ওমিক্রনের প্রার্দুভাবে গর্ভবতীদের জ্বর নিয়ে বাড়তি সতর্কতা ও পরামর্শ

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এ সময়ে অন্য সবার চেয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে সন্তানসম্ভবা নারীদের।

এ সময়ে অন্য সবার চেয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে সন্তানসম্ভবা নারীদের।

শীতকাল মানেই ঘরে ঘরে শুরু হয় সর্দি-জ্বর, হাঁচি-কাশি। যা সাধারণ চিকিৎসায় মেলে মুক্তি। তবে প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছে করোনাভাইরাস! সামান্য জ্বর বা কাঁশিতে ঘরে ঘরে এখন আতঙ্ক! এ সময়ে অন্য সবার চেয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে সন্তানসম্ভবা নারীদের।

বেশি বেশি পানি পান করা

বিজ্ঞাপন

জ্বর হলেই সন্তানসম্ভবা নারীদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়। তাই প্রচুর পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। ওআরএস যুক্ত পানি ছাড়াও বারবার অল্প অল্প করে সাধারণ পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে কোমল জুস খাওয়া উপকারী।

জ্বর হলেই সন্তানসম্ভবা নারীদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়।

ওষুধ খাওয়ায় সতর্কতা

বিজ্ঞাপন

সন্তানসম্ভবা নারীদের জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনও ওষুধ খাওয়া চলবে না। প্রয়োজন বুঝে গর্ভবতীদের ব্লাড থিনার দেওয়া হয়। গর্ভবতীকে প্যারাসিটামল দেয়ার পরেও জ্বর না কমলে তৃতীয় দিনে রক্ত পরীক্ষা করা আবশ্যক। জ্বর হলে করোনার ভয়ে নিজে থেকে ওষুধ খেতে যাবেন না। বরং টেলিফোনে দ্রুত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে যদি জ্বরের সঙ্গে বমি হয়, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে গর্ভবতীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।

স্যালাইন দেওয়া

এমনিতেই জ্বরের জন্য শরীরে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তার সঙ্গে বমি সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়ে মা ও গর্ভস্থ শিশু; দু’জনেরই জীবন বিপন্ন হতে পারে। ডিহাইড্রেশন আটকানোর একমাত্র উপায় স্যালাইন দেওয়া। তাই বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ঝুঁকি নেওয়া অনুচিত।