রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
আত্মত্যাগ ও সংযমের মাস রমজান। পরম করুণাময় আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য এই পবিত্র মাসে তার রহমত বর্ষণ করেন। স্রষ্টার সাথে সংযোগ স্থাপনের এই পরম সুযোগ। তার উদ্দেশ্যেই দিনব্যাপী রোজা রাখে মানুষ।
শুধু ধর্মীয় অনুভূতি থেকেই নয়, শারীরিকভাবেও রোজা রাখা অনেক উপকারী। দিনের একটানা অনেকটা সময় খাবার থেকে বিরতি নিলে, শরীর ভেতর থেকে পরিষ্কার হওয়ার সুযোগ পায়।
রোজায় অভ্যন্তরীণ মৃত কোষ এবং টক্সিন দূর করে। ফলে বৃক্ক, কলিজা এবং অন্যান্য শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ডি-টক্সিফাইড হয়। অনেকে এইসময় পরিষ্কার মস্তিষ্কে চিন্তাভাবনা করতে পারে এবং কাজে আরও মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। সেই কারণে রোজার সময় মানুষ অনেকটা ভালো অনুভব করে। দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার কারণে যে উপকারগুলো হয়:
১. ওজন: মধ্যাহ্নভোজ দিনের একটি বিশেষ অংশ। সাধারণত দুপুরের খাবারের সময় মানুষ অনেক বেশি খাওয়া দাওয়া করা হয়। তাই রোজায় দুপুরের খাবার এড়িয়ে যাওয়া এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত না খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। কারণ, সারা মাসে কম ক্যালোরি এবং চর্বি গ্রহণ করা হবে।
২. রক্তে শর্করা: খালি পেটে থাকার তাৎক্ষণিক প্রভাবগুলোর মধ্যে একটি হল রক্তে শর্করা হ্রাস। শর্করা কম হওয়ার ফলে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমে হতে পারে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা দূর করা তাই সহজ হয়।
৩. ডি-টক্সিফাই: দিনের বেলায় কিছু খাওয়া বা পান না করা ক্ষতিকর হতে পারে। এই সময় প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ডিটক্স উৎপন্ন হতে পারে। রোজা রাখা ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এর ফলে পাচনতন্ত্র পরিষ্কার হওয়ার সুযোগ পায়।
৪. ক্ষুধা: সারাদিন না খেয়ে থাকার পর যখন মানুষ খেতে বসে, তখন আসলে কম খাবারের প্রয়োজন হয়। অনেকেই ক্ষুধা হ্রাস হওয়ার ব্যাাপারটি লক্ষ্য করেন।
৫. বিপাক: দিনের বেলা খাবার এড়িয়ে গেলে, বিপাক কার্যক্রম কম হয়। পরিপাকতন্ত্র বিরতি পাওয়ার ফলে, বিপাক আরও কার্যকর হতে পারে। ফলে খাবারের পুষ্টি আরও ভালভাবে প্রক্রিয়া করার সুযোগ পাবে।
তথ্যসূত্র: ফিল গুড ফুডি