মাসনিক ভাবে সুস্থ থাকা পরিবর্তিত হয় আমরা কি খাই তার ভিত্তিতে। কারণ খাদ্য এমন এক বস্তু, যা আমাদের সমগ্র শরীরের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। কিছু খাবার আছে যা আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন- বেরি, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার উচ্চ নিউট্রিয়েন্টসম্পন্ন হয়। এসব খাবার যেমন মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত রাখতে সাহায্য করে, তেমন মেজাজকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ভারতের নিউট্রিশনিস্ট এবং জীবনধারা বিশেষজ্ঞ গীতিকা বাজাজ বলেছেন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণকারী কিছু খাবারের নাম-
বিজ্ঞাপন
১. খাবারনিয়ন্ত্রণ: উচ্চ চিনি বা সুগার এবং স্নেহজাতীয় খাবার পরিত্যাজ্য। এসব খাবার মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি করে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বেরিজাতীয় ফলে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব খেলে মস্তিষ্ক কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায়। তাছাড়া, মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
বিজ্ঞাপন
৩. জিঙ্ক: কাজু বাদামে জিঙ্কের আধিক্য থাকে। শতকরা ১৪ থেকে ২০ ভাগ জিঙ্ক প্রদান করার ক্ষমতা আছে কাজু বাদামে। কাজু খেলে উদ্বেগ হ্রাস পায়।
৪. ম্যাগনেসিয়াম: চিয়া বীজ, কুমড়ার বীজ এবং ডিমে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম।
৫.ট্রিপটোফ্যান: ট্রিপটোফ্যানের অনন্য উৎস হলো ডিম। এছাড়াও, এই খাবার সেরোটোনিন উৎপাদনে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে।
৬. দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুধে ট্রিপটোফ্যান, মেলাটোনিন এবং ভিটামিন বি থাকে। দুধের পুষ্টি মানসিক চাপ কমায় এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
৭. শাক: ফোলেট সমৃদ্ধ শাক-সবজি নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন করে। এরা উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করে মানসিক অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৮. ভিটামিনডি : ভিটামিন ডি এর উন্নত উৎস সালমন এবং সার্ডিন। এই খাবারগুলো উদ্বেগের সাথে মেজাজ সম্পর্কিত সমস্যাও উপশম করতে পারে।
ডায়াবেটিস অর্থাৎ সুগার রোগ আজ খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। যেকোন একটি পরিবারের দু-একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অতি সাধারণ ঘটনা। তবে ডায়াবেটিসকে সাধারণ কোন রোগ মনে করার কোন কারণ নেই। অযত্ন কিংবা বেখেয়ালে হতে পারে মারাত্মক কিছু। নিয়মিত ব্যায়াম আর খাবারের প্রতি সচেতন হলে রোগীরা একদম সুস্থ থাকে।
খাদ্যাভ্যাস এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার কারণে ডায়াবেটিস অর্থাৎ সুগার রোগ আজ খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। ডায়াবেটিসে খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। খাবারের তারতম্যের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুতই বেড়ে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। তাই বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আজ আমরা ডায়াবেটিস রোগীদের এমনই একটি খাবার 'ডাল' নিয়ে কিছু তথ্য জানাবো। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন ডাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এবং কোন ডাল এড়িয়ে চলা ভালো।
ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব ডাল এড়িয়ে চলতে হবে
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস হলে প্রায় সব ডালই খাওয়া যেতে পারে। তবে তা খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। কিছু ডাল রয়েছে যা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। তার মধ্যে কালো ছোলার ডাল, রাজমা এবং সাদা ছোলা অন্যতম। এগুলো সহজে হজম হয় না ফলে পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কালো ছোলার ডাল অতিরিক্ত খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। এগুলোতে থাকা উচ্চ ক্যালোরির ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে পারে।
সুগারের সমস্যায় এই ডালগুলো খুবই উপকারী
কালো ছোলার ডাল বাদে অন্য সব ডাল সীমিত পরিমাণে খেলে সমস্যা নেই। তবে কিছু ডাল আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুগ, ছোলার ডাল। প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিনের মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এই সব ডালে পাওয়া যায়। যা শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নয় সকলের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।
প্রায় সময়ই আমাদের মনে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। খাবার যে শুধু ক্ষুধা লাগলেই খায় বা খেতে ইচ্ছা হয়, তেমনটা হয়। অনেক সময় রসনা তৃপ্তির জন্যও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। তবে হঠাৎ কোনো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা এমনি এমনি নাও হতে পারে। শরীরের কোনো উপাদানের ঘাটতি হলে, সেই সংকেত দেয় আমাদের জিহ্বা।
লো ব্লাড সুগার থেকে মানসিক চাপ, এমনকি নারীদের পিরিয়ডের কারণেও ক্রেভিং অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কোনো খাবার খাওয়ার বা পান করার ইচ্ছা জাগতে পারে। কোন খাবার খাওয়ার বাসনা কোন সমস্যার কারণে হতে পারে, জেনে নিন-
লো ব্লাড সুগার: শ্বেতসার সম্পন্ন খাবার যেমন রুটি, পাস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা জাগার মানে হলো, রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘসময় শ্বেতসার খাওয়া না হলে এমনটা হতে পারে। হঠাৎ রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করা কমে গেলে স্টার্চজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে। সেক্ষেত্রে আস্ত বীজ ও শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। শস্যজাতীয় খাবারে ফাইবার অর্থাৎ, তন্তুজাতীয় উপাদানের আধিক্য থাকে। এছাড়া এসব উপাদান হজম হতেও সময় লাগে, তাই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। শস্যজাতীয় খাবার অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভরপুর।
মানসিক চাপ: গবেষকদের মতে, যখন মানুষ মানসিক চাপে থাকে, তখন কর্টিসোল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়। এরকম হলে চিনি বা মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে হঠাৎ রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায় আবার ভেঙেও যায়। এরফলে মেজাজ খারাপ হওয়া এবং ক্লান্ত বোধ হতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা মেটাতে ফল, দই বা ঠান্ডা দই খেতে পারেন। ফল বা দই একটি চমৎকার নাস্তা। দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের জন্য ভালো। অন্যদিকে, বেরি বা ফলে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
তৃপ্তির অভাব: গরম, সুস্বাদু কোনো পেট ভরিয়ে কিছু খেতে ইচ্ছে করলে মিষি্ট আলু বা মসুর ডাল খাবারে রাখতে পারেন। মসুর ডালে প্রোটিন, ফাইবার থাকায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে এবং বার বার ক্ষুধা লাগার সমস্যা কমিয়ে আনে। মিষি্ট আলুও ফাইবার আর ভিটামিন ‘এ’-এর ভালো উৎস। তাই এই খাবার গুলো অনেকক্ষণ পেট ভরা রেখে তৃপ্তি আনে।
এর বিকল্প হতে পারে উচ্চ আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার। ক্ষুধা মেটাতে আর তৃপ্তি প্রদানে ডিম, মাছ, মুরগীর মাংসও ভালো কাজ করে।
পিরিয়ড সাইকেল: নারীদের ক্ষেত্রে, মানসিক চাপে থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে। বিশেষ করে চকলেট খাবার খেতে ইচ্ছা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি হয়। গবেষণাতেও দেখা গেছে নারীদের পিরিয়ড চলাকলে সাধারণত চকলেট, মিষ্টি, নোনতা খাবার ইচ্ছা বেশি হয়। সেক্ষেত্রে চকলেট বা বাদাম বা নারকেল দুধ খাওয়া যেতে পারে। চিনিবিহীন বা কম চিনিযুক্ত চকলেট দুধও পান করা যেতে পারে। বাদাম আর বীজ খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়।
পিপাসা: অনেকের ক্ষেত্রে শুধু খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগতে দেখা যায়। মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশ ক্ষুধা-তেষ্টা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অনেক সময় পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে খাবারের সাথে সাথে পানীয় পানের ইচ্ছাও জাগে। তাই যদি কখনো ক্ষুধা বোধ হয় কিন্তু কি খাবেন ভেবে পান না, তখন এক গ্লাস পানি পান করুন। পানি পানের পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কিনা।
মানুষের শরীরে সোডিয়ামঘাটতি সহ বিভিন্ন কারণে খাওয়ার পর তৃপ্তি বোধ না করার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন উপাদানের অভাবজনিত কারণে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হতে পারে।ফল, দই, ডিম এবং বীজ ও শস্য খাবার এধরনের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সাহায্য করতে পারে। তবে বেশি গুরুতর পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বর্তমানে আমরা এমন এক পর্যায়ে আছি যেখানে আমরা যখন কারও সঙ্গে কথা বলি প্রায়শই অনুভব করি যে তারা আসলে শুনছেই না। আবেগের প্রতি যথাযথ মনোযোগের অভাব কিংবা ক্রমাগত নেতিবাচকতা ও বিভিন্ন কারণে খুব সহজেই সম্পর্কগুলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার এবং অন্যদের মধ্যে অজান্তেই তৈরি হতে পারে। আসুন মনোবিজ্ঞানের মতে সম্পর্কের ৭টি লক্ষণের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া যাক, যেসব লক্ষণের কারণে মানুষ সম্পর্কে দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সঙ্গীর প্রতি অমনোযোগী
দুজন কথা বলার সময় যখন কেউ একজন অমনোযোগী হয়, তখন অন্যজন অপমানিত বোধ করতে পারে। মনে হতে পারে সে মূল্যহীন। একসঙ্গে থাকার পরও যখন কেউ ফোন স্ক্রলিং কিংবা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকে এতে ক্রমাগত দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সত্যিই এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্ক তৈরি হওয়া কঠিন। কেউ আপনার প্রতি যত্নশীল, আপনার খেয়াল রাখছে মানুষ সাধারণত এটাই পছন্দ করে। সঙ্গীর প্রতি আপনার মনোযোগ দিন এতে সঙ্গী নিজেকে মূল্যবান ভাবতে শেখে।
আবেগহীন মনোভাব
যদি একজন ব্যক্তি তার অনুভূতি গোপন রাখে বা নিজের আবেগকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারে না, তাহলে অন্য ব্যক্তির সাথে কোন সম্পর্ক তৈরি হয় না। দুজনের আবেগ অনুভূতি সঠিকভাবে প্রকাশ পেলে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়ে, তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা। অন্যথায়, এটি কেবল বন্ধুত্বের বন্ধনে পরিণত হতে পারে।
অতিরিক্ত ঈর্ষা
সামান্য ঈর্ষা স্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু যখন তা চরম আকার ধারণ করে, তখন তা অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক হয়ে ওঠে। সঙ্গী কোথায় আছে এবং তারা কার সাথে সময় কাটাচ্ছে তা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। সঙ্গীর প্রতি ঈর্ষাও ভালোবাসার প্রতিফলন। তবে, অতিরিক্ত ঈর্ষা নিরাপত্তাহীনতা অবিশ্বাসের লক্ষণ। যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। সম্পর্কে বিশ্বাস না থাকলে তা সহজেই ভেঙে পড়ে।
নেতিবাচকতা পোষণ
যখন একজন ব্যক্তি সবসময় খারাপ আশা করে বা সবকিছুকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে, তখন তার চারপাশে থাকা মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যারা কঠিন সময়েও ইতিবাচক থাকে, প্রিয়জনকে দূরে না সরিয়ে কাছে টানে মানুষ এমন লোকদের পছন্দ করে।
যোগাযোগে অদক্ষ
