জোয়ানের উপকারিতার শেষ নেই
হেঁশেলের বহু পরিচিত উপকরণের মধ্যে জোয়ান অন্যতম। শিঙাড়া থেকে পরোটা— বিভিন্ন পদে নানাভাবে জোয়ান ব্যবহার করা হয়। জোয়ানের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে জোয়ান অন্যতম ভরসা হতে পারে। জমিয়ে ভূরিভোজের পর একটু জোয়ান মুখে দিলে অস্বস্তি কমে অনেকটাই। তবে জোয়ানের উপকারিতা কিন্তু শেষ নয় এখানেই। জোয়ান ভিজিয়ে খেলেও দারুণ উপকার পাওয়া যাবে। শরীর সুস্থ রাখতে আর কী কী ভাবে সাহায্য করে জোয়ান?
রোগা হতে
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে জোয়ানের পানি পান করা যেতে পারে। শরীরের বিপাকীয় হার বাড়িয়ে দেয় জোয়ান। এতেই শরীরের জমে থাকা ফ্যাট ঝরে যায়। ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর জোয়ানের পানি। এ ক্ষেত্রে রাতে পানিতে জোয়ান মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে এই জোয়ানের পানি। জোয়ানে থাকা ফাইবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ঋতুস্রাবের ব্যথা দূর করতে
ঋতুস্রাবের সময়ে কমবেশি সকলেই পেটে ব্যথার সম্মুখীন হন। ব্যথা কমাতে অনেকেই ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। এ ক্ষেত্রে দ্রুত সুস্থ হতে জোয়ান ভিজানো পানি খাওয়া যেতে পারে। এতে পেটে ব্যথা কমে। সেই সঙ্গে ঋতুস্রাবকালীন নানা শারীরিক সমস্যাও দূর হবে এর ফলে।
আর্থরাইটিসের ব্যথা দূর করতে
এখন কমবেশি অনেকেই বাতের ব্যথায় ভুগে থাকেন। কমবয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যার বাড়বাড়ন্ত খুব বেশি। ওষুধ খেয়েও সুফল পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে একটি ঘরোয়া উপায় কাজে আসতে পারে। ব্যথা দূর করতে খাওয়া যেতে পারে জোয়ানের পানি। হাঁটু, কোমর বা গাঁটের ব্যথা থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন জোয়ানের তেলে। এই তেল দিয়ে মালিশ করলে উপকার মিলবে।
ডায়াবেটিস রুখতে
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ওষুধের মতো কাজ করে জোয়ান। ডায়াবেটিসে ভুগছেন যারা, গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের জোয়ান খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। অনেক সময় খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। জোয়ান কিন্তু সেই ঝুঁকি কমায়।