রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে যে ৫ খাবার খেলে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ের আঙুলে ব্যথা বা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত বা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে থাকা যে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ, এ কথা অনেকেই জানেন। কারণ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন জীবনধারা-নির্ভর রোগের মধ্যে পড়ে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টমেটো, ঢ্যাঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকে। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হয় ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড হলে কী কী খাওয়া বারণ, তা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু কোন কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা কি জানেন?

ভিটামিন সি

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতিদিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।

‘লো ফ্যাট’ দুধ

খেতে ভাল লাগলেও ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধ এবং সেই দুধ দিয়ে বানানো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বদলে প্রতি দিন ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল, পনিরও।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। কিন্তু এই ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক একটি যৌগ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই সার্ডিন, ট্রাউট বা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছ না খেয়ে পমফ্রেট বা ইলিশের উপর ভরসা করতেই পারেন।

ফাইবারযুক্ত খাবার

ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। কুমড়া, ব্রকোলি, ওটস বা দানাশস্য— সবতেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই সব খাবারে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। এদিকে প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদই ভরসা। শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন।

   

রান্নায় অতিরিক্ত লবণ পড়ে গেলে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রান্নায় লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে লবণ যদি বেশি হয়ে যায় তবেই বিপদ। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। রান্নায় লবণ কমানোর কয়েকটি কৌশল জেনে নিলেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।

পেঁয়াজ

একটি পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে কেটে দু’টুকরো করে নিন। তার পর সেগুলি রান্নায় দিয়ে দিন। পেঁয়াজ রান্নার অতিরিক্ত লবণ টেনে নেবে। অবশ্য ভাজা পেঁয়াজও ব্যবহার করতে পারেন। তাতে রান্না সুস্বাদু হবে।

দই

বাড়িতে টক দই থাকলে রান্নায় লবণ বেশি পড়ে গেলেও চিন্তা নেই। একটি ছোট্ট পাত্রে দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার পর সেটা রান্নায় দিয়ে দিন। রান্নার নোনতা স্বাদ কেটে যাবে। ঝোলেও অন্য রকম স্বাদ আসবে।

চিনি ও ভিনিগার

রান্নায় বেশি লবণ পড়ে গেলে ঘাবড়ে যাবেন না। বরং চিনি এবং সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে নিন। লেবুর রসও দিতে পারেন ভিনিগারের বদলে। এগুলি খাবারের নোনতা ভাব কাটাতে সাহায্য করবে।

আলুর খোসা

মাংসের পাতলা ঝোল রেঁধেছেন, কিন্তু লবণ বেশি পড়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে লবণ বেশি পড়ে গেলে একটি সহজ উপায় রয়েছে। কিছু আলুর খোসা রান্নায় ফেলে দিন। নিমেষে সব বাড়তি লবণ টেনে নেবে। স্বাদ স্বাভাবিক হয়ে গেলে খোসাগুলি তুলে ফেলে দিন

;

শরীরের ভিতর কোন জায়গায় রাগ জমে থাকে জানেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবেগ অনুভূতি প্রকাশ ভঙ্গি একেক জনের একেক রকম। কেউ প্রচণ্ড দুঃখ পেলে কেঁদে ফেলেন। আবার কেউ দুঃখে-শোকে পাথর হয়ে যান। পরিচিত, প্রিয় মানুষের থেকে আঘাত পেলে কারও বুকে চিনচিনে ব্যথা হয়। আবার কেউ রাগে চিৎকার করতে থাকেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ভালবাসা, রাগ, দুঃখ— প্রকার ভেদ অনুযায়ী শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিক্রিয়া করে। তাই মন ভাঙলে হাঁটুতে ব্যথা হয় না। ওই নির্দিষ্ট জায়গায় মন ভাঙার আবেগ-অনুভূতি কেন্দ্রীভূত থাকে।

রাগ থাকে কোমরে

কারও ওপর রেগে গেলে যতই চোখ-মুখ লাল হয়ে উঠুক, মাথার চুল খাড়া হয়ে যাক না কেন— তার উৎস মুখ কিন্তু কোমর। তাই এই সময়ে যদি কেউ কোমরে একটু মালিশ করে দেন সহজেই রাগ নিবারণ করা যেতে পারে।

ভয়ে পেট গুড়গুড়

সামনেই পরীক্ষা কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। যতই প্রস্তুতি থাক না কেন, মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হয় কম-বেশি সকলেরই। অনেকেরই বার বার মলত্যাগের বেগ আসে। কারণ, চিকিৎসকেরা বলছেন অন্ত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ের বীজ। তাই পেট গুড়গুড় করে।

