কফি পানে লিভার ডিজিজের ৪৯ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কফি পান করা নিয়ে অনেকের অনীহা। কেউ কেউ বলে থাকেন অতিরিক্ত কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে সেই তথ্য উড়িয়ে দিয়ে কফি পানে জটিল রোগের নিরাময় ও মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসের সুখবর জানিয়েছেন গবেষকরা।

বিএমসি পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যানুযায়ী—দিনে ৩-৪ কাপ পর্যন্ত ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করা লিভারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে দীর্ঘদিন লিভারের রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। খবর সিএনএন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন সোমবার (২২ জুন) ওই জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নিয়মিত কফি পানকারীদের দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি

গবেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত কফি পানকারীদের দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি এবং ক্রনিক বা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনাও ২০ শতাংশ কম। আর দীর্ঘস্থায়ী লিভারের জটিলতায় মৃত্যুঝুঁকিও ৪৯ শতাংশ কম।

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদের লেখক ও গবেষক ড. অলিভার কেনেডির মতে, ‘কফি সহজগম্য পানীয়। আমরা গবেষণার তথ্য থেকে যেটা পেয়েছি, তা হলো—এটি দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগের সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দিতে পারে।’

এ গবেষণায় যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কফি পানের বিষয়টি নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেন। এরপরে প্রায় এক যুগ ধরে তাদের অনুসরণ করা হয়।

যারা ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করেছিলেন, তাদের গ্রুপে সর্বাধিক উপকার দেখা গেছে। তাৎক্ষণিক কফি পানকারীরাও কিছু সুবিধা দেখেছিলেন। গ্রাউন্ড কফিতে উচ্চমাত্রার কাহেওয়েল এবং ক্যাফেস্টল রয়েছে। কফি বিনে দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাওয়া গেছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

কফি থেকে স্বাস্থ্যে সুবিধা খুঁজে পাওয়া এটি প্রথম সমীক্ষা নয়। গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে এক বা একাধিক কাপ ব্ল্যাক কফি, ক্যাফিনেটেড কফি পান করা হার্টের দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি হ্রাস করে।

টাইপ-২ ডায়বেটিস, পার্কিনসন ডিজিজ, প্রোস্টেট ক্যান্সার, আলঝেইমারস, স্কলেরোসিস, মেলানোমা, অন্যান্য ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং করোনারি আর্টারি ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমায় কফি। কেনেডি দ্বারা পূর্বের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কফি পান করলে লিভারের ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হেপাটোসেলুলার ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

বাড়ছে লিভার ক্যান্সার

কয়েক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সার বাড়ছে। ২০১৮ সালে করা একটি সমীক্ষায় বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সার ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, লিভার ক্যান্সারের হার ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনগুণ বেড়েছে। মৃত্যুর হার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।

বিশ্ব ক্যান্সার গবেষণা তহবিলের তথ্যানুযায়ী, লিভার ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ সাধারণ ক্যান্সার। কম উন্নত দেশগুলোতে, বিশেষত এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এ ক্যান্সারে মৃত্যুহার বেশি। কারণ এর কোনো প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে না।

লিভারের রোগের ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— মদপান, স্থুলতা, ডায়াবেটিস, ধূমপান, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমণ। যা লিভারের কোষগুলোতে অতিরিক্ত ফ্যাট তৈরি করে।

আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, নন অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ—অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল বা উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড।

কফি পানে সাবধানতা

বেশিরভাগ গবেষণা ব্ল্যাক কফি পান করার ওপর করা হয়। তবে অনেকে দুধ, চিনি, নন-ড্রেইরি ক্রিমযুক্ত কফি পান করেন, যা বেশি ক্যালরি, চিনি এবং ফ্যাট যুক্ত। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে দিয়েছে, দুধ-চিনির আধিক্য থাকা কফি হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ বিপজ্জনক হতে পারে। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ৪ কাপের বেশি কফি পান করলে, অল্প ওজনের বাচ্চা, অকাল প্রসব এবং স্থায়ী জন্মগত ত্রুটি দেখা যায়।

বিগত গবেষণাগুলোতে বলা হয়েছে, ঘুমের সমস্যা বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েটে ক্যাফিন যুক্ত করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কফি পানের এই সুবিধাগুলো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স অনুসারে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের ক্যাফিনসহ কোলা, কফি, এনার্জি ড্রিংকস বা অন্যান্য পানীয় পান করা উচিত নয়।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;