মাইক্রোওয়েভে রি-হিট করা যাবে না যে খাবারগুলো
প্রযুক্তির জন্য কাজের গতি বেড়ে গেছে, যুক্ত হয়েছে সুবিধা।
সহজলভ্য হওয়ায় ঘরে ঘরে এখন মাইক্রোওয়েভ ওভেন। একবেলায় রান্না করে কয়েকদিন পর্যন্ত সেই খাবার গরম করে খাওয়া যায় অনায়াসে। কিন্তু কিছু খাদ্য উপাদান মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পুনরায় গরম করে খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। বিধায় বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন, সুবিধা উপেক্ষা করে এই সকল খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম না করার জন্য।
প্রসেসড মাংস
বিভিন্ন ধরণের প্রসেসড মাংসে কেমিক্যালস ও প্রিজার্ভেটিভ ব্যবহার করা হয়। যা স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দুঃখজনকভাবে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করার ফলে যা আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। মাইক্রোওয়েভে গরম করার ফলে না জেনেই প্রসেসড মাংসের অক্সিডাইজড কোলেস্টেরলকেও কেমিক্যালে রুপান্তর করে ফেলছি আমরা। এমনটাই জানিয়েছে জার্নাল অফ এগ্রিকালচার এন্ড ফুড কেমিস্ট্রি।
এদিকে ফুড কন্ট্রোল জার্নাল প্রকাশিত হওয়া অন্য একটি গবেষণা জানাচ্ছে, মাইক্রোওয়েভে প্রসেসড মাংস ফেটে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। ফলে প্রসেসড মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে চুলায় গরম করা বা রান্না করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ভাত
অনেকেই হয়তো ভাতের নাম দেখে বিরক্ত ও হতাশ হচ্ছেন। কিন্তু ফুড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাজেন্সি বলছে ভাত মাইক্রোওয়েভে গরম করা ফলে ফুড পয়জনিং এর মতো বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভাতে খুবই কমন রেসিট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ‘ব্যাসিলাস সেরেয়াস’ উপস্থিত থাকে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফুড মাইক্রোবায়োলজি এর গবেষণামতে, উচ্চ তাপেও এই ব্যাকটেরিয়া অক্ষত থাকে।
এছাড়া মাইক্রোওয়েভ থেকে গরম করা ভাত পরবর্তিতে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিলে এই ব্যাকটেরিয়া অতি দ্রুত দ্বিগুণ হয়ে যায়। যার ফলে ফুড পয়জনিং এর সমস্যা দেখা দেয়।
শাক
বিভিন্ন ধরণের রান্না করা শাক রয়ে গেলে মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া হয়। যা কিনা ভীষণভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাইক্রওয়েভ করার ফলে শাকের গুণ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। শাকে থাকা উপকারী নাইট্রেট গরম তাপে নাইট্রোস্যামিনস (Nitrosamines) নামক উপাদানে রূপান্তরিত হয়ে যায়। যা ক্ষেত্র বিশেষে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
বিটরুট
নাইট্রেটপূর্ণ প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর এই খাদ্য উপাদানটির ক্ষেত্রেও শাকের মতো ঘটনা ঘটে। মাইক্রোওয়েভে গরম করার ফলে চমৎকার এই খাদ্য উপাদানটির স্বাস্থ্য উপাকারিতা নষ্ট হবার পাশাপাশি বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
কাঁচামরিচ
মরিচে থাকে ক্যাপসাইসিন, যা মরিচকে ঝাল হতে সাহায্য করে। মাইক্রোওয়েভের গরম এই ক্যাপসাইসিন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গরম করার পর মাইক্রোওয়েভের দরজা খোলার ফলে চোখ, নাক ও গলা জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভে গরম করার সময় কাঁচামরিচ ফেটে যাবার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে।
আরও পড়ুন: যে খাবারগুলো গরম করতে মানা
আরও পড়ুন: শীতকালেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকুক অটুট