শীতকালে শরীরকে পানি শূন্যতার হাত থেকে মুক্ত রাখতে করণীয়

  • সৈয়দা আফসারা তাসনীম, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস গরম পানি পান করা অত্যন্ত উপকারি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস গরম পানি পান করা অত্যন্ত উপকারি।

শীত পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ আমাদের সবার কাছে শীত বয়ে আনে একটি উষ্ণ আমেজ। এককাপ গরম চা আর সকালের মিস্টি রোদ ভালো লাগার যেন এক অন্য অনুভূতি। শীতে আমাদের জীবন যাপন ও খাবারেও অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায়। বিভিন্ন পিঠে পুলি, বৈচিত্রময় শাক-সবজি ও ফলমুলের সমাহার ঘটে।

কিন্তু এতকিছুর মাঝে কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল পানি শূন্যতা তৈরি হওয়া। শীতকালে ঠাণ্ডা থাকার কারণে আমাদের পানির পিপাসা অনুভূত হয় না তেমন। তাই পানি কম খাওয়া পড়ে। যা আমাদের শরীর কে পানি শূন্য করে তোলে।এছাড়া এ সময় পরিবেশ থাকে রুক্ষ। বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় খুব দ্রুত পানি শোষণ করে নেয়। তাই আমাদের শরীরে যে অংশ বের হয়ে থাকে ওইসব অংশ খুব দ্রুত শুস্ক হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো হতে পারে এমন

শুস্ক মুখ বা ত্বক, ক্লান্তি, প্রস্রাবের হার বৃদ্ধি বা হ্রাস (স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গাঢ় রঙ সহ), মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা, গুরুতর পানিশূন্যতার ফলে সামান্য থেকে প্রস্রাব না হওয়া, চরম তৃষ্ণা, ডুবে যাওয়া চোখ, কুঁচকে যাওয়া/শুস্ক ত্বক, নিম্ন রক্তচাপ, দ্রুত হৃদস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, জ্বর এবং প্রলাপ, ঠোঁট, পায়ের গোড়ালি, হাতের কনুই রুক্ষ হয়ে যায়।

যেভাবে হতে পারে সমাধান:

বিজ্ঞাপন

শরীরের উন্মুক্ত অংশে ঘন ঘন ভ্যাসলিন বা লোশন লাগাতে হবে ভালো করে। এ ছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস গরম পানি পান করা অত্যন্ত উপকারি। এ সময় আপনার গ্লাসে এক টুকরো লেবু বা এক চিমটি সেল্টিক সামুদ্রিক লবণ যোগ করতে পারেন।

দিনের বেলা আপনার তরল খাদ্যগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারেন। প্রথম নিয়ম হল, সারা রাত ঘুমানোর পর শরীরের পানি শূন্যতা দূর করা করা। তাই ঘুম থেকে উঠে অন্য কিছুর আগে পানি তারপরে কফি, সবুজ বা ভেষজ চা বা টিউমেরিক ল্যাটেসও উপভোগ করা। আরেকটি বিকল্প হল কেবল উষ্ণ পানি। নারকেল পানিও পান করতে পারেন জলের বিকল্প হিসেবে।

হাড়ের ঝোল দিয়ে স্যুপ তৈরি করুন – আপনি আপনার পুষ্টি (প্রচুর শাকসবজি) কমাতে পারবেন এবং একই সাথে আপনার হাইড্রেশন যোগ করতে পারবেন। এমন পোশাক পরুন, যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

কৃত্রিম উপায়ে ঘর গরম করার চেয়ে ফ্রেশ বাতাস উপভোগ করুন।

মূল কথা হল, শরীরের পানির সমতা বজায় রাখতে বেশি বেশি পানি পান করতে বলা হয়ে থাকে। আরও যেমন- বিভিন্ন লিকুইড খাবার, ফলের শরবত, জুস, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে বলা হয়ে থাকে। এইসব শরীরকে হাইড্রেট রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন অন্যান্য খাদ্য উপাদানের অভাবও পূরণ করে থাকে। শীতকালে বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দেয় এবং এইসব রোগ থেকে মুক্ত রাখতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।