ওটস কেন খাবেন?
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ওটস বহুল পরিচিত। এটা ‘কমপ্লিট মিল’ বা ওটমিল বলেও পরিচিত। ওটস গাছের দানা, লতাপাতা, কাণ্ড – সবকিছুই রোগ সারাতে কাজে লাগে। এ কারণেই জার্মানি ২০১৭ সালের শ্রেষ্ঠ ভেষজ উদ্ভিদ ঘোষণা করেছে ওটসকে।
চিকিৎসকদের মতে, ওটসে প্রচুর ফাইবার এবং অ্যাভিন্যানথ্রামাইড থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। অ্যাভিন্যানথ্রামাইড ধমনিতে প্রদাহ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন যদি ওটমিল খান তবে কী কী উপকার পাবেন জেনে নিন।
ওজন কমাতে
যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য ওটস খুবই ভাল খাবার। এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ওটস অনেক কার্যকরি। বি-গ্লুক্যান নামে একটি যৌগ ওটমিলে থাকে যা কোলেসিসটোকাইনিন হরমোন বৃদ্ধি করে এবং ক্ষুধা কমাতে পারে।
রক্তচাপ কমায়
ওটস রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য ঔষধ হিসাবে উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাদ্যটিই কার্যকর।
ডায়াবেটিস ঠিক রাখে
ওটমিলে থাকা উচ্চ ফাইবারের কারণে ডায়াবেটিস থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পাওয়া যায়। জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
কোলেস্টেরল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
প্রতিদিন মাত্র ১০ গ্রাম ওটস কোলেস্টেরল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১০% কমিয়ে দেয়। এটি নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা ধমনিতে ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাধা দেয়। পুষ্টি ও ক্যান্সারে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ওটসের অ্যাভিন্যানথ্রামাইড কোলন ক্যান্সারের কোষও হ্রাস করে।