মন ভাঙলে বুকে কষ্ট

প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে কি? বা ভীষণ পছন্দের কাউকে চোখের সামনে দেখছেন কিন্তু মনের কথা বলে উঠতে পারছেন না। তখনও কিন্তু বুকের কষ্ট বেড়ে যেতে পারে। সাইকোলজি টু’ডে-র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মন ভাঙার মতো আবেগ-অনুভূতির উৎস হল হৃদয়। তাই বুকে চিনচিনে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।

অতিরিক্ত পরিশ্রমে ঘাড়-কাঁধে কষ্ট

ছোট থেকে শুনে এসেছেন, গুরু দায়িত্ব নিতে গেলে কাঁধ শক্ত করতে হবে। তখন বোঝেননি যে কোনও কালে এমন ভার এসে ঘাড়ে চাপবে যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো ঘাড়, কাঁধের ব্যথা সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে যাবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘাড়-কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে গেলে বা নাড়াচাড়া করতে অসুবিধা হলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে।

সব কাজে নাক গলানো মানেই মাথাব্যথা

বাড়ির সবকাজে তো বটেই, পরিবারের সকল সদস্যের ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের মূল্যবান মতামত দিতেই হয়। মনে মনে হয়তো ভাবতে ভালই লাগে যে, আপনার সিদ্ধান্ত ছাড়া বাড়িতে সামান্য ধুলোটুকু সরে না। কিন্তু তাতে যে দিনে দিনে মাথাব্যথা বাড়ে সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। বেশি মাথার পরিশ্রমই মাথা যন্ত্রণার উৎস।

;

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ



লাইফ স্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল খেজুর। তবে খেজুরের নাম শুনলেই অনেকের কাছে মনে পড়বে ইফতার কিংবা রোজার কথা। ইফতারে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও অন্যান্য সময়ে আমাদের খেজুর খাওয়ার তেমন অভ্যাস নেই। রোজার সময় ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। 

কেননা অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শক্তির অন্যতম একটি উৎস খেজুর। খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।।

বলা হয়ে থাকে, প্রতি চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া আছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।

ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে খেজুর

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পরিপূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কম থাকে।

ওজন বেড়ে যাওয়া রোধে খেজুরের ভূমিকা

খেজুর শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। অল্প পরিমানে খেজুর খেলেও তা ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে পাকস্থলী অল্প খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে।

হাড় গঠনে সহায়ক খেজুর 

ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। আর খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা আমাদের শরীরে হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

খেজুরের অন্যান্য উপকারিতা

হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ বলা হয়ে থাকে খেজুরকে।

খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। 

খেজুরে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। 

খেজুর সংক্রমক রোধ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এছাড়াও গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ উপকারী খেজুর।

শরীর ভালো থাকলে আমাদের মনও ভালো থাকে। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় কাজ বা পরিশ্রম করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এই ক্লান্তিভাব দূর করতে কাজ করতে পারে খেজুর 

তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে একদিনে অধিক পরিমানে (৬টির বেশি) খেজুর খাওয়া উচিত নয়।

;

পেট পরিষ্কার হয় না? এই ফলটি খেলেই কাজ!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পেট পরিষ্কার হয় না? এই ফলটি খেলেই কাজ!

পেট পরিষ্কার হয় না? এই ফলটি খেলেই কাজ!

  • Font increase
  • Font Decrease

পেট পরিষ্কার না হলে সারাদিন মনটা খচখচ করতে থাকে। একই সঙ্গে পেটের হালও খারাপ থাকে। প্রতিদিন কাজের মধ্যে পেট মাঝে মাঝেই চিন্তায় ফেলে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট ভালো না থাকলে তার প্রভাব মনেও পড়ে। মানসিক চাপ বেড়ে যায়‌। তবে এই সমস্যা দূর করতে একটি খাবার খেলেই হবে।

খাবারটি হল আলুবোখারা। হ্যাঁ, নামেই শুধু আলুর সঙ্গে মিল রয়েছে খাবারটির। তবে খাবারটি গাছে ফলে। টক মিষ্টি স্বাদের এই খাবার নিয়মিত খেলে পেটের হাল খারাপ হওয়ার চান্স নেই।

এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার পেটের কাজ ঠিকঠাক রাখে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়‌। এমনকি মনও ভালো থাকে‌।‌

;