শীতে পান করুন গুড়ের চা
শীতকালে চা পান বেড়ে যায়। কিন্তু অধিক পরিমাণে চা পান অস্বাস্থ্যকর। ক্যাফিন ও চিনির কারণে অধিক পরিমাণে চা পান করলে শরীরের নানা ক্ষতি হতে পারে। তবে চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যোপযোগী হয়ে ওঠে। আবার নানা রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে গুড়। আবার গুড় শরীরের পক্ষে গরম, তাই শীতকালে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
জেনে নিন গুড়ের চা পানের উপকারিতা-
১. গুড়ের চা পান করলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে। পাশাপাশি বুক জ্বালার সমস্যাও কমে। কারণ গুড়ে কৃত্রিম সুইটনার কম থাকে। চিনির তুলনায় গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। তাই শীতকালে গুড়ের চা পান করা উপকারী।
২. গুড় প্রাকৃতিকভাবে গরম উপাদান। এটি শরীর যেমন গরম রাখে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। শীতের সময় গুড়ের চা পান করলে সর্দি ও কফ থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। গুড়ের চায়ে আদা, গোলমরিচ ও তুলসি পাতা দিয়ে পান করুন এত আরও বেশি উপকার পাবেন।
৩. বার বার ক্লান্তি অনুভব করলে গুড়ের চা পান করুন, এর ফলে ক্লান্তি দূর হবে।
৪. গুড়ের চা ভালো ডিটক্সের কাজ করে। যে ব্যক্তিদের গলা ও ফুসফুসে বার বার সংক্রমণ হয় তারা এই চা পান করলে উপকার পেতে পারেন।
৫. মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার সমস্যা থাকলে গরুর দুধে দিয়ে গুড়ের চা মিশিয়ে পান করুন, তা হলে স্বস্তি পাবেন।
৬. রক্তস্বল্পতা থাকলে গুড় খাওয়া বা এর চা বানিয়ে পান করুন। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে।
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে গুড়ের চা।
৮. পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে গুড়ের চা পান করতে পারেন। এর ফলে ব্যথা কম হয়।
৯. পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে গুড়ের চা। এছাড়াও ফ্যাট কম করতে সাহায্য করে। এটি ওজন কম করে। চিনির তুলনায় গুড়ে ক্যালোরি কম থাকে, এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১০. গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। এ ছাড়াও গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়।