কেমোথেরাপি চলাকালে খাবারে সাবধানতা

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কেমোথেরাপি চলাকালে খাদ্যাভ্যাস

কেমোথেরাপি চলাকালে খাদ্যাভ্যাস

ক্যান্সার খু্ব গুরুতর একটি রোগ। মানব জীবনের ভয়ংকর সব রোগ গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ক্যান্সারকে বিবেচনা করা হয়। এই রোগকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে কেমো থেরাপির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্যান্সারবিরোধী প্রায় ৫০টিরও বেশি ধরনের রাসায়নিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এতে ব্যবহৃত বিষাক্ত সাইটোটক্সিক ঔষধগুলো ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এই পদ্ধতিই কেমোথেরাপি। 

ক্যান্সার রোগ এবং এর চিকিৎসা-কেমো থেরাপি নেওয়ার সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ঔষধের বিশেষ প্রভাব পড়ে। সেই কারণে কেমো থেরাপির চিকিৎসাধীন থাকার সময় যা খাবেন এবং যা খাবেন না সে ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

কিছু খাবারে থাকা উপাদানের কারণে শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে পারে এমনকি ঔষধের প্রভাবও কমতে পারে। তাই খাবার তৈরি করার সময়ও বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

কেমো থেরাপির কারণে মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই সে সময় এমন খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। অনেক সময় কেমো থেরাপির রোগীদের আঙ্গুর ফল বা আঙ্গুরের শরবত খেতে নিষেধ করা হয়। এর সাথে অনেকের ঔষধের প্রতিক্রিয়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনায় জাম্বুরা খেতেও নিষেধ করা হয়। কাউকে আবার চিকিৎসকরা গ্রিণটি খেতে নিষেধ করে।

বিজ্ঞাপন

একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরের রক্তের প্রতি মাইক্রোলিটারে ১৫শ টি নিউট্রোফিল থাকে। যাদের শরীরে এর তুলনায় কম নিউট্রোফিল থাকে তারা নিউট্রোপেনিয়ায় আক্রান্ত। এরকম রোগীদের যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত-

১. কাঁচা বা কম রান্না করা মাংস, ডিম বা সামুদ্রিক খাবার

২. কাঁচা, পাস্তুরিত বা কম জ্বাল করা দুধ এবং চিজ

৩. পচনজাত পণ্য আধোয়া

৪. অঙ্কুরিত সবজি বীজ

এসব খাবারের সাথে কেমো থেরাপিতে ব্যবহৃত ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন- রক্তে  বোর্টেজোমিবের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভেলকেড ব্যবহার করা হয়। গ্রিণটি এই ভেলকেডের কার্যক্ষমতা হ্রাস করিয়ে দেয়। তাই অবশ্যই, কেমো থেরাপির চিকিৎসাধীন থাকাকালে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে  সচেতন হতে হবে।

তথ্যসূত্র: ব্রেস্টক্যান্সার.অর্গ