রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে খেতে পারেন যে ৩ খাবার
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয় অনেকেরই। এসময় পা সাময়িক অসাড় হয়ে আসে। পেশিতেও টান ধরে। দ্রুত হাঁটতে গেলেই মনে হয়, এই বুঝি পড়ে যাব। অনেকটা সময় বসে থাকলে কিংবা পা ঝুলিয়ে রাখলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। সে কারণেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকা জরুরি। কারণ, রক্ত কতটা সচলভাবে শিরায় শিরায় বইছে, তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। শরীরে কয়েক হাজার রক্তনালি রয়েছে, যেগুলি হৃৎপিণ্ড-সহ শরীরের সব অঙ্গে রক্ত সরবরাহ করে। রক্ত সরবরাহের পরিমাণ ঠিক থাকলে শরীর ভাল থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। অনেক সময়ে রক্ত সঞ্চালন কমে যায় বলেই নানা বিপদের সৃষ্টি হয়। ফলে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার প্রাথমিক শর্ত হল রক্ত চলাচল সচল রাখে। তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা, হাঁটচলা করা ছাড়াও ভরসা রাখা যেতে পারে কয়েকটি ফলের উপর।
বেদানা
শরীরে রক্ত চলাচল সচল রাখার অন্যতম রাস্তা হল বেদানা খাওয়া। এই ফলে রয়েছে পলিফেনলের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শিরায় রক্তের সরবরাহ ঠিক রাখে। শুধু শিরা নয়, প্রতি কোষে অক্সিজেনের জোগান পর্যাপ্ত রাখতেও এই উপাদান কার্যকরী। রস করে অথবা খোসা ছাড়িয়ে বেদানা খেতে পারেন। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলেও বেদানা ওষুধের মতো কাজ করে।
বিট
বিটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা শরীরে পৌঁছে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। পেশিতে রক্তের যোগান পর্যাপ্ত রাখে। তাছাড়া এই উপাদান রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে এতে।
রসুন ও পেঁয়াজ
আমিষ রান্নার অন্যতম উপকরণ জুটি। রসুনে রয়েছে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রসুনের মতো পেঁয়াজেও রয়েছে স্বাস্থ্যকর উপাদান। পেঁয়াজে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গে সমানভাবে রক্ত সরবরাহ করে। রসুন রক্ত পাতলা করে, ফলে জমাট বেঁধে যাওয়ার কোনও ভয় থাকে না। অনেকেই নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধান পেতে রসুনের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।