ছুটির দিনে অস্বাস্থ্যকর খাবারে বাড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
পুরো সপ্তাহ জুড়ে নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হলেও, ছুটির দিনে যেন সেই নিয়মে একেবারেই ওলট-পালট হয়ে যায়।
প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া হলেও, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিষয়টি মাথাতেই থাকে না।
পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে ঘরে কিংবা বাইরে খাওয়া হয় মুখরোচক, হাই ক্যালোরিযুক্ত, অস্বাস্থ্যকর খাবার। এই একদিন খাদ্যাভাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেন ভীষণ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।
কিন্তু শুধু ছুটির সময়ের গন্ডগোলটাই নষ্ট করে দেয় পুরো সপ্তাহের ডায়েটের পরিকল্পনা। অস্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি, অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া হয় এই সময়ে।
ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় বেশ অনেকটা। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ, রক্তচাপ বৃদ্ধি, ডায়বেটিসের মতো গুরুত্বর রোগের প্রাদুর্ভাবটাও দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকে এক-দুই দিনের অনিয়মের ফলে। এসকল কিছু দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যা। এছাড়াও থাকে স্বল্পমেয়াদী শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতাও।
পেট ফোলাভাব দেখা দেওয়া, গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যা হওয়া, বুক জ্বালাপোড়া করা, মুখ ও হাত-পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো খুব সহজেই দেখা দিয়ে থাকে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ফলে।
যে কারণে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে খাবার খাওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শুধু খাবার নয়, খাবারের পরিমাণের বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পুরো সপ্তাহ জুড়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খাওয়ার ফলে পাকস্থলী সেইভাবেই মানিয়ে নেয়। হুট করে বেশি খাবার খাওয়া হলে পাকস্থলীর উপরে বাড়তি চাপের সৃষ্টি হয়। যার দরুন পেট ফোলা ভাব, গ্যাসের প্রাদুর্ভাব ও ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই ছুটির দিনেও খাবার খেতে হবে ততটুকুই, যতটুক খাবার খাওয়া হয় নিত্যদিন।
গুরুত্বপূর্ণ একতি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। জাংক ফুড, তৈলাক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর উপর যে চাপের সৃষ্টি হয়, তা শরীরের অন্যান্য প্রত্যাঙ্গের উপরেও চাপ তৈরি করে। এতে করে খুব সহজেই অসুস্থ বোধ হয়, অস্বস্তি কাজ করে।
এই সপ্তাহটিও শেষের দিকে। আর দু’দিন পরেই কাঙ্ক্ষিত সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শুধু ছুটির দিনে নয়, সবসময় নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে খাদ্যাভাসের বিষয়ে কঠিন অবস্থান নিতে হবে।
অবশ্যই মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা হবে। কিন্তু সেটা যেন কোনভাবেই স্বাস্থ্যহানী না ঘটায় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদানের সাহায্যেই মজাদার খাবার তৈরি করা যায়। সেই বিষয়ে নজর দিতে হবে। বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের বিষয়ে সবসময়েই সচেতন অবস্থান নিতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এই সতর্কতার কোন বিকল্প নেই একেবারেই।
আরও পড়ুন: কী থাকবে সকালের নাস্তায়?
আরও পড়ুন: অমনোযোগে বেশি খাওয়া হচ্ছে?