সাপ্তাহিক ছুটি, বাড়াবে কাজের গতি
প্রতিটি মানুষই শারীরিকভাবে সুস্থ ও মানসিকভাবে শান্ত থাকতে চায়। তবে জীবনের পথে চলতে নানারকম বাধাবিপত্তি আসবে এটাই তো স্বাভাবিক। ব্যক্তিজীবন ও পেশাগত জীবনে প্রতিনিয়ত নানারকম চ্যালেঞ্জ আসতে থাকে। অনেক সময় নানারকম পারিপার্শ্বিক চাপ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলতে পারে। তাই মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটা ছুটি দেওয়া প্রয়োজন। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে নিজেকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম দিন। মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকতে সময় কাটান প্রিয় মানুষদের সাথে। যদি আপনি ছুটি না নিয়ে একটানা কাজ করে যান তবে তা আপনার ক্যারিয়ারেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে।
ভারতীয় এপিএসি-এর এইচআর প্রধান মনীশা দাস এই ব্যাপারটি লক্ষ্য় করেছেন যে কাজের থেকে ছুটি নেওয়া ক্যারিয়ারের সামগ্রিক অগ্রগতিকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ এতে কাজের প্রতি অবসাদকে দূর করা যায়। তাই ছুটির প্রয়োজনীয়তাকে তিনি প্রধ্যান্য দেন। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে মনোরম ও শান্তিপ্রিয় পরিবেশ বজায় রাখার কথাও জানান তিনি।
'মানসিক ছুটি কেন প্রয়োজন?'-এই প্রশ্নে মনোবিজ্ঞানী রোহান কুমার জানান, এটি মানুষের স্বাভাবিক চাহিদার একটি অংশ। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে অনেকে স্ট্রেসড হয়ে যান। এরকম সময়ে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে ছুটি নেওয়া প্রয়োজন।
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের মধ্যে সহযোগীতামূলক মনোভাব থাকা অত্যন্ত প্রয়েজনীয়। এতে কাজের চাপেও ধকল অনেকটা কম মনে হয়। যা আপনার কাজের গতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি দীর্ঘ কর্মজীবন অভিজ্ঞতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি জানান, সাপ্তাহিক ছুটি নিলে শরীর ও মস্তিষ্ক কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। এতে একঘেয়েমি আসে না আর কাজের প্রতি ভালোবাসাও বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, 'পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর পর যখন আবার কাজে ফিরবেন, নিজেকে উজ্জীবিত মনে হবে। একসাথে রান্না করে, গল্প করে বা আড্ডা দিয়ে বা কাছের কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশে ছোট পিকনিক করার মাধ্যমে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেন।'
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস