চড়া বাজারে সংসারের খরচ বাচানোর সহজ ৭ উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চড়া বাজারে সংসারের খরচ কমাতে পরিকল্পনা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত

চড়া বাজারে সংসারের খরচ কমাতে পরিকল্পনা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের বাজারে আগুন। বাড়ছে গণপরিবহন ভাড়াও। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে মাস শেষে সঞ্চয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। কিন্তু সংসারে খরচ কমানোর তাগিদ সবারই থাকে। কারণ সংসার খরচ যত কমানো যাবে, ততোটুকু সঞ্চয় হবে প্রতি মাসে।

অনেকেই আছেন, যারা মাসে যা উপার্জন করেন; সবটাই সংসারে খরচ করে ফেলেন। আসলে যা উপার্জন করছেন, তার ব্যয় ও সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে যদি ভারসাম্য না তৈরি করতে পারেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে।

barta24

সংসার খরচ কমানোর ৭ উপায়—

কার্ড নয় নগদ টাকা
কেনাকাটার সময় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পরিবর্তে নগদ টাকা ব্যবহার করুন। কারণ কার্ড ব্যবহারের ফলে ঠিক কতটা খরচ হচ্ছে, সে হিসাব রাখা মুশকিল। কারণ কার্ড ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ট্যাক্স বাবদ খুচরা কয়েক টাকা কেট নেওয়া হয়। এ খরচগুলো এড়াতে নগদ টাকা ব্যবহার করুন কেনাকাটায়।

বিদ্যুতের অপচয় কমান
সংসার খরচ অনেকাংশেই বেড়ে যায় ঘরে থাকা ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির কারণে। তাই যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো সরচরাচর ব্যবহার করেন না; সেগুলোর বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ রাখুন। এতে বিদ্যুতের অপচয় কমবে। যখন প্রয়োজন হবে; তখনই সংযোগ চালু করুন।

barta24

পুরোনো জিনিস বেচে সঞ্চয় করুন
অনেক সময় ঘরের বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে অনেক কিছুই পুরোনো হয়ে যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে পুরনো জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা আছে। চাইলে ঘরের অপ্রয়োজনীয় পুরনো জিনিস বিক্রি করে দিন। এতে কিছুটা টাকা-পয়সাও হাতে আসবে।

মূল্যছাড়ের দিকে নজর রাখা
কেনাকাটার সময় বিভিন্ন উপলক্ষ্য বা আয়োজনকে কেন্দ্র করে কিনুন। এতে মূল্যছাড় পাবেন। টানাটানির সংসারে মূল্যছাড়ের সময় কেনাকাটা করলে অনেক সাশ্রয় হয়। কোনো গিফট ভাউচার পেলে সেটাও ব্যবহার করুন।

গেট টুগেদার হোক ঘরে
ঘুরতে যেতে সবারই মন টানে। তাতে খরচ তো হয়ই। তবে ঘুরতে না গেলেও আবার নয়। তবে প্রতি সপ্তাহে ঘোরাঘুরি করে টাকা নষ্ট না করে ঘরেও আয়োজন করতে পারেন স্বল্প খরচের মধ্যে।

barta24

কেনা খাবারে নজর কমান
মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ইচ্ছে হতেই পারে। তবে খরচের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে অযথা খাবার টেস্টের জন্য অর্ডার না করে যেটা খেতে পারবেন, সেটাই খান।

মোবাইল বা টেলিফোন বিল কমান
মোবাইলে মাসিক কোন প্যাকেজ ব্যবহার করলে কম রেটে বেশি কথা বলা যাবে বা কত টাকায় কত মিনিট ও কত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে সেসব বিষয়েও ধারণা রাখুন। এসব ছোট ছোট হিসাবগুলো কষা থাকলে সংসারের খরচ অনেকখানি বাঁচবে। সেইসঙ্গে কোন বিষয় বাবদ বেশি খরচ হচ্ছে; সেটিও মাথায় থাকবে।

ব্রণ দূর করতে ভরসা রাখতে পারেন লালচন্দনে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ত্বকের যত্নে চন্দন কতটা উপকারী, তা বলা বাহুল‍্য। রূপচর্চায় চন্দনের ব‍্যবহার বহুকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। এখনও সেই চল অটুট রয়েছে। গরমে ত্বকে নানারকম সমস‍্যা দেখা দেয়। ব্রণ তার মধ‍্যে অন‍্যতম। গরমের ব্রণর সমস‍্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা পারেন লাল চন্দনে। কীভাবে ব‍্যবহার করবেন?

>> লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মুখে মাখার পর, ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই প্যাক খুব উপকারী।

>> তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ সমস্যা হলে গোলাপ জলের সঙ্গে মধু এবং লাল চন্দনের গুঁড়োর ভাল করে মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে ভাল করে মুখ ধুয়ে এই মিশ্রণ মুখে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

>> স্পর্শকাতর ত্বকে বাজার চলতি কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন না? ১ চামচ লাল চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে আধ কাপ পাকা পেঁপে মিশিয়ে নিন। শুধু মুখে নয়, এই মিশ্রণ সারা শরীরেই মাখতে পারেন।

;

যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন কিডনির সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীরের ভিতরে কোনও অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। বিশেষ করে কিডনিতে সমস্যা তৈরি হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। শুধু পাথর জমা নয়, কিডনিতে আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। সময়ে যদি রোগ ধরা যায়, তা হলে ঠিক আছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠারও সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তো তা হয় না। বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গগুলো এতই মৃদু হয় যে, কিছু ক্ষেত্রে বুঝে ওঠাও সম্ভব হয় না। কিডনি যে সুস্থ নেই, তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেই লক্ষণগুলো কী, তা জানা থাকলে সতর্ক হওয়া সম্ভব।

ঘুম না হওয়া

কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলো দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। হঠাৎই অনিদ্রার সমস্যা হানা দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।

প্রস্রাবের সমস্যা

ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কেবল ডায়াবেটিসের নয়, কিডনির অসুস্থতার নেপথ্য কারণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয়, তা হলেও কিন্তু বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।

পা ফুলে যাওয়া

কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে। কারণ পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা ফেলে রাখা ঠিক নয়। শরীরের ভিতরে মারাত্মক কিছু না ঘটলে সাধারণত এমন লক্ষণ ফুটে ওঠে না। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

ত্বকের সমস্যা

কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরোতে পারে না। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘায়ের মতো সমস্যা হয়। ত্বকের এই সব সমস্যা কিডনির অসুখের লক্ষণ হতে পারে।

জ্বর

ঠান্ডা লাগেনি, অথচ কোনও কারণ ছাড়াই জ্বর আসছে বার বার। সাবধান, কিডনির সমস্যার কারণেও কিন্তু হতে পারে এমন। ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বিষয়টি নজরে রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গেও পরামর্শ করুন বিষয়টি নিয়ে।

;

স্তনে ব্যথা মানেই ক্যান্সার নয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্তনের ব্যথা মানেই তা নিয়ে গুরুতর ভাবনার বিষয় রয়েছে এমনটা নয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। স্তনের তীব্র ব্যথার পাশাপাশি আর কোন কোন উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?

>> বুকে চাপ অনুভূত হলে, বুকের ভিতরটা ভারী লাগলে।

>> স্তনের ব্যথা যদি ঘাড়, গলা, বাহু কিংবা চোয়ালে ছড়িয়ে যায়।

>> মাথা ঘোরার পাশাপাশি হঠাৎ ঘাম।

>> শ্বাস নিতে সমস্যা।

>> হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।

স্তনের ব্যথার পাশাপাশি উপরের উপসর্গগুলো হৃদরোগ, স্ট্রোক কিংবা ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ হতে পারে।

যদি ঋতুচক্রে গন্ডগোলের জন্য স্তনে ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে কেবল ঋতুস্রাবের আগে, ঋতুস্রাব চলাকালীন কিংবা ঋতুস্রাবের পরে পরেই হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতা অসহনীয় হয় না। এ ক্ষেত্রে দুটি স্তনেই ব্যথা হয়। স্তনে ফোলা ভাবও দেখা যায় তবে কয়েক দিনের জন্য। তবে যদি স্তনে ব্যথার সঙ্গে ঋতুচক্রের সম্পর্ক না থাকে, সে ক্ষেত্রে মাসের যে কোনও সময়ই ব্যথা শুরু হয়। এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকে। গোটা স্তনে নয়, স্তনের কোনও নির্দিষ্ট অংশে ব্যথা হয়। ঋতুবন্ধ হয়ে গেলে যদি স্তনে ব্যথা হয়, তা হলে সতর্ক হতে হবে। এছাড়া যাদের স্তনের আকার বড় হয়, তাদেরও অনেক সময় স্তনে ব্যথা হতে পারে।

;

গলা থেকে মাছের কাঁটা নামানোর ঘরোয়া টোটকা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাছে ভাতে বাঙালি, কথাতেই আছে। বাঙালি মাছপ্রিয় বলেই খাওয়ার সময় গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু কাঁটার ভয়ে মাছের স্বাদ থেকে দূরে থাকবেন, তা তো হতে পারে না। বরং কাঁটা যদি গলায় ঢুকেও যায়, ঘরোয়া উপায়ে তা বার করার সহজ টোটকাগুলো জেনে রাখুন। কাজে লাগবে।

শুকনো ভাত

কিছুটা শুকনো ভাত সামান্য চটকে নিয়ে দলা পাকিয়ে গিলে ফেলুন। এক বারে না হলে বেশ কয়েক বার চেষ্টা করুন।

পাকা কলা

একটি পাকা কলা একটু বেশি করে নিয়ে চিবিয়ে একবারে গিলে নিন। এতেও উপকার পাবেন।

মার্শমেলো

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও মাছের কাঁটা দূর করতে এই ফিকির বেশ উপকারী। একটি বড় মার্শমেলো নিয়ে মুখে কিছুক্ষণ রেখে লালা দিয়ে সামান্য নরম করে নিন। তারপর একবারে গিলে ফেলুন। মার্শমেলোর চটচটে চিনি কাঁটাও আটকে নিয়ে পেটে পৌঁছে দেবে।

ভিনিগার

ভিনিগারে মিশিয়ে নিন পানি। এ বার এই মিশ্রণ অল্প অল্প করে খেতে শুরু করলেই এক সময়ে নেমে যাবে কাঁটা। ভিনিগারের অম্লতা ও কাঁটা নরম করে দেওয়ার ক্ষমতাই এর জন্য দায়ী।

;