ইশা আম্বানির লেহেঙ্গায় প্রাচীন মূদ্রা-অলঙ্কার আর সংস্কৃত শ্লোক

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইশা আম্বানির এই লেহেঙ্গা উঠে এসেছে আলোচনায়

ইশা আম্বানির এই লেহেঙ্গা উঠে এসেছে আলোচনায়

গত কয়েক মাস ধরে চলছে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট বিয়ের আয়োজন। অবশেষে আজ শুক্রবার মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে বসছে তাদের বিয়ের মূল আসর। তিন দিন ধরে চলবে এ বিয়ের উৎসব। শুভবিবাহ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে তাদের। এরপর ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে শুভ আশীর্বাদ। আর ১৪ জুলাই উৎসব বা রিসেপশন অনুষ্ঠিত হবে।

তার আগে দুটি প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সঙ্গীত ও হলুদের অনুষ্ঠান হয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে আম্বানি পরিবারের সদস্যদের ছবি উঠে আসছে আলোচনায়। বিশেষ করে তাদের সাজ পোশাক নিয়ে চলছে তুমুল চর্চা।

বিজ্ঞাপন
ইশা আম্বানির এই লেহেঙ্গা উঠে এসেছে আলোচনায়

এবার ছোট ভাইয়ের হলুদ অনুষ্ঠানে পরা আম্বানি পরিবারের আদরের কন্যা ইশা আম্বানির ল্যাহেঙ্গা উঠে এসেছে আলোচনায়।

দুদিন আগে অনুষ্ঠিত এই হলুদ অনুষ্ঠানে ইশা বিশেষ এক লেহেঙ্গায় সাজেন। বেশিরভাগ অনুষ্ঠানেই আম্বানি পরিবারের নারীরা জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার মানিষ মালহোত্রার ডিজাইন করা পোশাক পরলেও ইশা এদিন বেছে নিয়েছিলেন তুলনামূলক কম পরিচিত একটি ব্র্যান্ডের লেহেঙ্গা।

বিজ্ঞাপন
ইশা আম্বানির এই লেহেঙ্গা উঠে এসেছে আলোচনায়

তিনি পরেছিলেন দিল্লী ভিন্টেজ কোম্পানি নামের একটি ব্যান্ডের এক্সক্লুসিভ ডিজাইন করা লেহেঙ্গা। এই ব্র্যান্ডের ইন্সটাগ্রাম পেজে ইশার দারুণ ছবিসহ উঠে এসেছে সেই লেহেঙ্গার বর্ননা।

ব্র্যান্ডের সূত্রে জানা যায়, ইশার জন্য এমন একটি পোশাক তৈরি করার আইডিয়া ছিল যা ঐতিহ্যগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে শক্তিশালী। একইসঙ্গে আবেদনের দিক দিয়ে তা হতে হবে খুব আধুনিক। লেহেঙ্গায় নিপুণ কারুকাজের মাধ্যমে উঠে এসেছে গাছের মোটিফ, যার নিচে বিশ্রাম নিচ্ছে ষাড়েরা! একপাশে মন্দির এবং চারদিকে পাখি।

ইশা আম্বানির এই লেহেঙ্গা উঠে এসেছে আলোচনায়

শৈল্পিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, বিভিন্ন সেলাই কৌশলের ও নিখুত জারদোসির কাজ ব্যবহার করে একটি ভিন্টেজ লুক দেয়া হয়েছে লেহেঙ্গায়। সঙ্গে রয়েছে প্রাচীন মুদ্রা এবং অন্যান্য অলঙ্কার দিয়ে করা ডিজাইনর। তবে এই লেহেঙ্গার সবচেয়ে বিশেষত্ব হলো- এতে ‘কর্ম্মণে বাধিকারস্তে, মা ফলেষু কদা চনা’ নামের একটি সংস্কৃত শ্লোক ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ- আপনার কর্ম সম্পাদনের অধিকার আপনার আছে, কিন্তু কর্মের ফল পাওয়ার অধিকারী আপনি নন। পোশাকটি তৈরি করতে একজন মানুষের মোট ৪০০০ ঘন্টা সময় লেগেছে।