ওজন বাড়ার ঝুঁকিতে থাকেন হাঁপানি রোগীরা
অনেকেই অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভোগেন। বেশিরভাগ মানুষই খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, ফলে কিছু সময় পর ওজন আধিক্যের সমস্যা ধরা পরে। তবে সবসময় এমন নাও হতে পারে। থাইরয়েড অসামঞ্জস্যতা সহ নানারকম হরমোন এবং রাসায়সিকর পদার্থ ওজন বাড়ার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকে। সবসময় শুধু বেশি খাবার খাওয়ার কারণেই শরীর অতিরিক্ত স্থূল হয়ে যাবে, তেমনটা নাও হতে পারে।
বিভিন্ন রোগের কারণে অনেকের ওজন বাড়তি থাকে। অনেকে আবার পৃথক কোনো রোগের চিকিৎসা করাতে ঔষধ সেবন করেন। তার পার্শপ্রতিক্রিয়া স্বরুপ নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ওজন বেড়ে যায়। এরমধ্যে অন্যতম হলো হাঁপানি। হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ওজন কমানো অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।
ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ সন্তান অনন্ত আম্বানি। তার স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করে। ওজন অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে অনন্ত আম্বানি স্থূলাকার স্বাস্থ্যের অধিকারি। রাধিকা মার্চেন্টের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনের এক মহল দম্পতির শারীরিক আকারের অনুপাত নিয়ে হাস্যরসে মেতে উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই অনন্তকে ওজন কমানোর পরামর্শ দেন অনেকে। তবে অনেকেই জানেন না, স্বাস্থ্যসমস্যার কারণে অনন্ত-র শরীর এমন স্থূল। শুধু খাদ্যাভ্যাসের কারণে অতিরিক্ত ওজন হয়নি তার। হাঁপানির চিকিৎসার করার কারণে তার ওজন বাড়তে থাকে।
২০১৭ সালে টিওআই-এর এক সাক্ষাৎকারে অনন্ত আম্বানির মা নীতা আম্বানি বলেন, খুব ছোট বয়স থেকেই অনন্ত অসুস্থ থাকতেন। ২ বছর বয়স থেকেই তার গুরুতর হাঁপানির সমস্যা ছিল। সেই কারণে অনেক স্টেরয়েড নিতে হয়েছিল অনন্তকে। সেই থেকেই তিনি অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন। একসময় তার ওজন ২শ কেজি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার সর্বোচ্চ ওজন ছিল ২০৮ কিলোগ্রাম। ব্যায়াম করা এবং খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তিনি সেই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন। বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে মাত্র ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি।
কয়েক বছর আগে, অনন্ত নিজের শরীরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিজের ওজন কমিয়ে আনেন তিনি। ২০১৬ সালে তার সেই পরিবর্তন দেখে চমকে গিয়েছিল ভারতবাসী। তবে সময়ের সাথে তার আবার ওজন বাড়তে দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যের ফুসফুস এবং হাঁপানি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, হাঁপানির সমস্যার কারণে শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করতে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড নেওয়ার কারণে ক্ষুধাও বাড়তে থাকে। তাছাড়া স্টেরয়েডের ঔষধ খাওয়ার ফলে তরল ধারণের পরিমাণও বাড়ে। ওজন বাড়ার এটাও একটা বিশেষ কারণ।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া