ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের সুস্থতার জন্য সুপারফুড চিয়াসিড খান 

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

খুব বেশি দিন হয়নি বাঙালির খাদ্যাভাসে নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে ছোট্ট একটি উপাদান চিয়াসিড বা চিয়া বীজ। বিশেষ করে যারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন তাদের জন্য তো চিয়াসিড একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। পুষ্টিবিদরাও বলছেন দেখতে ছোটো হলেও গুণে-মানে একেবারেই কম নয় এই চিয়াসিড। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ব্রেকফাস্ট টেবিলের নতুন এই উপাদানের আদ্যোপান্ত নিয়ে।

মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে চিয়া নামে এক ধরনের গাছ জন্মায়। পুদিনা পরিবারের ছোট এই গাছটির বীজ হচ্ছে চিয়াসিড। সাদা, কালো ও বাদামি রঙের চিয়াসিডগুলো আকারে খুবই ছোট, অনেকটা তিলের মতো। পানিতে ভেজালে চিয়াসিড ফুলে উঠে ১২ গুণ পর্যন্ত বড় হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

প্রাচীনকাল থেকে চিয়াসিড মানুষের রসনা তৃপ্ত করে আসছে। অ্যাজটেক এবং মায়ান সভ্যতার সময়ে চিয়াসিড খাবার প্রচলন ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি চিয়াসিড রূপচর্চা করতে ব্যবহার করা হতো। এর অনেক ঔষধিগুণ আছে বলে বিশ্বাস করত অ্যাজটেক ও মায়ান আদিবাসীরা। সে কারণে সাধারণ অসুখে চিয়াসিড খাবার প্রচলন ছিল তাদের মধ্যে।

চিয়াসিড এর পুষ্টিগুণ
পুষ্টিবিদরা চিয়া সিডকে সুপারফুড নামে ডাকতে ভালোবাসেন। কারণ এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।

বিজ্ঞাপন
ছবি: সংগৃহীত
 

চিয়াসিড এর উপকারিতা
১) চিয়া সিডসে যে অ্যাসেনশিয়াল অয়েল থাকে তার ৭০ ভাগই হলো লিনোলেনিক অ্যাসিড ও আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
২) দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে এবং পালং শাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি আয়রন আছে চিয়াসিডে।
৩) কমলার চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম এবং স্যামন মাছের চেয়ে প্রায় ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে চিয়াসিডে।
৪) এছাড়াও ভিটামিন এ, বি, ই, ডি ও সালফার আছে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও জিংক রয়েছে এই সুপারফুডে।

চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড স্বাদ ও গন্ধবিহীন একটি খাবার। এটা খাওয়ার জন্য রান্না করারও দরকার হয় না। পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়াসিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।
চিয়াসিড কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে চিয়াসিডসহ পানীয়টি পান করুন।