এলাচের যত গুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলাচের একটি শক্ত ও তীব্র সুগন্ধযুক্ত অনন্য স্বাদ রয়েছে। এই মসলা বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস— না পড়লে রান্নার মোটেই স্বাদ আসে না। পায়েসেও এলাচ পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মশলা চা হোক বা সাধারণ দুধ-চা— দু’টি এলাচ দিয়ে দিলেই স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাওয়ার পর আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসেবে এলাচ খান। অনেকের আবার খাওয়ার সময়ে এলাচ মুখে পড়লে মেজাজটাই বিগড়ে যায়!

জানেন কি, রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খেলে শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধান মিলতে পারে?

>> নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভোগেন? এলাচ বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। গরমে বুকজ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

>> শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করতেও এলাচ সাহায্য করে। সকলেই চান বয়স ধরে রাখতে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো পানি খেলেও ত্বক টান টান হয়, বলিরেখা কমে।

>> শ্বাসকষ্টের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়? রোজ নিয়ম করে মধু, লেবুর রস ও গরম পানির সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। ফুসফুস সংক্রমণ এড়াতে চাইলে এলাচ খুবই উপকারী।

>> হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এলাচের। এটি হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া, এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।

>> মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করে। এছাড়াও মাড়ির সংক্রমণ, মুখের ফোড়া-সহ দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতেও এলাচ কার্যকর।

>> অনেক সময়ে ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে তত্‍ক্ষণাত্‍ উপশম হয়।

>> এলাচ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলেই সুফল পাবেন। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা রোজ এলাচ-পানি খেলে উপকার পাবেন।

   

সঙ্গী ভালোবাসার অভিনয় করছেন কিনা বুঝার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন এক ছাদের নিচে থেকেও উল্টো দিকের মানুষটাকে অচেনা লাগে। সেখানে কয়েক মাসের পরিচয়ে যাকে মন দিয়েছেন, তিনি আসলে কেমন, তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি বইকি। না হলে পরে কষ্ট পাওয়ার পাল্লা আপনার দিকেই ভারী হবে। মানুষ চেনা যে কঠিন, সেটা প্রায় ধ্রুব সত্যের মতো হয়ে গিয়েছে। সামনে ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেও আড়ালে সঙ্গী কী করছেন, তা সব সময়ে জানা যায় না। অনেক সময়ে সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস এতটাই অটুট হয় যে, কোনও সন্দেহ মনে জন্ম নেওয়ার সুযোগ পায় না। তবে সম্পর্কের মেয়াদ যদি কম দিন হয়, তা হলে চোখ-কান খুলে রাখাই ভাল। কিন্তু সঙ্গী আপনাকে ঠকাচ্ছে কি না, তা বোঝার কি সত্যিই কোনও উপায় আছে? উপায় না থাকলেও কিছু লক্ষণ একটু খেয়াল করে দেখতে পারেন। যদি ঘন ঘন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে বিষয়টি নিয়ে দু’বার ভাবা জরুরি।

>> ফোন হচ্ছে সবচেয়ে ব্যক্তিগত একটি জিনিস। ফোনে কেউ হাত দিক, তা অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, যখন অন্যের ফোন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। এমন ক্ষেত্রে কখনও ভুলবশতও সঙ্গীর ফোন হাতে নিলে তিনি কি অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেন? রেগে যান? অনেকেই নিজের ব্যক্তিগত পরিসর নিয়ে প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে। তবু ফোনে হাত দিলেই যদি চেনা মানুষটি হঠাৎই অচেনা হয়ে ওঠেন, তা হলে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখতে পারেন।

>> আচরণগত কোনও পরিবর্তন আপনার সঙ্গীর মধ্যে এসেছে কি না, তা লক্ষ করে দেখুন। কাজ আর ব্যস্ততা তো থাকবেই। কাজের দোহাই দিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলা কিংবা দেখা করা কমিয়ে দিচ্ছেন? এড়িয়ে যাচ্ছেন? ভালোবাসা মজবুত হয় তখনই, যখন গোপনীয়তার পর্দা থাকে না। সঙ্গী যদি সম্পর্কে গোপনীয়তার মোড়ক জড়াতে শুরু করেন, তা হলে একবার সরাসরি কথা বলে নেওয়াই শ্রেয়।

>> সারাদিন কীভাবে কাটল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আপনি সঙ্গীকে দেন। অথচ আপনি জিজ্ঞাসা করলেই খাপছাড়া উত্তর আসছে। সঙ্গী আপনার কাছ থেকে কিছু লুকিয়ে যাচ্ছেন না তো? আবার হতে পারে তিনি কোনও কারণে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাই সোজাসুজি সন্দেহ করার আগে সত্যিই কোনও কারণ আছে কি না, তা এক বার যাচাই করে নিন।

;

টাক পড়ার ঝুঁকি কমায় যেসব খাবার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে ছেলেদের অন্যতম সমস্যার মধ্যে চুল পড়া। অল্প বয়সেই অনেক ছেলের মাথায় টাক পড়ে যায়। এ সমস্যাকে আটকাতে হলে চুল মাথা থেকে ঝরে পড়ার প্রবণতা কমাতে হবে। অনেকেই চুল পড়া বন্ধ করতে নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। বিভিন্ন ওষুধও খান। তবে তাতে যে বিশেষ কোনও লাভ হয়, তা নয়। সে ক্ষেত্রে রোজের খাবারে বদল এনে দেখতে পারেন, সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন অচিরেই। চুল ঝরার পরিমাণ কমাতে কোন খাবারগুলি বেশি করে খেতে পারেন ছেলেরা?

গাজর

গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। চুলের গোড়া শক্ত করতে ভিটামিন এ-এর জুড়ি মেলা ভার। মাথার তালুর পুষ্টিতে জোগায় গাজর। মাথার ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে গাজর দারুণ কার্যকরী। সঠিক পুষ্টি উপাদানের অভাবেই চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। গাজর চুলে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।

কড়াইশুঁটি

চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেতে পারেন। এতে নানা রকমের ভিটামিন তো আছেই, তার সঙ্গে আছে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু খনিজও। আয়রন, জিঙ্ক, মিনারেলস সমৃদ্ধ কড়াইশুঁটি চুলের গোড়া মজবুত করে। শত অবহেলাতেও চুলের গোড়া দুর্বল হতে দেয় না। ফলে চুলে পড়ে যাওয়ার পরিমাণও অনেকটাই কমে।

ওট্স

ওজন কমাতে ওট্‌সের জুড়ি মেলা ভার। তবে চুল ঝরার সমস্যা থেকেও ছেলেদের মুক্তি দিতে পারে ওট্স। এতে রয়েছে ফাইবার, আয়রন, জিঙ্কের মতো খনিজ। সেই সঙ্গে রয়েছে ওমেগা-৩। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বকে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও সচল রাখে। ফলে চুল পড়া কমে।

;

আমড়া খেলে যেসব উপকার পাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আমড়া খেলে যেসব উপকার পাবেন

আমড়া খেলে যেসব উপকার পাবেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের দেশে এক এক মৌসুমে এক এক ফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে অতিপরিচিত একটি ফল হলো আমড়া। মিনারেল ও ভিটামিনে ভরপুর এই ফলটি মুখরোচক ও সুস্বাধু। টক-মিষ্টি জাতীয় এ ফলটি কাঁচা ছাড়াও আচার, চাটনি, জ্যামসহ বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। 

আমড়ায় আছে ক্যালসিয়াম, আঁশ, আয়রন, ভিটামিন সি-সহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। এছাড়াও আমড়া গাছের বিভিন্ন অংশে আছে অনেক ঔষধি গুণাগুণ। যা ডায়রিয়া, কানের ব্যথা, ক্ষতসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

আমড়া’র স্বাস্থ্য উপকারিতা

হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে: আমড়াতে আছে প্রচূর পরিমাণে আয়রন। যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এর ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও  শরীরের রক্তাস্বল্পতা এবং অন্যান্য রক্তের সমস্যা প্রতিরোধে আমড়া অনেক উপকারী।

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। এই ফলটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।। এছাড়াও গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আমড়া। নিয়মিত খাবারের পর এই ফলটি খাওয়ার অভ্যাস দূর করতে পারে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি।

ভিটামিন সি’র ভালো উৎস: আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে এটি হাড় ও দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণসহ নানান রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। আমড়াতে থাকা ভিটামিন সি মানুষের দেহের প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা, দৃঢ়তা বজায় রাখতে উপকারী।

হাড়কে মজবুত করে: আমড়াতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত আমড়া খেলে তা ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এটি হাড়ের যে কোনো রোগ দূর করে হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে ।

পেশিশক্তি বৃদ্ধি করে: আমড়াতে থিয়ামিন নামের একটি উপাদান পাওয়া রয়েছে, যেটি মানুষের শরীরে পেশি সংকোচন ও স্নায়ু সংকেত সঞ্চালনে সাহায্য করে। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: আমড়াতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এ উপাদানগুলো আমাদের স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।

এছাড়াও আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এর উপাদান সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। ব্রণের প্রকোপ কমিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। আমড়াতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

;

বিশ্ব হার্ট দিবস আজ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব হার্ট দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রথমেই নিজেদের হার্টকে জানা’। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে।

চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। হৃদরোগের কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলে থাকেন সচল থাকতে গোটা শরীরের মতো হৃদযন্ত্রেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর করোনারি ধমনি হৃদযন্ত্রে ওই অক্সিজেন সরবরাহ করে।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপনে করোনারি ধমনির ভিতরের দেওয়ালে ফ্যাট জমে যায়। এর ফলে সময়ের সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফুসফুসে রক্তের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে কার্ডিয়াক ইস্কেমিয়ার পরিস্থতি তৈরি হয়, যাতে হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। বেশ কিছু সময় পর্যন্ত বুঝতে না পারলে, বা চিকিৎসায় দেরি হলে হৃদযন্ত্রের কোষগুলির একে একে মৃত্যু ঘটে। তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন মানুষ।

অন্যদিকে পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে, যার অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। গ্লোবাল বারডেন অফ ডিজিজ স্টাডি (জিবিডি) ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করছে যা হৃদরোগ পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে।

;