জরায়ুমুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, মানসিক সমস্যা বা স্নায়ুর সঙ্গে যুক্ত মনের রোগে আক্রান্ত নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ। কারণ, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বা চিকিৎসার অভাব।

সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানান, নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ঠেকিয়ে রাখা যায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

১৯৪০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে জন্মেছেন এমন ৪০ লাখ নারীর উপর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত এমন বহু নারীর শরীরেই এই ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

গবেষকদের মধ্যে অন্যতম কেইজ়া হু বলেন, আমরা দেখেছি, একটা বয়সের পর নারীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকা উচিত। বিশেষত যাদের এই ধরনের মানসিক সমস্যা আছে, তাদের তো আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত। কারণ, এই রোগে আক্রান্তরা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা মনেই রাখতে পারেন না। ব্যক্তিগত ভাল-মন্দের খেয়াল তাদের থাকে না।

এ ছাড়াও গবেষকরা আরও দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখান থেকে জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এক, ধূমপান এবং অন্যটি হল জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি। এই দুটির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারেও নারীর জরায়ুমুখের ক্যান্সার আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

চুলের যত্নে জবা ফুল!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুলের যত্নে কতকিছুই ব্যবহার করা হয়। তবে জবা ফুলের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জবা ফুলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। যা প্রাকৃতিকভাবে চুলের জেল্লা বজায় রাখে।

এছাড়াও জবা ফুল মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে চুলের ফলিকলগুলোও পুষ্টি পায়। যা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

জবা ফুল চুলের আর কোন উপকারে লাগে জেনে নিন-

১. চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে

নারকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই মিশ্রণ ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

২. রুক্ষ চুলের যত্নে

কাঠবাদামের তেলের মধ্যে রোদে শুকোনো বেশ কিছু জবা ফুলের পাপড়ি কাচের শিশিতে ভরে রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ দিন ২-৩ ঘণ্টা করে সূর্যের আলোতে রাখুন। তার পর গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। রুক্ষ চুলও হবে রেশমের মতো মোলায়েম।

৩. খুশকি দূর করতে

জবা ফুলের পাপড়ির সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। পরে শ্যাম্পু করে নিন। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন অচিরেই।

৪. চুল ঝরা রুখতে

অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। চুল পড়া রুখতে এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকরী।

৫. অকালপক্কতা রোধ করতে

পানির রং লালচে হয়ে আসলে তা ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দু-তিন বার ব্যবহার করুন।

;

কফি খেলে কি ত্বকের ক্ষতি হয়?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটানা কাজ করতে করতে একঘেয়েমি কাটাতে কফির বিকল্প নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। যার ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়াও কফি অনেক সময়েই উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। ‘কর্টিজল’-এর মতো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়।

কফি খেলে ত্বকের আর কী কী ক্ষতি হতে পারে?

১. কফিতে থাকা অ্যাসিডের প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা ত্বকের সেবাম উৎপাদনেও হেরফের ঘটায়।

২. দুধ এবং চিনি দেওয়া ফিল্টার কফি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসের ফলে কিন্তু ত্বক ব্রণতে ভরে যেতে পারে।

৩. তৈলাক্ত ত্বকেও নাক এবং মুখের নির্দিষ্ট কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

৪. ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ত্বকে প্রদাহও দেখা দিতে পারে।

৫. অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তাতেও প্রভাব পড়ে। ঘুম কম হলে ত্বকও জেল্লাহীন হয়ে পড়বে।

ত্বকের ক্ষতি এড়াতে দিনে কতটা কফি খাওয়া যেতে পারে?

পুষ্টিবিদদের মতে, কফি বা ক্যাফেইন  জাতীয় পানীয় থেকে কোনও রকম ক্ষতি এড়াতে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি গুঁড়ো ব্যবহার করা উচিত নয়। পানীয় হিসাবে বলতে গেলে সারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত কফি খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ত্বকচর্চা করারও পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা।

;

পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘন, কালো চুলের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তো হল না। মনের মতো চুল পেতেও চাই সঠিক যত্ন। এ দিকে চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহল কমবেশি অনেকেই। কেউ আবার সারা বছর ধরে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু নামীদামি প্রসাধনীর ব্যবহার করেও সুফল মেলে না অনেক সময়। চুল ঝরা থেকে খুশকি— এই ধরনের সমস্যার দাওয়াই হতে পারে দারচিনি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর হেঁশেলের এই উপাদানটি চুলের গোড়া মজবুত করে। দারচিনিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন কে থাকে। দারচিনি চুলের যত্নে ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, ফলে নতুন চুল গজায়। কম বয়সে অনেকেরই চুল পেকে যায়। এই সমস্যা দূর করতে দারচিনি দারুণ উপকারী। শরীরের যত্ন নিতেও এর উপকারিতা কম নয়। টাইপ টু ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে, প্রত্যেক দিন আধ চা চামচ করে দারচিনি খাওয়ায় উপকৃত হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে। টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনও রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিন হরমোনের সঙ্গে ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারে না। সেই কাজে সাহায্য করে দারচিনি। কিন্তু চুল ঘন করতে কীভাবে ব্যবহার করবেন দারচিনি?

>> দারচিনি, মধু, নারকেল তেল— এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গ মিক্সিতে ঘুরিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি যেন ঘন হয়। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে দিন। সপ্তাহে দু’বার এটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

>> এটি ছাড়াও দারচিনি ব্যবহার করার আরও একটি উপায় রয়েছে। ডিম, নারকেল তেল এবং কয়েক টুকরো দারচিনি একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিনের ব্যবহারে চুল হবে ঘন।

;

ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেটের রোগের বড় একটি কারণ পাকস্থলি পরিষ্কার না হওয়া। নিয়মিত পেট পরিষ্কার করতে অনেকেই ওষুধের উপর ভরসা করেন। তবে ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু টোটকাতেও কিন্তু অন্ত্র এবং পাকস্থলী পরিষ্কার করা যায়।

জোয়ান ভেজানো পানি

গ্যাস, বুকজ্বালার মতো সমস্যা দূর করতে জোয়ান অত্যন্ত উপকারী। পেট ফাঁপার সমস্যাতেও দারুণ কাজ দেয় জোয়ান ভেজানো পানি। পাকস্থলি পরিষ্কার করতেও জোয়ান ভেজানো পানি দারুণ কাজে দেয়।

জিরা ভেজানো পানি

হজম সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা নিমেষে দূর করতে জিরা ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। গরমে পেট ফাঁপার সমস্যা হলেও দারুণ কাজ দেয় এই পানীয়।

মধু এবং লেবুর রস

কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এই পানীয় শুধু মেদ ঝরাতে নয়, হজম সংক্রান্ত নানা রকম সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, নিয়মিত এই পানীয় খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

অ্যালোভেরা

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ফাইবার সমৃদ্ধ অ্যালোভেরার জুস অত্যন্ত কার্যকর। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উপকারী হলেও এই জুস খুব বেশি না খাওয়াই ভালো। না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি পাকস্থলি পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।

;