শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাবেন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সময় অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়তি থাকে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়া, রোদের স্বল্পতা এবং জীবাণুর ব্যাপ্তি বাড়ে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো দুর্বল হতে শুরু করে। ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, সর্দির মতো রোগের আক্রমণ কম-বেশি দেখা যায়।

ভারতীয় কেয়ার হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ডাক্তার সুষমা কুমারি জানান- শীতে এমন খাবার বেশি খাওয়া উচিত, যা রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়ায়। যেমন- ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ খাবার। এসব রোগের সংক্রমণ ও অসুস্থ হওয়ার মাত্রা কমায়। তিনি কিছু খাবারের নাম বলেছেন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।

বিজ্ঞাপন

টকজাতীয় খাবার: ‘ভিটামিন সি’ খুব শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট। এর প্রভাবে শ্বেত রক্তকণিকা ও অ্যান্টিবডির উৎপাদন বাড়ে। টকজাতীয় খাবার ভিটামিন সি-এর সবচেয়ে ভালো ও সহজলভ্য উৎস। এজন্য কমলা, আঙ্গুর, লেবু ইত্যাদি খেতে পারেন।

ব্রোকলি: ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ই’ রয়েছে। এছাড়াও ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকে এই খাবার। এতে সালফোরাফেন নামক উপাদান রয়েছে। যা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।    

বিজ্ঞাপন

আদা: শীতকালে আদা শরীরকে গরম রেখে আরাম প্রদান করে। গলার জন্যও আদা খুব উপকারী। এছাড়াও এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ রয়েছে। ফলে, আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।  

পালং শাক: পালংশাক একটি প্রাকৃতিক পাওয়ার হাইজ। এতে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ ছাড়াও নানান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে থাকা আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।     

দই: প্রোবায়োটিকসের উত্তম এক উৎস হলো দই। অন্ত্রের সুরক্ষায় দই অনেক কার্যকর। ‍সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।

বাদাম ও বীজ: শুষ্ক ফল বা সবজির বীজ ও বাদামজাতীয় খাবারে ভিটামিন ই থাকে। রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে আমন্ড ও সূর্যমুখীর বীজে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর স্নেহ উপাদান থাকে।

রসুন: রসুনে অ্যালিসিন নামক পদার্থ থাকে, যা অ্যান্টি মাইক্রোবাইয়াল গুণের কারণে সুপরিচিত। জীবাণুর সাথে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর ভূমিকা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস