বই পড়ার উপকারিতা
বইকে মানুষের উপকারী বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বই পড়া হলো এমন এক অভ্যাস যার কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই। বইয়ের নানাবিধ উপকারী দিক রয়েছে। বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে উন্নত করে। জেনে নিন বই পড়লে যেসব উপকার হয়-
মস্তিষ্ক সংযোগ শক্তিশালী: নিউইয়র্ক সিটির ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট সাব্রিনা রোমানফ বলেন, পড়া মস্তিষ্কের নিউরনকে উদ্দীপিত করে। এই প্রক্রিয়া নিউরোজেনেসিস নামে পরিচিত। মস্তিষ্কের কোষগুলো পুরানো নিউরন কোষের সাথে নতুন নিউরোনাল সংযোগ তৈরি করে। বই পড়ার মাধ্যমে এই সংযোগ স্থাপনকারী প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত হয়।
স্মৃতিচারণ করতে সাহায্য করে: জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত হলো শেখা, মনে রাখা এবং বিচার করার ক্ষমতা। মনোযোগ ধরে রাখা এবং স্মৃতিধারণ করা হল জ্ঞানীয় কার্যকারিতার দুটি দিক। বয়সের কারণে এসব তথ্য প্রভাবিত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, বই পড়া জ্ঞানীয় কার্যকারিতা রক্ষা করে। এমনকি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
মানসিক চাপ কমায়: গবেষণায় দেখা যায়, দৈনিক মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য বই পড়াও অত্যন্ত উপকারী। এতে শারীরিক এবং মানসিক চাপের লক্ষণ কমতে পারে। একটি গবেষণায় মানসিক চাপের উপর যোগব্যায়াম, হাস্যরসাত্মক ভিডিও এবং বই পড়ার প্রভাব তুলনা করা হয়। সেখানেই তথ্য পাওয়া যায়, বই পড়ায় সবচেয়ে বেশি হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ হ্রাস পায়।
আয়ুর উপর প্রভাব: বই পড়া শুধু মস্তিষ্ক নয়, শরীরের জন্যও উপকারী। ২০১৭ সালে ১২ বছরের চেয়ে বড়দের উপর একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে যে, যারা বই পড়েননি তাদের তুলনায়; বই পড়া মানুষদের মৃত্যুর ঝুঁকি শতকরা ২০ ভাগ হ্রাস পায়। বই পড়া বেশি দিন বাঁচার কারণ নয়। তবে এর প্রভাবে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা রক্ষা করা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে এর প্রভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।
স্মৃতিশক্তি এবং একাগ্রতা: মস্তিষ্ক কোনো পেশী নয়, তবে মস্তিষ্কের ব্যায়ামও জরুরি। বই পড়া মস্তিষ্কের জন্য জ্ঞানীয় চর্চা। এর ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং একাগ্রতাকেও শক্তিশালী করে।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার