ঘিয়ে যত উপশম
উপমহাদেশের অন্যতম মূল্যবান খাবার ঘি। মাখন বা ঘি দীর্ঘদিন ধরে তার নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য, স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যের সুবিধার জন্য পরিচিত। বহুমুখী উপাদানটির বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ত্বক এবং চুলের সমস্যা থেকে শুরু করে হজম সমস্যা এবং আরও অনেক সমস্যার সমাধানে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার।
হজমের জন্য
ডাক্তার বসন্ত লাডের ‘দ্য কমপ্লিট বুক অফ হোম রেমিডিজ’ বই অনুসারে, ঘুমানোর সময় এক কাপ গরম দুধে এক বা দুই চামচ ঘি খাওয়া ভালো। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূরে রাখতে বেশ কার্যকরী। গবেষণা অনুসারে, ঘি হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং শোষণ ও আত্তীকরণকে উন্নত করে।
ঠান্ডার সমস্যায়
ঠান্ডা এবং জর্জরিত নাক বেশ বিরক্তিকর। ক্রমাগত হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, স্বাদ ইন্দ্রিয় বাধাগ্রস্ত হয়ে মাথাব্যাথাও শুরু হয়। কয়েক ফোটা উষ্ণ খাঁটি ঘি নাকের মধ্যে নিলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। ঘি রোগের সংক্রমণ দূর রাখে। তবে, ঘি হালকা গরম তাপমাত্রায় গরম করে ব্যাবহার করুন।
পেটের মেদ কমাতে
ঘিতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা ফ্যাটকে একত্রিত করতে এবং ফ্যাট কোষগুলোকে আকারে সংকুচিত করতে সহায়তা করে। ওমেগা -৩ এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি শরীরের মেদ ঝরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের
ডায়াবেটিস থাকলে উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাবার বিবেচনা করে ভাত এবং গমের রোট খাওয়া আপনার পক্ষে স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। চা পাতি, পরাঠা ও সাদা চালের উপর ঘি ছড়িয়ে দেওয়া গ্লাইসেমিক আরও আর্দ্র ও হজম করে তুলতে সহায়তা করে।
ত্বকের জন্য
দীর্ঘদিন ধরে ঘি বিভিন্ন সৌন্দর্য চর্চার এক অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। ঘিয়ে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো এমন একটি পুষ্টিকর এজেন্ট হিসাবে কাজ করে যা আপনার নিস্তেজ ত্বকে আদ্রতা ফিরিয়ে আসতে সহায়তা করে। ঘি সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী। নরম এবং কোমল ত্বক পেতে নিয়মিত ঘি ব্যবহার করা উচিত।
শুকনো ঠোঁটের জন্য
শরীরের অন্যতম অবহেলিত অঙ্গ আমাদের ঠোঁট। দূষণ, সূর্যরশ্মি, ধুলাবালি বা ধূমপানের সংস্পর্শের কারণে ঠোঁট সাধারণত তাদের প্রাকৃতিক গোলাপী রঙ থেকে হারিয়ে যায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুটা ঘি গরম করে কিছুটা আপনার ঠোঁটে লাগান। ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনি আপনার ঠোঁটে শুকনো ফ্লেক্স দেখতে পাবেন। এই শুকনো ফ্লাকগুলো স্ক্রাব করুন। নরম এবং কোমল ঠোঁট পাওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি