আজ পুরুষদের দিন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 “বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চীর কল্যাণকর। অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”- নারীদের প্রতি সম্মানার্থে জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম তার কবিতা পংক্তিটি তুলে ধরেছিলেন। সাধারণত সৃষ্টির শুরু থেকে নারীরা ছিল সুবিধাবঞ্চিত, তাদের অধিকার আদায় নিয়ে বেশি চর্চা হতো।

সেই থেকেই, আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে কত না উদযাপন! বিশ্বজুড়ে নারীদের কৃতিত্ব, সম্মান, স্বীকৃতি নিয়ে সচেতনতার নানা প্রচারণা! আধিনুকায়ণের এই যুগে নারীরা এখন পুরুষের সঙ্গে সমান তালের এগিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নারী দিবসের পাশাপাশি এখন পুরুষ দিবসও পালন করা হয়। যদিও এর খুব বেশি আলোচনা শোনা যায় না। এমনকি পুরুষরা জানেও না। তবে উৎসব করে না হলেও প্রতিবছরই পালিত হয় দিনটি।

১৯ নভেম্বর পুরুষ দিবস পালন করা হয়। পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমস্যাগুলো তুলে ধরাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য। সমাজে পুরুষদের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে এই দিনে আলোচনা করা হয়। যেন কিশোর ও যুবসমাজ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার উৎসাহ পায়। ২০২৩ সালের মটো হলো-‘পুরুষের আত্মহননরোধ’। পুরুষ মানেই যেন শক্ত, আবেগহীন, কঠোর কেউ। পুরুষদের কাঁদতে নেই, ভেঙে পড়তে নেই। তাদের মানসিক চাপ থাকবে না। অথচ ৪৫ বছরেরে নিচে অধিকাংশ পুরুষ মারা যায় আত্মহত্যা করেই। তাই এই বছর পুরুষ দিবসের লক্ষ্য, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া। 

বিজ্ঞাপন

জেনে নেওয়া যাক, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায়ও ‘পুরুষ দিবস’ উদযাপনের সূত্রপাত কীভাবে হলো! ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ডা. জেরোম তিলুকসিং তার পিতার কথা স্মরণ করে এই দিবস পালন করা শুরু করেন। সেই থেকেই প্রতি বছর ৮০টির বেশি দেশে এই দিবস পালন হয়ে আসছে।

অনেকেই ভাবতে পারেন, পুরুষ দিবসের কোনো উল্লেখযোগ্যতা আছে কী? নাকি কেবলই “নারী দিবস” আছে বলে, হিংসাত্মক মনোভাব থেকে পুরুষ দিবস এসেছে! এই দিনের উদ্দেশ্য হলো- বাবা, ভাই, স্বামী, ছেলে, বন্ধুদের যে বিশেষ প্রভাব সবার জীবনে থাকে তা অনুধাবন করা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। পাশাপাশি তাদের সুস্থতা, সুবিধা ও শান্তি নিশ্চিত করা। নারী ও পুরুষের মধ্যকার যেকোনো সম্পর্ককে সুস্থ ও বিশ্বাসযোগ্য করার ভিত্তি মজবুত করার সুযোগ এটি। সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতেও হয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মানুষকে বাঁচার কারণ ও উৎসাহ প্রদান করে। ফলে নিষ্ঠুর পুরুষতান্ত্রিকতাও লাঘব হয়।  পরিশেষে ভালো থাকুক, পরিবারের সবার জন্য দিনরাত খাটতে থাকা বাবারা; নিজের পছন্দ ও প্রয়োজন বাদ দিয়ে স্ত্রীকে প্রাধান্য দেওয়া স্বামীরা; সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শাসন করা ভাইয়েরা।

বিশ্ব জুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি।