যে ৫ টোটকায় বশে আনুন রাগ
কথায় কথায়, কারণে-অকারণে মাথাগরম হয়ে যায়? রাগের মাথায় ভুলভাল কাজকর্ম করে বসেন অনেকেই। কাকে কী বলছেন খেয়াল থাকে না সেই সময়ে। রাগের চোটেই বহু কাজ পণ্ড হয়ে যায়, বারোটা বাজে শরীরেরও। রাগ করে নিজের রক্তচাপ রকেটের গতিতে না বাড়িয়ে বরং রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখুন। বিষয়টি যদিও খুব সহজ নয়, তবে চেষ্টা করতে ক্ষতি কী?
অত্যধিক রাগের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, পেটের সমস্যা, অনিদ্রার মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। কীভাবে রাগ বশে রাখবেন, রইল তার হদিস।
>> কারও উপরে হঠাৎ রেগে গেলে তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিন। সাময়িকভাবে ওই জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। অন্য কোনও কাজে মন দিন। রাগ কমে গেলে সেই বিষয়ে মানুষটির সঙ্গে আবার কথা বলুন।
>> রাগ হলে একটি কাজ অবশ্যই করুন। ১০০ থেকে উল্টো দিকে গুনতে থাকুন। বড় বড় শ্বাস নিন, যাতে মন অন্য দিকে যায়। এতে আপনার রাগ কমে যাবে।
>> রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত যোগাসন করুন। রোজ ভোরবেলা উঠে যোগাসন করলে মনমেজাজ ভাল থাকে, মাথা ঠান্ডা থাকে।
>> কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে, সে দিকে মন দিন। শিশুরা ঘর অগোছালো করে রাখে বলে বিরক্ত হচ্ছেন? বার বার বলেও কাজ না হওয়ায় ওই ঘরে যাওয়াই বন্ধ করে দিন। সঙ্গী রোজ বাড়িতে দেরি করে আসেন বলে রাগ হয়? সঙ্গীর অপেক্ষা না করে আগেই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কী কারণে রাগটা হচ্ছে, তা বুঝে গেলে সমাধানের পথও নিজেই খুঁজে পাবেন।
>> রাগ অত্যন্ত বেড়ে গেলে মনোবিদের পরামর্শ নিন। অনেকেই মনোবিদের কাছে যেতে সঙ্কোচ বোধ করেন। রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিজেকে কীভাবে সামাল দেবেন, সেই পথ কিন্তু এক জন মনোবিদই আপনাকে দেখাতে পারেন।