ইন্টারনেটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আতঙ্ক
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে এর সাহায্যে নারীদের বস্ত্র উন্মোচক কিছু নকল ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্র্যাফিকা’ এই ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের মতে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুরো বিশ্বে ২৪ মিলিয়নের বেশি মানুষ এইসব ওয়েবসাইটে গিয়েছে। যা সত্যিই শঙ্কাজনক।
গ্রাফিকার মতে, এসবের মধ্যে অধিকাংশ ওয়েবসাইট শুধুমাত্র প্রচারের জন্য এরকম নগ্নতার অসৎ পথ বেছে নিয়েছে। পরিলক্ষিত হয়, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই এসবের প্রকোপ বেড়েছে। বিজ্ঞাপনে মাধ্য়মে এক্স(সাবেক টুইটার) ও রেডি্ডটের মতো সোস্যাল মিডিয়ায় ওয়েবসাইটগুলো ২৪০০% দর্শক বাড়িয়েছে। এসব সাইটগুলো এআই ব্যবহার করে মানুষের নিখুঁত নগ্ন প্রতিচ্ছবি তৈরি করে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শুধুমাত্র নারীদের নিয়েই কাজ করে। গুগলের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন তারা এসব প্রচারণা করার পক্ষপাতি নন। ইতোমধ্যে এসব বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলার কাজ করছেন তারা।
গ্রাফিকার পর্যবেক্ষক সেন্টিয়াগো লাকাটোস বলেন, ‘এখানে আপনি এমন কিছু তৈরি করতে পারবেন যা অনেক বাস্তবসম্মত। আগে ডিপফেইক ভিডিওগুলো অনেকটা ঘোলাটে হতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়ে গেছে।’
তিনি আরও জানান, কিছু ওয়েবসাইট টাকার বিনিময়ে সাবক্রিপশন বিক্রি করছে। দর্শকদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে মাসিক ৯.৯৯ ইউএস ডলারের বিনিময়ে তারা এসব নকল ভিডিও দিয়ে দর্শক কামিয়ে নিচ্ছে।
এই ঘটনাগুলো সকলের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। কারণ, এগুলো বানোয়াট অনৈতিক ভিডিও প্রকাশ করে থাকে। এখন এআই এর মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষের চেহারা ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ এই নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। অনেকে নিজেদের ভুক্তভোগী হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ জানিয়ে এসব বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছেন।
এসব অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে উত্তর ক্যারোলিনার এক শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই চিকিৎসক তার রোগীদের ছবি নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নকল ভিডিও তৈরি করতেন।
সূত্র: এনডিটিভি