কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফলমূলের প্রভাব
মাঘ মাস প্রায় শেষ হতে চলেছে। আর কিছু দিন বাদেই ফাল্গুনের হাত ধরে আসবে বসন্ত। তাই শীতের প্রকোপও কমতে শুরু করেছে। মৌসুম বদলানোর এই সময় দেখা যায়, নানারকম রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো গুরুতর সমস্যাও বাড়তে দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার সমাধানে ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হয়। সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় চিকিৎসক দীলিপ গুডে। তিনি বলেন ফলমূল ফাইবারের সবচেয়ে ভালো উৎস। এছাড়াও এতে পানি এবং প্রয়োজনীয় অনেক উপকারী পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
ফলে থাকা নানারকম উপাদানের কারণে অন্ত্রের কার্যক্রম প্রভাবিত হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ফল খেতে হয়। ফলের খেলে যেভাবে সমস্যা সমাধান হতে পারে-
ফাইবার: ফাইবার সমৃদ্ধ ফলমূল কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সমাধানে কাজ করে। এর প্রভাবে খাদ্যের অবশিষ্ঠাংশ নরম হয়। পরিপাক তন্ত্রে এর চলাচল সুবিধাজনক হয়। কিউয়ি, বেরি, আপেল, নাশপাতি, সাইট্রাসের মতো ফল কোষ্ঠ্যাকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখে।
প্রাকৃতিক জোলাপ: জোলাপ হলো এমন খাদ্য বা ঔষধ, যা অন্ত্রের খাদ্যের অপসারণকে প্রভাবিত করে। কিছু ফল আছে যা প্রাকৃতিকভাবে এই কাজ করে। যেমন প্রুন বা ছাঁটাই ফল। এগুলো মূলত শুকনো আলুবোখারা। এছাড়াও কিউয়িতে অ্যাক্টিনিডিন নামক একটি প্রোটিওলাইটিক এনজাইম রয়েছে। এটি অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পানি: কিছু ফলে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। দেখা যায় শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পানি সমৃদ্ধ ফলগুলো শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। যেমন তরমুজ, শসা, কমলা ইত্যাদি। পানির অভাব পূরণ হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারে।
ইলেকট্রোলাইট খনিজ: কলাতে অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। পেশির সংকোচন প্রসারণে পটাশিয়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই অন্ত্রের কার্যক্রমেও পটাশিয়াম সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কলা খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য উপকারী।
প্রিবায়োটিকস: কিছু ফল অন্ত্রের উপকারী ব্যাকরিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এসব অণুজীব হজমের কাজের সাহায্য করে। যেমন- কলা, আপেল, বেরি ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস