অ্যাসিডিটি বাড়ছে যে সকল কারণে
পছন্দের খাবার খাওয়া অবশ্যই বেশ আনন্দদায়ক বিষয়।
তবে নিয়ম না মানলে ও যথেচ্ছা খাওয়াদাওয়া করলে অ্যাসিডিটির সমস্যায় আক্রান্ত হতে হবে যে কাউকেই। কোন সময়ে ও কী খাবার খাচ্ছেন, তার উপরে নির্ভর করেই অ্যাসিডিটির সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া করা, পেটের সমস্যা ও মুখে তিতকুটে ভাব দেখা দেয়।
নির্দিষ্ট কোন কাজগুলোতে অ্যাসিডিটির সমস্যা বৃদ্ধি পায়, সঠিকভাবে না জেনে থাকলে চোখ বুলিয়ে নিন আজকের ফিচারে।
খুব দ্রুত খাবার খাওয়া
অনেকেই খুব ধীর গতিতে খাবার খান। তেমনিভাবে প্রয়োজনের চাইতে বেশ দ্রুতও খাবার খান অনেকেই। এতে করে খুব সহজেই অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি হয় ও বেড়ে যায়। দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাবার ভালোমতো চাবানো হয় না। যা পাকস্থলীর স্বাভাবিক ক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটায় এবং পাকস্থলীর পেশির উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। খাবার সম্পূর্ণ পরিপাক হতে না পারার ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। যা থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা, বুক জ্বলাপোড়া ও মুখে টক বা তিতকুটে ভাব দেখা দেয়।
একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া
ডাক্তাররা সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুই ঘন্টা অন্তর স্বল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার জন্য। বেশিরভাগ সময়েই এই পরামর্শ শোনা হয় না নিশ্চয়। খুব বেশি ক্ষুধা পেলে কিংবা পছন্দসই খাবার খাওয়ার সময় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায় একবারে। এতে করে প্রথমে শারীরিক অস্বস্তি ও বুক জ্বালাপোড়া হয়। পরবর্তিতে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সের সমস্যা দেখা দেয়।
সকালে চা ও কফি পান
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গরম এক কাপ কফি কিংবা চা না হলে, অনেকেরই দিনের শুরু হয় না। এই অভ্যাসটি উপকারিতার চাইতে, ক্ষতিকর প্রভাব বেশি তৈরি করে। চা ও কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন ও অ্যাসিডিক উপাদান পাকস্থলীর অ্যাসিডিক ধর্মকে ত্বরান্বিত করে। ফলে পেটে গ্যাসভাব দেখা দেয় এবং পেট ও বুক আটকে আসা বোধ হয়। সকালে চা কফি পানে বাঁধা নেই, তবে খালি পেটে অবশ্যই নয়।
বাড়তি ওজন
বাড়তি ওজনের কথা পড়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাড়তি ওজন লোয়ার অ্যাবডোমেনের (তলপেট) উপর চাপ তৈরি করে। যা থেকে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স দেখা দেয়। বাড়তি ওজন পুরো স্বাস্থ্যের জন্যেই ক্ষতিকর। তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য তো বটেই অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলেও, বাড়তি ওজনকে বিদায় জানাতে হবে।
ঘুমানোর আগে খাবার খাওয়া
রাতে ঘুমানোর অন্তত চার ঘন্টা আগে খাবার খাওয়ার পর্ব সেরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এমন নিয়মের কারণ হলো, খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে পাকস্থলীস্থ খাদ্য পুরোপুরিভাবে হজম হবার সময় পায় না। অপরিপাককৃত খাবার পেটে গ্যাসভাব ও অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সের সমস্যা তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সুস্থ পরিপাকতন্ত্রে সুস্থ আপনি
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস কঠিন কিছু নয়!