ফুলকপির রেজালা
শীতকাল মানেই মজার মজার সব মৌসুমি সবজির বাহার। এর মধ্যে অন্যতম হরো ফুলকপি। যিনি সবজি খেতে পছন্দ করেন না একেবারেই, তিনিও ফুলকপির রান্না আগ্রহ নিয়ে খান। আর সেই ফুলকপি দিয়ে রেজালা তৈরি করা হলে কেমন হয় বলুন তো! সাধারণ ভাজি বা মাছ-ফুলকপির ঝোলের পরিবর্তে একেবারেই নতুন ঘরানার এই পদটি খাবারে আনবে বৈচিত্র।
ফুলকপির রেজালা তৈরিতে যা লাগবে-
১. মাঝারি আকৃতির একটি ফুলকপি।
২. দুইটি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজের পেস্ট।
৩. দুই টেবিল চামচ আদা-রসুনের পেস্ট।
৪. দুই টেবিল চামচ পোস্তদানা ও ছয়টি কাজুবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখা।
৫. তিন টেবিল চামচ টকদই।
৬. একটি তেজপাতা, একটি শুকনা মরিচ, একটি ছোট দারুচিনি, দুইটি এলাচ ও দুইটি লবঙ্গ।
৭. এক চা চামচ মরিচ গুঁড়া, এক টেবিল চামচ জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া।
৮. দুই ফোঁটা গোলাপজল।
৯. ১/৪ কাপ দুধ।
১০. ১/৪ কাপ গরম পানি।
১১. এক চা চামচ গরম মসলা।
১২. এক টেবিল চামচ ঘি।
১৩. তিন টেবিল চামচ তেল।
১৪. স্বাদমতো লবণ ও চিনি।
১৫. আধা কাপ সিদ্ধ মটরশুঁটি (ঐচ্ছিক)।
ফুলকপির রেজালা যেভাবে তৈরি করতে হবে-
১. ভিজিয়ে রাখা পোস্তদানা ও কাজুবাদাম ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। ফুলকপি ছোট টুকরা করে লবণ মাখাতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে এতে ফুলকপির টুকরোগুলো মিনিট পাঁচেক ভেজে তুলে নিতে হবে।
৩. কড়াইতে থেকে যাওয়া তেলে তেজপাতা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে।
৪. এবারে এতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। দুই মিনিট নেড়ে এতে পোস্তদানা ও কাজুবাদাম বাটা দিয়ে নেড়ে নিতে হবে।
৫. চুলার জ্বাল কমিয়ে এই মিশ্রণে দই দিয়ে পাঁচ মিনিট নেড়ে স্বাদমতো লবণ, চিনি, মরিচ গুঁড়া ও জিরা-ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে মিনিট দুই নাড়তে হবে।
৬. এবারে এতে আগে থেকে ভেজে রাখা ফুলকপিগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলা মেশাতে হবে ফুলকপির সাথে। মসলা মাখামাখা হলে এতে গরম পানি ও দুধ দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখতে হবে দশ মিনিটের জন্য।
৭. ঝোল ফুটে আসলে এতে সিদ্ধ করা মটরশুঁটি, গরম মসলা, গোলাপজল ও ঘি ছিটিয়ে দিয়ে চামচের সাহায্যে ধীরে মেশাতে হবে।
এরপর চুলা বন্ধ করে পাত্রের মুখ ঢেকে রাখতে হবে বিশ মিনিটের জন্য। বিশ মিনিট পর পরিবেশন করতে হবে ফুলকপির মোগলাই রেজালা।