এমন মনে হতে পারে যে একজন ব্যক্তি যদি কথোপকথন চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হন বা সঠিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারে তবে সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এবং একে অপরকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য কথা বলা প্রয়োজন। দুজনের অবস্থা সুখ-দুঃখ ভাগ করে না নিলে সত্যিকারের মানসিক সংযোগ ঘটে না।। সুন্দর সম্পর্কের জন্য ভালো যোগাযোগ খুবই নিয়ামক।
লক্ষ্যহীন মনোভাব
যে ব্যক্তি লক্ষ্যহীন তিনি সহজেই সঙ্গীর কাছে মূল্যহীন হতে পারে। জীবনে কোনও দিকনির্দেশনা না থাকলে মানুষ খুব কমই সফলতা অর্জন করে।। মানুষ উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন ব্যক্তি বা পরিশ্রমী ব্যক্তিদের প্রতি আগ্রহী হয়। সঙ্গীর সঙ্গে জীবনের উদ্দেশ্য ভাগ করে নেওয়া, কর্মপরকিল্পনা ঠিক করার মাধ্যমে সম্পর্ক অটুট থাকে।
অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ
অনেকেই মনে করে সঙ্গীকে অতিরিক্ত চাপে রাখলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। যখন কাউকে চাপে রাখা হয় তখন সুস্থ আলোচনা এবং আপোষের কোনও সুযোগ থাকে না। মানুষ সাধারণত অতিরিক্ত চাপের প্রতি বিরক্ত বোধ করে। মানুষ নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। একটি সম্পর্ক এমন হওয়া উচিত নয়, যাতে শুধুমাত্র সম্পর্ক টিকে রাখার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত মানষিক চাপে থাকতে হয়।
কর্মব্যস্তময় আমাদের জীবন। সারা দিনের পরিশ্রম ও ঘরে-বাইরে সামাল দিতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত। এসব ব্যস্তার মাঝে মুখের কিছুটা যত্ন নেয়া হলেও একেবারেই নেয়া হয় না চুলের যত্ন। সপ্তাহ কিংবা মাসে একবারও নিয়ম করে স্যালনে যাওয়ার অবসর হয় না। কিংবা সময় সুযোগ হলে তা অনেকের জন্য ব্যয় সাপেক্ষ। নিত্যদিনের সকল চাহিদার ভিড়ে স্যালনে অনেকেরই যাওয়া হয়ে ওঠে না। কারও আবার স্যালনের কেমিক্যাল চুলে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। সারা সপ্তাহে চাকরি-বাকরির পর অথবা ঘরকন্যা করার পর সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টা রাখুন নিজের জন্য।
চাইলেই ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে স্যালনের মতোই স্পা বাড়িতে করে ফেলা যায় নিমিষে। রুক্ষ চুল সহজেই হবে মসৃণ-ঝলমলে। সত্যি বলতে সপ্তাহ জুড়ে রোদ, জল, ধুলোর আক্রমণে চুলের যে দুরবস্থা হয়, তা অন্তত কিছুটা পুষিয়ে নিতে সপ্তাহের যেকোন দিন কিংবা ছুটির দিনটিকে কাজে লাগাতে পারেন।
ঘরে বসে হেয়ার স্পা করতে যে যে উপকরণ প্রয়োজন
১) যেকোন নারকেল, অলিভ বা কাঠবাদামের তেল।
২) চুলের যেকোনও ভাল স্পা ক্রিম। হাতের নাগালে ক্রিম না থাকলে কলা হাতে মেখে কিংবা ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।
ধাপে ধাপে চুলে স্পা করবেন কীভাবে?
১. প্রথমে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে শুকনো চুলের জট ছাড়িয়ে নিন।
২. তারপর পছন্দ মতো যে কোনও তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বক এবং চুলে মেখে নিন। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে সেই অংশে তেল মাখুন ভাল করে। অন্তত আধ ঘণ্টা তেল মেখে রাখুন।
৩. এবার চিরুনি দিয়ে সিঁথি ভাগ করে স্পা ক্রিম মেখে নিন। যদি স্পা ক্রিমের পরিবর্তে কলা মাখতে চান তা হলে কলা ভাল করে মেখে কিংবা ব্লেন্ড করে একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে মাথায় মেখে নিন।
৪. অন্তত মিনিট ২০ শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। শাওয়ার ক্যাপ না থাকলে তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন।
৫. বাড়িতে যদি ভেপার নেওয়ার যন্ত্র থাকে, তা দিয়ে চুলে গরম জলের ভাপ নিন। অন্যথায় গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে, নিংড়ে নিয়ে তা মাথায় মুড়িয়ে রাখতে পারেন।
৬. আরও আধ ঘণ্টা পর হালকা গরম পানিতে মাথা ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। প্রয়োজনে বার দুয়েক শ্যাম্পু করতে হবে।
৭. সব শেষে কন্ডিশনার দিতে ভুলবেন না। মিনিট পাঁচেক মাথায় কন্ডিশনার রেখে, তার পর ধুয়ে ফেলুন।
৮. মাথা ঘষে ঘষে মুছবেন না। তোয়ালেতে মাথার পানি টেনে নিলে তারপর সিরাম মাখতে পারেন।