রাতে মুখ ধুয়ে ঘুমানোর উপকারিতা

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সারাদিনে বেশ কয়েকবার মুখ ধোয়া হলেও, ঘুমানোর আগে আলাদাভাবে মুখ ধুয়ে ঘুমানোর প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন। পুরো দিনের ধকল শেষে রাতে শরীরের মত আমাদের ত্বকও ক্লান্তি দূর করতে বিশ্রাম নেয়। এছাড়াও অন্যান্য যে সকল উপকারিতা পেতে প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ধোয়া প্রয়োজন তা জেনে রাখুন।

ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে

বিজ্ঞাপন

প্রতিনিয়ত আমাদের ত্বক থেকে মরা চামড়া উৎপন্ন হচ্ছে। সেই সাথে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সিবাম নিঃসৃত হচ্ছে ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রাখার জন্য। এছাড়া বাইরের ধুলাযুক্ত বাতাস তো আছেই। সবকিছু মিলিয়ে সারাদিনে ত্বকের উপরে একটি প্রলেপের সৃষ্টি হয়। যা খালি চোখে দেখা না গেলেও ত্বকে উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং ত্বকের লোমকূপকে বন্ধ করে ফেলে। যা থেকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাগুলো দেখা যায়। রাতে ভালো ক্লিনজারের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে নিলে এমন কোন ঝুঁকি থাকে না।

চোখের পাপড়িকে সুরক্ষিত রাখে

বিজ্ঞাপন

মেকআপ পণ্য ব্যবহার না করলেও অনেকেই নিয়মিত মাশকারা ব্যবহার করেন। অনেক সময় বেখেয়ালে বা আলসেমির ফলে মাশকারা তোলা না হলে পরদিন সকালে দেখা যায় চোখের পাপড়িসহ মাশকারা উঠে আসছে বা গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে। রাতে ভালোভাবে পুরো মুখ ধুয়ে নিলে চোখ ও চোখের পাপড়ির মাশকারাও পরিষ্কার হয়ে যায়। এতে করে চোখের পাপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

ত্বকের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে

ঘুমের ভেতর শরীর যেমন বিশ্রাম নেয়, তেমনিভাবে ত্বকও বিশ্রাম করে এবং এ সময়ে সে সারাদিনের ধকল কাটিয়ে নিতে কাজ করে। যাকে বলা হচ্ছে ত্বকের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রক্রিয়া (Rejuvenation Process). এ কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর ত্বককে খুব ফ্রেশ বলে মনে হয়। কিন্তু ঘুমানোর আগে যদি সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করা না হয়, সে নিজ থেকে কাজ করার সুযোগ পাবে না। এতে করে ত্বকের উপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে যায়। মেকআপ ব্যবহার করা হোক বা না হোক, ঘুমানোর আগে অবশ্যই মনে করে ভালো ক্লিনজারের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে।

বজায় রাখবে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা

সারাদিনের ঘাম, ময়লা ও ময়েশ্চারাইজারের অবশিষ্টাংশকে ত্বক থেকে দূর করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ধুয়ে নেওয়ার ফলে, ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থাকে ফিরে পায়। এতে করে ত্বক নিজ থেকে তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও কোমলতাকে ধরে রাখার জন্য ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম নিঃসৃত করে। যা ত্বকের সুস্থতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।