিপূরক হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

ইফতারে মজাদার ক্যাশুনাট সালাদ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালাদ একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। ইফতারে তাজা সবজিতে তৈরি সবজি যেমন পেট ভরতে সাহায্য করে তেমন শরীরে ভিটামিন, খনিজ সহ নানারকম প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। কাজু বাদাম অত্যন্ত উপকারী এক খনিজ খাদ্য। যা নিউট্রেশন এবং উপকারী চর্বিতে পরিপূর্ণ। ক্যাশুনাট সালাদ এমন এক খাদ্য যা’তে পেটও ভরে এবং পুষ্টিও সরবরাহ করে। তাই ঝটপট ইফতারে বানিয়ে ফেলুন মজাদার এই রেসিপিটি।

উপকরণ:
১. কাজু বাদাম- ১ কাপ
২. গাজর- বড় ১ টি
৩. শসা- ১ টি
৪. ঘি- ১ চা চামচ
৫. মেয়োনিজ- ১/২ কাপ
৬. মুরগি – বুকের এক পাশ ( কুচি ১ কাপ)
৭. টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ
৮. টমেটো-১টি
৯. বাঁধাকপি কুচি-১/২ কাপ
১০. রঙিন ক্যাপসিকাম- ছোট ১ টি বা বড় ১/২ টি
১১. তেল- পরিমাণ মতো
১২. লবণ- স্বাদমতো
১৩. চিনি- সামান্য
১৪. হলুদ গুড়া- ১/২ চা চামচ
১৫. মরিচ গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৬. ধনিয়া গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৭.গরম মশলা গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৮. জিরা গুড়া- ১/৪ চা চামচ
১৯. আদা বাটা- ১/৪ চা চামচ
২০. রসুন বাটা- ১/৪ চা চামচ
২১. পেঁয়াজ বাটা- ১ চা চামচ
২২. সয়া সস- ১.৫ চা চামচ
২৩. সুইট চিলি সস- ১ টেবিল চামচ
২৪. লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ
২৫. পুদিনা কুচি-১ টেবিল চামচ
২৬. ধনিয়া পাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ
২৭. কাঁচা মরিচ- স্বাদমতো
২৮. পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ
২৯. ডিম-১টি
৩০. বিট লবণ- স্বাদমতো

কার্যপদ্ধতি

১. মুরগিকে ছোট ছোট করে কেটে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ ছেঁকে রেখে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

২. একটি পাত্রে মুরগির সাথে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া, গরম মশলা গুড়া, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, ১ চা চামচ তেল, সামান্য চিনি এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজে কমপক্ষে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।

৩. এবার টমেটো, ক্যাপসিকাম, গাজর ও শসা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। সবগুলো সবজি মিহি কুচি করে এক সমান আকারে কেটে নিতে হবে। কাটার পর একটি বড় পাত্রে বাঁধাকপি ও অন্যান্য সবজিগুলোকে একত্রিত করে নিতে হবে। সালাদের সবজি কুচি করার পর খালি হাতে ধরা যাবে না।

এরপর থেকে সব কাজ চামচের সাহায্যে করতে হবে।

৪. ফ্রিজ থেকে বের করে সয়া সস এবং একটি ডিম ফেটিয়ে মাংসের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি ফ্রায়িংপ্যানে ৩ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হলে লো টু মিডিয়াম আঁচে একে একে মাংসের টুকরো গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

৫. মাংস তুলে সেই তেলে ঘে ঢেলে দিন। গরম হলে তাতে পরিষ্কার কাজু বাদামগুলো ভেজে নিন। হালকা বাদামি রঙ হলে নামিয়ে নিন।

৬. সবজির বাটিতে কাজু মিশিয়ে দিন। তাতে একে একে মেয়োনিজ, টমেটো সস, সুইট চিলি সস, বিট লবণ, পেঁয়াজ কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একটি বড় চামচ বা স্প্যাচুলা দিয়ে ভালো করে সব কিছু মিশিয়ে নিন।

পরিবশেন করুন আমিষ, খনিজ এবং নিউট্রেশনে ভরা মজাদার ক্যাশুনাট সালাদ।

;