যেসব ফলের গুণে জব্দ হবে কোলেস্টেরল
উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আমরা যা খাই তা শরীরে প্রভাব ফেলে এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ায়। কম বয়সীদের মধ্যেও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে তার নেপথ্যে যে সব সময় বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তা কিন্তু নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাকহারের ওপর। কারও যদি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকতে হবে ২০০ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটারের মধ্যে এবং এলডিএল ১০০ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটারের মধ্যে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপস, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে কয়েকটি ফল। যেগুলো আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
আপেল
কোলেস্টেরল বা হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকেরা সব সময়ই আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আপেল হৃদযন্ত্রের রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লেবু
ভিটামিন সি যুক্ত লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। কোলেস্টেরল থাকলে রোজ একটি করে লেবু খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
আঙুর
আঙুরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফাইবার সমৃদ্ধ আঙুর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রেখে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়। সেই ঝুঁকি কমাতে ওষুধের পাশাপাশি আঙুর খান বেশি করে।
কিউয়ি
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ভাল কোলেস্টেরলও থাকে। কিউয়ি এই ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাতে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও ধীরে ধীরে কমতে থাকে।