শিশুর জীবনধারা পরিবর্তনে বাবা-মায়ের ভূমিকা
সময়ের সাথে সাথে শিশুরা এক সময় বড় হয়। নির্দিষ্ট একটা বয়সে এলে সকল শিশুকেই একসময় শৃঙ্খলায় চলা শুরু করতে হয়। দুরন্তপনা, লুটোপুটি আর হাসি-খেলার জীবনে একটু একটু করে জায়গা করে দিতে হয় নতুন অভ্যাসের। বই পড়া, ছবি আঁকা, গুনতে শেখার মতো ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু হয়। তবে কিছু বছরের মধ্যেই ব্যাপক পরিবর্তন আসতে শুরু করে জীবনে। অনেক সময় শিশুরা এরকম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকে না। তাই জীবনযাত্রার নতুন যাত্রায় তারা নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে অভিভাবক হিসেবে বিশেষ ভূমিকা থাকে। সেই ব্যাপারেই পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানী জ্যাজমিন ম্যাকয়। জেনে নিন, ছোট শিশুর পিতা-মাতা হিসাবে আপনার করণীয়-
১. শিশুদের জীবনে যখন পরিবর্তন আসতে শুরু করবে তখন তাকে সারাদিনে কি কি হতে পারে এবং করতে হবে সেই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিন। যেমন, প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার সময় সারাদিনের রুটিন তাকে বুঝিয়ে বলুন। এতে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারে।
২. জীবনে হঠাৎ পরিবর্তন শিশুদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তারা মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্থ বা হতাশাগ্রস্থ হতে পারে। এসময় শিশুদের সাথে মানসিক সম্পর্ক স্থাপন করুন এবং সাহস জোগাতে সাহায্য করুন। ছোট বলে শিশুদের আবেগকে অবহেলা করা উচিৎ নয়।
৩. শিশুদের জোর করার পরিবর্তে তাদের পরিবর্তনগুলো সহজ করা উত্তম পদক্ষেপ। হঠাৎ ব্যাপক পরিবর্তন শিশুদের জন্য কঠিন হতে পারে। তাই সহনীয় মাত্রায় পরিবর্তন শুরু করে ধীরে ধীরে তার পরিমাণ বাড়ালে শিশুর জন্য পরিবর্তন সহজ হয়।
৪. পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ধৈর্য্য প্রয়োজন। শিশুকে তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কার শেখানোর ক্ষেত্রে বাবা-মা সাহায্য করতে পারে।
৫. শিশুরা তাদের নিয়ন্ত্রিত পরিবশে থাকতে বেশি পছন্দ করে। তবে আরামদায়ক পরিবেশের বাইরে কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখবে সেই প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস