কিডনি সুরক্ষিত রাখতে মেনে চলুন ৭ নিয়ম

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কিডনির সুরক্ষা প্রয়োজন

কিডনির সুরক্ষা প্রয়োজন

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে বৃক্ক একটি। আমরা যে পানীয় পান করি, তার রেচনক্রিয়া সম্পন্ন করে কিডনি বা বৃক্ক। তরলের সাথে অবশিষ্ট নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ মিশে যায়। মূত্রের মাধ্যমে তা শরীর থেকে বাইরে চলে গিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। ‍কিন্তু বৃক্ক অচল হলে বা কার্যকারিতা কমে গেলে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। তাই সময় থাকতেই বৃক্ক সুস্থ রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন-

সক্রিয় এবং ফিট থাকুন: নিয়মিত ব্যায়াম করার নানামুখী সুবিধা রয়েছে। এরমধ্যে একটি- দীর্ঘদিন কিডনি রোগের ঝুঁকি থাকে না। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকায় হার্টও সুস্থ থাকে। কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধে এই উভয় ‍সুরক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা নাচার মাধ্যমেও ব্যায়াম করা যায়।

বিজ্ঞাপন

রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস বা রক্তে উচ্চ শর্করার কারণে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। চিনির পরিমাণ বেশি হলে, রক্তকে ফিল্টার করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। দীর্ঘদিন এমন চললে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

রক্তচাপ: অনেক সময় ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সাথে উচ্চ রক্তচাপও দেখা দেয়। সাধারণ ১২০/৮০কে স্বাভাবিক রক্তচাপ রিডিং ধরা হয়। রক্তচাপের রিডিং ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

বিজ্ঞাপন

ওজন এবং খাদ্যাভ্যাস: যাদের ওজন বেশি তারা নানারকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কম সোডিয়াম, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং অন্যান্য কিডনি ক্ষতিকারক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সুষম খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি কমে। ফুলকপি, ব্লুবেরি, মাছ, শস্যজাত খাবারে প্রাকৃতিকভাবে সোডিয়াম কম থাকে।  

তরল পানীয়: দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করলে সোডিয়াম এবং টক্সিন পরিষ্কার হয়। আগে যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে, তাদের আরও বেশি পানি পান করা উচিত।

ধূমপান: ধূমপান করলে শরীরের রক্তনালীর ক্ষতি করে। এছাড়া কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়।

ঔষধ: নিয়মিত হাই পাওয়ার ব্যথার ওষুধ খাওয়া কিডনির ক্ষতি হতে করে। ‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন’ অনুসারে,ব্যথার জন্য ১০দিন বা জ্বরের জন্য ৩ দিনের বেশি ব্যথার ঔষধ খাওয়া উচিত নয়।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন