ঈদুল আজহায় গোশত সংরক্ষণ করবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাঁচা মাংস / ছবি: সংগৃহীত

কাঁচা মাংস / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানেই আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস। তার সাথে নতুন পোশাক-জুতা, আর নানা পদের খাওয়া-দাওয়া। কোরবানির ঈদে খাওয়া দাওয়ার পাট টা একটু বেশি ভারী থাকে। কারণ, ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা সুন্নত, যা প্রতিটি মুসলমানকেই করার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে। তাই গরু, ভেড়া. ছাগলসহ নানান পশু কোরবানি করার প্রচলন রয়েছে। যে প্রাণীই জবাহ করা হোক না কেন, দেখা যায় প্রত্যেকের ঘরেই রান্না-বান্না, খাওয়া-দাওয়ার পরও অনেক পরিমাণে মাংস রয়ে যায়। এই মাংসগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

পশুর মাংসে সাধারণত আর্দ্রতার পরিমাণ শতকরা ৭৫ ভাগের মতো থাকে। পানি হল অণুজীবের প্রধান প্রজনন স্থান। মাংসে পানি জমে থাকলে দ্রুত পচতে শুরু করে অণুজীবের ক্রিয়ার ফলেই। তাই মাংস সংরক্ষণ করতে এদের থেকে পানি অপসারণ করা দরকার।

মাংস বিভিন্ন ভাবে সংরক্ষণ করা যায়। যেমন চুলায় সেকে পানি শুকিয়ে এবং সেটি ফ্রিজে হিমায়িত করে রাখতে পারেন। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এই কৌশল অবলম্বন করে নিরাপত্তার মান পূরণ করা হলে মাংস দীর্ঘদিনের জন্য মাংস সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

তাছাড়া রোদে শুকিয়েও অনেকে মাংস সংরক্ষণ করে। তবে এইসময় মাংসে মাছি, পোকামাকড় বা ধুলাবালি পরতে পারে। এসব অস্বাস্থ্যকর দিক থেকে মাংস সুরক্ষিত করে মাংস শুকাতে হবে। পাতলা একটা কাপড় দিয়ে মাংস পোকা ও ধূলা থেকে রক্ষা করা যায়। তিন বা চার ঘণ্টা করে কড়া রোদে শুকাতে দিন। এতে পুরো মাংসের উপরে প্রোটিনের আবরণ তৈরি হয়, আর্দ্রতা শুকিয়ে যায় এবং মাংস দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

কাঁচা গোশত

অ্যাসিড বা অম্লজাতীয় পদার্থে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তাই মাংস রোদে শুকানোর আগে লবণ, লেবুর রস (সাইট্রাস এসিড) বা ভিনেগার ছিটিয়ে দিন। সাইট্রাস এসিড বা লেবুর রস দিয়ে শুকানো মাংস আয়রনের ঘাটতি আছে যে ব্যক্তিদের, তাদের জন্য বেশি উপযুক্ত।

এখন যেহেতু বর্ষাকাল, যেকোনো সময় বৃষ্টি হতে পারে বা আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে সূর্যের তাপ পর্যাপ্ত না পাওয়ায় বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। মাংসগুলো কেটে তার উপর লবণ ছড়িয়ে দিন এবং ওভেনে বা চুলায় কিছুক্ষণ গরম করুন।

যদিও দীর্ঘ সময়ের জন্য মাংস সংরক্ষণের জন্য ডিপফ্রিজে রাখা সবচেয়ে  নিরাপদ উপায়। কারণ বরফ অবস্থায় জীবাণুর বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়। ডায়েটিশিয়ানদের মতে ফ্রিজের মাংস তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি ফ্রিজার ঘনঘন খোলা না হয় বা দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং-এর সমস্যা না হয়, তাহলে প্রায় ৬ মাস পরও সংরক্ষিত করা মাংস ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোরবানির মাংস খেয়ে শেষ করা উচিত।

মাংস ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে ছোট প্লাস্টিকের পাত্র এবং নিউজপেপার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। কারণ খবরের কাগজে ব্যবহৃত প্রিন্টের কালিতে সীসা থাকে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তার বিকল্প হিসেবে বাটার পেপারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: ফুড সাইন্স ইউনিভার্স

 

   

কাশির রোগীর ক্ষেত্রে ভাতের প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাশির ক্ষেত্রে ভাত / ছবি: সংগৃহীত

কাশির ক্ষেত্রে ভাত / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই রোদ, এই বৃষ্টি! স্যাঁতস্যাতে ঠান্ডা আবহাওয়া, কিংবা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ মেঘের গর্জন তুলে ঝুম বৃষ্টি। সাথে কাদা জমাট আর বদ্ধ হয়ে যাওয়া পানি। বর্ষামানেই এ যেন নিত্যদৃশ্য। এমন বৈরি আবহাওয়ায় জ্বর, ঠান্ডা বা কাশি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এছাড়াও, বর্ষার সময় রোগ-জীবাণু অণেক প্রভাবশালীও হয়ে ওঠে।

বর্ষার এই মৌসুমে তাই ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। যেমন- দই, আইসক্রিম বা ঠান্ডাপানি ইত্যাদি কাশি বাড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। চিকিৎসকরা কাশির রোগীর জন্য ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভারতীয় চিকিৎসক নীতি শর্মা বলেন, কাশির হলে নরম করে রান্না করা গরম ভাত খাওয়া উচিত। কারণ, ভাত এমনিই উপকারী খাবার, যা শরীরে তৃপ্তি এবং শক্তিলাভে সহায়তা করে। তাছাড়া গরম ভাত গলায় আরামভাব আনে।   

ভাত, শ্বেতসার জাতীয় এই খাবার ছাড়া বাঙালি জীবন অসম্পূর্ণ। প্রবাদেই আছে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। প্রতিটি বাঙালির ঘরে অন্তত দু’বেলা করে ভাত খাওয়া হয়। অনেকে তো, ভাত না খেলে তৃপ্তিই পান না। অনেকের অবশ্য গম খেলে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, ভাতের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যার বালাই নেই। নিঃসন্দেহে ভাত বেশ শক্তি উৎপন্নকারী একটি খাদ্য উপাদান। তবে, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা প্রতিদিন খাই অথচ সেই ভাতও নাকি কিছুক্ষেত্রে কাশির বাড়ার কারণে পরিণত হতে পারে। 

ভারতীয় চিকিৎসক শ্বেতা বানসাল বলেন, ‘এটা অনেকেই জানেন না যে, কাশি হওয়ার এবং বাড়ার ক্ষেত্রে ভাত ভূমিকা রাখতে পারে। ভাত সরাসরি কাশি হওয়ার কারণ হয় না। তবে, ভুলভাবে রান্না করা হলে ভাত দূষিত হয়ে কাশি এবং গলা ব্যথা হওয়ার কারণ পারে। ভাত রান্নার সময় ছোট ছোট অংশ উৎপন্ন হলে তা খাওয়ার সময় নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় গলায় বা শ্বাসনালীতে আটকে তৎক্ষণাৎ কাশি শুরু হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুব দ্রুত ভাত খাওয়ার সময়ও দেখা যায় ভাত গলায় আটকে গিয়ে কাশি শুরু হয়। যদিও এগুলো খুবই অনিশ্চিত দুর্ঘটনা। ভাত এমনিতে সর্বাধিক মানুষের জন্য পুষ্টিকর হিসেবেই বিবেচিত হয়।’

এই প্রসঙ্গে ডা. শর্মা বলেন,‘ঠান্ডা-কাশি হওয়ার সঙ্গে ভাতের সম্পৃক্ততা নেই। তবে আপনার যদি এমনিতেই কাশি থাকে, তাহলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।’     

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  

;

নিত্যদিনের চোখ সাজাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চোখের সাজ

চোখের সাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকাংশ নারীর সাজগোজের প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকে। বিয়ে হোক বা কোনো পার্টি, অথবা দৈনন্দিন কাজে বাইরে যাওয়ার সময়ও মেয়েরা সাজতে পছন্দ করে।  সাজগোজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো চোখ, অর্থাৎ আইমেকআপ। দৈনন্দিন চোখের মেকআপকে আকর্ষণীয় করার কিছু টিপস প্রকাশ করেছেন ভারতীয় মেকআপ আর্টিস্ট ময়ূর শর্মা-

আইভ্রু: ভ্রু চোখের সাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভ্রু সুন্দর করে গোছানো না থাকলে পুরো সাজটাই এলোমেলো দেখায়। তাই ভ্রুকে সুন্দর করে সাইজ করে নিতে হবে। প্রথমমতো ভ্রুকে একটা সুন্দর আকার দিন। এজন্য বেশ অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। সাজের সময় বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলো ভরাট করুন। এইজন্য উন্নতমানে আইব্রো পেন্সিল, পাউডার বা জেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

মাশকারা: এমন কোনো নারী নেই যে, লম্বা ও ঘন চোখের পাপড়ি অর্থাৎ, ল্যাশ পছন্দ করেন না। এখনকার সাজগোজে নকল ল্যাশ পরারও বেশ প্রচলন রয়েছে। তবে প্রতিদিন তো আর সেসব ব্যবহার করা সুবিধাজনক হয় না। কলেজে, অফিসে বা প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার সময়ে সাজের ক্ষেত্রে ল্যাশের সাজও সাধারণ হয়। সেইক্ষেত্রে একটি ভালো মানের মাশকারা ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো চোকের পাপড়ি তে এক কোট করে মাশকারার লেয়ার এপ্লাই করুন। অবশ্যই নিচ থেকে উপরের দিকে টানতে হবে। উপর থেকে নিচের দিকে মাশকারা এপ্লাই করলে ল্যাশগুলো ঝুঁকে থাকে।

ল্যাশকার্লার: চোখে ল্যাশ গোছানো থাকলে আইলুক পরিপূর্ণভাবে ফুটে ওঠে। অনেক সময় মাশকারা লাগানোর পর চোখের পাপড়িগুলো একটি অন্যটির সাথে লেগে থাকে। একটি নরম ব্রাশের ওয়ান্ড দিয়ে ল্যাশ আঁচড়ে নিন, যেন জোড়গুলো খুলে যেতে পারে। এরপর কার্লার ব্যবহার করে ল্যাশগুলোকে একটা সুন্দর আকার দিন। এতে দীর্ঘসময় পর্যন্ত ল্যাশগুলো টান-টান এবং গোছানো থাকে আর ঝুঁকে যায় না।

চোখের সাজ 

কাজল: কাজলচোখের নারী সবসময়ই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নানান গল্প, গান, কবিতায় মায়াবী কাজল নয়নার প্রশংসা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কাজল তাই নারী সাজ-সজ্জার শীর্ষেই থাকে। এখন শুধু কালো নয়; নীল ,সবুজ, বেগুনি, বাদামী সহ নানান রঙের কাজল ব্যবহার করেন। চোখে যখন কাজল পড়বেন, আইলাইনে সুন্দর করে কাজল এপ্লাই করুন। তারপর এটি চিকন আইশ্যাডো ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে দিন। এতে কাজল কিছুটা পরিচ্ছন্নভাবে লেপ্টে থাকে। এতে মেকআপ লুকটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

পাউডার: প্রতিদিন খুব সাধারণ চোখের সাজের অন্তর্ভুক্ত হলো আইলাইনার এবং কাজল। এপ্লাই করার পর আইলাইন করার পর কিছুটা লুজ পাউডার ব্যবহার করুন। এতে কাজল ওয়াটারপ্রুফ হবে আর সহজে নষ্টও হবেনা। অবশ্যই নরম তুলির ব্রাশ ব্যবহার করুন। লুজ পাউডার না থাকরে , কমপ্যাক্ট পাউডারও ব্যবহার করা যেতে পারে।  

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

 

;

বর্ষার মৌসুমে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ষার খাবার

বর্ষার খাবার

  • Font increase
  • Font Decrease

‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে।

ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’

কবিগুরুর কলমে সৃষ্টি কবিতা ‘আষাঢ়’- এর লাইনে বর্ষার অঝর ধারার বর্ণনা ফুটে ওঠে। অনবরত মেঘগলা আকাশের নেমে আসা ধারা সিক্ত করে মাটিতে থাকা সবকিছু। বর্ষার সময়টা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশ অনেকটা আলাদা। এই সময় রোদ-বৃষ্টিরপাল্লা চলে। ক্ষণে মেঘ, ক্ষণে বৃষ্টি! এইজন্য কখনো ভ্যাপসা গরম, কখনো বা স্যাঁতস্যাতে ভাব। আর বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই বর্ষার সময় সুস্থ থাকতে একটু সাবধান থাকতেই হয়।

আমাদের সুস্থতার অনেকাংশই নির্ভর করে খাদ্যতালিকার উপর। আমাদের গ্রহণ করা খাবারের দ্বারা উৎপন্ন শক্তিতেই দেহ চলে। তাই বর্ষার সময় খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক হওয়া উচিত। অপ্রত্যাশিত রোগ বালাই এড়াতে বর্ষার মৌসুমে যেসব খাবার এড়িয়ে যেতে হবে তার উপদেশ দিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ গরিমাদেব বর্মণ-

১. শাকজাতীয় সবজি: পালং শাক, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি শাক-সবজি বর্ষাকালে পুষ্টিমান হারিয়ে ফেলে। পরিবেশে আর্দ্রতার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দূষণের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া এসবের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী আশ্রয় নিতে পারে। তাই এসব খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২. রাস্তার খাবার: বর্ষার মৌসুমে রাস্তার খাবার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রায় সব দোকানেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এইসব খাবার বানানো হয়। বর্ষার কাদামাটির কারণে রাস্তা এবং আশেপাশের এলাকা আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।  এমনকি বাইরের দোকান থেকে কাটা ফলও খাওয়া উচিত নয়।

৩. সামুদ্রিক খাবার: এ মৌসুমে পানিবাহিত রোগ বাড়ে। তাই বর্ষায় সামুদ্রিক খাবার সহজেই দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। পুড পয়জনিং প্রতিরোধে সাগরের মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলুন।

৪. দুগ্ধজাত পণ্য: দুগ্ধজাত খাদ্য-পণ্য, যেমন-দুধ, দই এবং পনির আর্দ্র। আবহাওয়ায় দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  তাই দুধের তৈরি বাসি খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন। নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বা ঘরে তৈরি হলে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. তেলে ভাজা খাবার: ডুবো তেলে ভাজা খাবার পেটে ভারী ভাব সৃষ্টি হয়। এই খাবারগুলো হজম করা কঠিন হতে পারে। তাই নাস্তা ভাজা খাবার এড়িয়ে  সেদ্ধ বা গ্রির করে খাবার তৈরিকে প্রাধান্য দিন।

৬. আমিষ: স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে মাছ এবং বিশেষ করে মাংস দ্রুত পচে যেতে পারে। তাই আমিষজাতীয় খাবার খেলে অবশ্যই সদ্য রান্না করা খাবার খাবেন। বাসি খাবার খেলে অসুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।  

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

নারীর চেয়ে পুরুষের হৃদরোগ ঝুঁকি বেশি!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পুরুষের হৃদরোগ

পুরুষের হৃদরোগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি, যখন সুস্থ থাকা জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন মানুষের জীবনযাত্রার ধরন বদলেছে, একই সাথে বেড়ে চলেছে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। আর কিছু বছর আগেও যেসব রোগ সাধারণত ষাটোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যে দেখা যেত এখন তা মধ্যবয়সীদেরও গ্রাস করছে।
আশঙ্কাজনক হলেও সত্য যে, ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর থেকেই এই তথ্যচিত্র আরও স্পষ্ট হচ্ছে। মানুষের জীবন যাপনের রুটিন এমন হয়ে গেছে যে, হৃদয় খুব কম সময়েই দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে সমবয়সী নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে শুধু জীবনধারাই নয়; অতিরিক্ত চিন্তা করা, হাই কোলেস্টেরল এমনকি বংশগত কারণেও হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। জেনে নেওয়া যাক, সেসব কারণ-
জীবনধারা: মূলত বর্তমান সময়ের জীবনধারা হৃদপিণ্ডে চাপ সৃষ্টি করে। আজেবাজে খাওয়া-দাওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি, অতিরিক্ত ধুমপান এবং নেশাজাত দ্রব্য সেবন ইত্যাদি অভ্যাস হার্টের জন্য ভালো নয়। এসব হৃদপিণ্ডতে দুর্বল তো করেই বরং আরও অনেক রোগের বাসা বাঁধায়।
মানসিক চাপ: পারিবারিক, ক্যারিয়ারের চিন্তা, কাজের চাপ, আর্থিক দুশ্চিন্তা নানান কারণে কম বয়স থেকে অধিকাংশ পুরুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
মানসিক স্বাস্থ্য: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা তাদের মানসিক অসুবিধাগুলো নিয়ে উদাসীন থাকে। ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, মানসিক চাপগুলোর জন্য তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়না। দীর্ঘদিন এসবের প্রভাবে হাইপারটেনশন সৃস্টি হয়, যা হৃদরোগের সূত্রপাত ঘটায়।
কোভিড-১৯: করোনার প্রভাব পৃথিবীব্যাপী বিস্তারের পর অনেক ক্ষেত্রেই ছোট বড় পরিবর্তন এসেছে। এরমধ্যে একটি হলো, এখন হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ আশঙ্কাজনক। কয়েকজনের ক্ষেত্রে করোনার টিকা দেওয়ার পর মায়োকার্ডাইটিসের এমআরএনএ (প্রোটিনবহনকারী ম্যাসেঞ্জার আরএনএ)- এর বিরল রিপোর্ট লক্ষ্য করা গেছে।
নারীদের তুলনায় পুরুষ হৃদয়: মধ্যবয়স্ক নারীদের মধ্যে মেনোপজ পূর্ববর্তী ধাপে কিছু শারীরিক পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনের কারণে তাদের হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। অন্যদিকে একই বয়সী পুরুষদের মধ্যে সেই ঝুঁতি থেকেই যায়। তাছাড়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কারণে ধূমপান, মদ্যপানের সঙ্গে নারীদের সম্পৃক্ততা অনেকাংশে পুরুষের তুলনায় কম। এসকল কারণে পুরুষরা নারীদের তুলনায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;