নিউমোনিয়ার ঘরোয়া উপশম
শীতকালে সাধারণত কিছু রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে খুব কমন নিউমোনিয়া । এটি ফুসফুসে জীবাণুর ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। ফুসফুসের বায়ুথলিতে ব্যথা হওয়া এই রোগের বড় সমস্যা। আরও বেশি গুরুতর অবস্থা হয় যখন ফুসফুসে পানি জমতে শুরু করে বা পুজ ধরে যায়।
তবে কাশি, বুকে ব্যথা, ঠান্ডা, শ্বাসকস্টের সমস্যা হওয়া এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। এই রোগ সব বয়সের মানুষের হয়, তবে বৃদ্ধ এবং বিশেষ করে শিশুদের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
নিউমোনিয়ার কোনো ঘরোয়া চিকিৎসা নেই। তবু, ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ খাওয়া ছাড়াও উপকারী কিছু ঘরোয়া নিয়ম পালন করা ফলপ্রসূ। এতে দ্রুত সেরে ওঠার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত হয়।
কমলা: ভিটামিন সি ঠান্ডাজাতীয় সমস্যায় দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের জন্য কার্যকরী এন্টিঅক্সিডেন্টের উৎস কমলা । তবে গলা ব্যথার সমস্যা থাকলে বেশি টকজাতীয় কমলা খাওয়া উচিৎ নয়। ভিটামিন সি এর জন্য অন্যান্য টকজাতীয় ফল যেমন লেবু, কিউয়ি, ব্যেরি খাওয়া যেতে পারে।
শস্যজাতীয় খাদ্য: উন্নত শর্করারসমৃদ্ধ হোলগ্রেইন খাবার নিউমোনিয়ার সময় খাওয়া উচিৎ। যেমন বার্লি, ওটস, বাদামী চাল ইত্যাদি শস্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসব খাবারে ভিটামিন বি থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
গরম পানি ও তরল খাবার: পর্যাপ্ত পরিমাণে গরম পানীয় খাওয়া অনিবার্য। যেমন হলুদ গোলানো পানি ও চা।রোগীর অবস্থা ভেদে শরীরে পানির চাহিদা ভিন্ন। একবারে অনেক বেশি পানি পান করার চেয়ে, অল্প পরিমাণ গরম পানীয় বারবার পান করা বেশি কার্যকর। এছাড়াও, গরম অনুভূতির কারণে গলায় আরাম বোধও হয়।
মধু: বিভিন্ন ঔষধী গুণসম্পন্ন প্রাচীন উপাদানগুলোর একটি হলো মধু। এটি ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথার মতো নানাবিধ সমস্যার উপশম করে থাকে। লেমোনেডের সাথে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে স্বাদে মিষ্টতাও আসে, আবার গলার উপকারও হয়।
আদা: নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিউমোনিয়ার সকল উপসর্গসহ বুকে ব্যথার প্রতিও আদা প্রভাব ফেলতে পারে। আদা খাওয়ার ফলে বুকের কফ ও সর্দি কমে । এতে প্রশ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে সুবিধা হয়।