কোন ৩ যোগাসনে বার্ধক্যেও থাকবে লাবণ্য



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ত্বকের বয়স ধরে রাখতে কত কিছুই না করেন অনেকে। কিন্তু এ কাজ ততটাও সহজ নয়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। সব সময়ে চেষ্টা করেও যে সুফল মেলে, তা তো নয়। বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা— ত্বকের জৌলুস ধরে রাখতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময়ে ফল মেলে না। প্রসাধনীর ব্যবহার, প্রতিদিনের জীবনযাপনে বদল আনা ছাড়াও ত্বকের বয়স ধরে রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের ওপর।

বালাসন

এই আসনটি করতে প্রথমে মাদুরের ওপর হাঁটু মুড়ে বসুন। এ বার শ্বাস নিয়ে হাত দু’টি মাথার ওপর রাখুন। শ্বাস ছেড়ে শরীরের ওপরের অংশ সামনের দিকে বেঁকান। মাটিতে কপাল ঠেকান। নিতম্ব রাখুন গোড়ালির উপরে। এই ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ থাকুন। তবে খেয়াল রাখুন, পিঠ যাতে না বেঁকে যায়।

শবাসন

সবচেয়ে সোজা আসন মনে হলেও শবাসন করতে দরকার মানসিক স্থিরতার। চিৎ হয়ে শুয়ে পা দু’টি লম্বা করে ছড়িয়ে দিন। দু’টি হাত শরীরের দু’পাশে রাখুন। হাতের তালু দু’টি শিথিল করুন। চোখ বন্ধ করুন। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। এতে মন, মাথা এবং শরীর শান্ত থাকবে।

চক্রাসন

পায়ের মাঝখানে কাঁধের থেকে দূরত্ব রেখে শুয়ে পড়ুন। পা ভাঁজ করে এমন ভাবে রাখুন, যাতে নিতম্বের সঙ্গে গোড়ালির স্পর্শ লাগে। দুই হাত ওপরে তুলে মাথার দু’পাশে হাতের তালু দু’টি রাখুন। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে প্রথমে নিতম্ব ও কোমর উপরে তুলুন। হাতে ভর রেখে পিঠ ও মাথা উপরে তুলে ফেলুন। আসন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠ ও তার পরে কোমর নামিয়ে নিন। দৈনিক ২ থেকে ৫ বার এটি করুন।

দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ থাকা এসি চালুর আগে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধীরে ধীরে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। আর সেই গরম থেকে বাঁচতে অনেকেরই ভরসা এসি। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এসি। এখন তা চালানোর আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হয়। না হলে যন্ত্রের ক্ষতি তো হয়ই, এমনকি বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থেকে যায়।

শীতে এসি বন্ধ থাকার পর, আবার সেই যন্ত্রটি চালানোর আগে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন থাকে। এসির মেশিনে বা ফিল্টারে ধুলো-ময়লা থাকলে যন্ত্রটি ঠান্ডা হতে চায় না। ধুলোর আস্তরণ পড়ে যন্ত্রের কম্প্রেসারটিও বিগড়ে যেতে পারে। আর কোন কোন কারণে এসি বিগড়ে যেতে পারে, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।

>> অনেক পুরনো বা নিম্নমানের যন্ত্র ব্যবহার করলে, প্রচণ্ড গরমে ঘর ঠান্ডা করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তখন যন্ত্র বিকল হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

>> ঘরের আয়তন বুঝে এসি না কিনলেও এই ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে।

>> শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে আগুন লাগা বা বিস্ফোরণ ঘটার অন্যতম কারণ হল এসির গ্যাস লিক হওয়া। তাই বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর, আবার এসি চালাতে গেলে আগে গ্যাস লিক হচ্ছে কি না, তা দেখে নেওয়া উচিত।

>> একটানা অনেকক্ষণ এসি চালানোর ফলে যন্ত্রটির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেখান থেকেও অনেক সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

>> এসি-র ভিতরে কোনও বৈদ্যুতিক তার আলগা হয়ে গেলে, সেখান থেকেও বিপদ ঘটতে পারে।

;

বয়স ৩০ পেরোলেই নারীদের করাতে হবে যে ৫ স্বাস্থ্যপরীক্ষা!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবারের বাকি সদস্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা চিন্তিত থাকেন নারীরা, নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে ততটাই অবহেলা তাদের। অথচ ঘরে, বাইরে, অফিসে, একা হাতে সবটাই সামলাতে হয়। শরীরের প্রতি দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর অযত্নের ফলে অজান্তেই জন্ম নেয় নানা ধরনে অসুখ।বয়স ৩০ পেরোলেই নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা শুরু হতে থাকে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন বয়স তিরিশের কোঠা ছাড়ালেই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই বয়সে করা জরুরি। কারণ শরীরে যদি কোনও সমস্যা থাকেও, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে।

ডায়াবেটিস

বয়স বাড়লেই ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে, এই ধারণা কিন্তু ভুল। কমবয়সেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই বয়স ৩০ পেরোলেই ৬ মাস অন্তর এক বার করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।

থাইরয়েড এবং কোলেস্টেরল

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, নারীদের মধ্যে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ৩০ পেরোনোর পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। তবে শুধু থাইরয়েড নয়, পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক আছে কি না। সে ক্ষেত্রে বছরে অন্তত এক বার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে হবে।

ক্যান্সার স্ক্রিনিং

অত্যন্ত দরকারি একটি পরীক্ষা। স্তন থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে নারীদের। তাই একটা বয়সের পর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

হাড়ের স্বাস্থ্য

হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীর বেশি ভোগেন। হাঁটুতে ব্যথা, আর্থরাইটিস, গাঁটে গাঁটে ব্যথা— এই ধরনের সমস্যাগুলো নারীদেরই বেশি হয়। তাই ৩০ পেরোনোর পর ভিটামিন ডি৩ পরীক্ষা করানো জরুরি। এ ছাড়া শরীরের ক্যালশিয়ামের মাত্রা পর্যাপ্ত থাকছে কি না, সে ব্যাপারেও কড়া নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি যদি ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষাও করিয়ে নিতে পারেন, তাহলে ভাল।

চোখের পরীক্ষা

যান্ত্রিক জীবনে কমবয়স থেকেই চোখের সমস্যা শুরু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। একটু বয়স বা়ড়লে তো চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি মাত্রায় সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাই বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে চোখের পরীক্ষা করা জরুরি। পাওয়ার বেড়েছে কি না, চশমা নিতে হবে কি না, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।

;

রাতে ঘুমোনোর আগে যে ৫ কাজে কমবে মেদ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন বাড়লেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ থেকে শরীরচর্চা— খেয়াল রাখতে হয় সব দিকেই। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে বলেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওজন ঝরিয়ে ফেলা যায়, তার চেয়ে বড় সুখবর আর কী বা হতে পারে! ছেলেবেলায় মায়েরা বলতেন, বেশি ঘুমোলে নাকি মোটা হয়। তা হলে কোনটা ঠিক?

আমরা ঘুমিয়ে পড়লেও ঘুমের মধ্যে আমাদের শারীরবৃত্তিয় কাজগুলো কিন্তু চলতেই থাকে। ফলে কিছু ক্যালোরি খরচ হয়, শক্তিও খরচ হয়। তাছাড়াও সারা রাত জুড়ে আপনার শরীরে বাড়তি পানি, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ঘামের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাই ‘ওয়াটার ওয়েট’ ঝরে যায়। সে কারণেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি ওজন মাপেন, তা হলে খানিকটা কম দেখাবে আপনার ওজন। এ সব কারণেই রাতের পর রাত ভাল ঘুম না হলে শুধু যে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে, তা নয়, আপনার ওজনও বেড়ে যেতে পারে।

ঘুমের মধ্যেও কী করে ওজন ঝরাবেন?

>> রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেই বিছানায় চলে যাওয়ার অভ্যাস বেশির ভাগেরই আছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম না এলেও শুয়ে শুয়েই চলতে থাকে ফোন ঘাঁটা। খাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান। প্রয়োজনে রাতের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে নিন। তাতে খাবার হজম ভাল হয়। বিপাকহারও বাড়ে। ফলে ঘুমের মধ্যে ওজন ঝরার কাজ শুরু হয়।

>> জিমে গিয়ে কসরত করতে ভালবাসেন? জিমে যদি ওয়েট ট্রেনিং করেন, তা হলে তা সকালের বদলে সন্ধ্যাবেলা করতে পারেন। শরীরের বিপাকহার শরীরচর্চার পর ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেশি থাকবে। তাই ঘুমের মধ্যেও শরীরে ক্যালোরি বেশি খরচ হবে।

>> শরীরচর্চা করার পর ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন। এই অভ্যাস শরীরে থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেরিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমাদের শরীরে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণে খুব কম থাকে। কিন্তু এটি সক্রিয় থাকলে শরীরের বিপাকহার বেড়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্যালোরি ঝরতে পারে। ৩০ সেকেন্ড যদি বরফ-ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারেন, তা হলে শরীরের ব্রাউন ফ্যাট সক্রিয় হয়ে ঘুমের মধ্যেও ৪০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরাতে পারে।

>> শরীরের বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে গ্রিন টি। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর এক কাপ গ্রিন টিতে চুমুক দিতে পারেন, তা হলে ঘুমের মধ্যে ৩.৫ শতাংশ বেশি ক্যালোরি ঝরতে পারে।

>> রাত জেগে মোবাইলে ওয়েব সিরিজ় দেখেন? সিরিজ়ের সব ক’টা পর্ব শেষ না হলে মন অস্থির হয়ে ওঠে, ঘুম আসতে চায় না। এই অভ্যাসের কারণে রাতে তিন-চার ঘণ্টার বেশি ঘুম হয় না। ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে কিন্তু এই অভ্যাস দায়ী। বি‌ছানায় যাওয়ার পর ফোন থেকে দূরে থাকাই ভাল।

;

প্রস্রাবের রং বলে দেবে শারীরিক অবস্থা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীর সুস্থ রাখতে চেষ্টার কমতি রাখেন না কেউই। তবুও শরীরের অন্দরে ঠিক কী ঘটে চলেছে, তা বাইরে থেকে সব সময় বোঝা সম্ভব হয় না। কোনও অসুখ নিঃশব্দে শরীরে হানা দিলেও সঠিক সময়ে তা জানা যায় না। যখন শরীরে রোগের লক্ষণ ফুটে ওঠে, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রস্রাবের রং দেখে অনেক সময় রোগ নির্ণয় করা যায়। স্বচ্ছ এবং সাদার বদলে যদি প্রস্রাবের রঙে খানিক বদল আসে, তা হলে তা কিন্তু কোনও রোগের ইঙ্গিত করতে পারে।

ফ্যাকাশে হলুদ

এই রঙের প্রস্রাব শরীরে ইউরোবিলিন পিগমেন্ট উৎপাদনের কারণে সাধারণত প্রস্রাবের রং ফ্যাকাশে হয়। সাধারণত পানি কম খেলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। তবে শরীর যখন পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তখন কিডনি প্রস্রাব থেকে জল শোষণ করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং ঘনীভূত হয়ে হলুদ রং ধারণ করে। তাই এমন হলে অতি অবশ্যই বেশি করে পানি খাওয়া জরুরি।

গাঢ় হলুদ

প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, সে ক্ষেত্রে জন্ডিসের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। তেমন হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করার কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলেও প্রস্রাবের রং হালকা কমলা বা হলুদ হতে পারে।

লালচে প্রস্রাব

প্রস্রাবের রঙে লালচে ভাব আসার অন্যতম কারণ হল মূত্রনালির সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে অনেক সময় মূত্রাশয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেই কারণেই পরিবর্তন আসে প্রস্রাবের রঙে। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর, ক্যানসারের মতো অসুখ হলেও এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

কালচে বাদামি

প্রস্রাবের রং কালচে বাদামি হলে, এই লক্ষণ কোনও ভাবেই এড়িয়ে যাবেন না। কারণ কিডনি ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ হতে পারে এটি। এ ছাড়া কিডনিতে পাথর কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ হলেও, প্রস্রাবের রং বাদামি হতে পারে।

;