ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ঝিমুনি কাটিয়ে ওঠার উপায়
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। স্কুল কলেজের পাশাপাশি অফিসগুলোতেও এখন চালু করেছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে অফিসের কার্যক্রম। ফলে অফিসের কাজকর্ম ঘড়ে থেকেই করতে হবে অনেককে।
কিন্তু এই শীতে ঘড়ে বসে কাজের মাঝেই একটা আচ্ছন্ন-ভাব চলে আসা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু না হলেও বিরক্তিকর বটে। কাজের মাঝে ঘুম ঘুম ভাব এর কারণে কাজ শেষ করতে প্রয়োজনের বেশি সময় লেগে যায়। ফলে সহ্য করতে হতে পারে বসের রাগ।
কিভাবে মিলবে এই ঝিমুনি ভাব থেকে মুক্তি? অনুসরন করুন সিম্পল কিছু টিপস, তাতেই আচ্ছন্ন ভাব কাটিয়ে আপনি হয়ে উঠবেন চাঙ্গা ও চনমনে।
একটানা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকবেন না
সকাল থেকে এক ভাবে ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করলে একটা ক্লান্তি ভাব চলে আসাটাই স্বাভাবিক। ফলাফল ঘুম ঘুম ভাব। হারাতে থাকে কাজ করার উদ্যেমও। তাই টানা কাজ না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন, পায়চারি করুন। বাসার মানুষের সঙ্গে অল্পস্বল্প গল্প করুন। আবার কাজে বসুন।
আলো বাতাস এমন জায়গায় কাজে বসুন
অফিসের কাজের পরিবেশ আর ঘড়ে বসে কাজের পরিবেশে রাতদিন তফাত থাকে। শীতকালে অন্ধকারে এমনিতেই বেশি ঘুম ঘুম ভাব আসে। তাই চেষ্টা করুন আলো আসে এমন জায়গায় বসে কাজ করার। এতে আপনি কাজে আনন্দ পাবেন উৎসাহও আসবে আচ্ছন্নতাও কেটে যাবে।
দুপুরের ক্লান্তিভাব দুর করতে গভীর শ্বাস নিন
শীতকালে দুপুরবেলা যেন আরও বেশি করে ঘুম পায়। অথচ অফিস চলছে ঘুমালে চলবে না। এই সময় চোখ বন্ধ করুন বড় করে শ্বাস নিন এতে মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছে ঘুম ঘুম ভাব কাটিয়ে মন ও শরীর তরতাজা হয়ে উঠবে।
চা-কফি
কাজ ফেলে বারবার ওঠার চেয়ে ফ্লাস্ক ভর্তি করে চা নিয়ে বসুন। বা একফাকে একমগ কফি বানিয়ে নিন। ঘুম পেলেই খেয়ে নিন। ভাল লাগবে।
চোখে পানির ঝাপটা
ছোটবেলা থেকে ঘুম কাটানোর একটা মোক্ষম উপায় চোখে মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া। এটা আসলেও কার্যকর। এক নিমেষে দূর করে আচ্ছনতা। আর ঘুম তাড়ানো ছাড়াও এক ভাবে কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখেও তার প্রভাব পড়ে পানির ঝাপটায় চোখে মিলবে আরামও।