পৃথিবী বিখ্যাত পাঁচ ব্যয়বহুল কফি!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পছন্দের কফিশপে গড়ে দুই-তিন’শ টাকা খরচ করলেই মিলে যায় মনজুড়ানো গন্ধ ও স্বাদের লোভনীয় কফি।

উষ্ণ এই পানীয়ের আবেদন রয়েছে বিশ্বের সবখানেই। কফি পানের জন্য কফি বিনস যতটা ভালো মানের হবে, কফি ততটাই সুস্বাদু হবে।

সর্বোচ্চ দামের কফি হিসেবে অনেকেই কপি লুয়াককে চেনেন। আদতে কপি লুয়াকের চাইতেও আরও দামী কফি বিনস আছে, যেটা সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই অনেকেরই। আজকের পোস্টে তাই তুলে ধরা হয়েছে পৃথিবীখ্যাত সর্বোচ্চ দামের পাঁচ কফি বিনসের বিশদ পরিচিতি।  

৫. হাসিয়েন্ডা এল রোবেল (Hacienda el Robel)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582316706.jpg

পুরো এক বছরে এই কফিটি পাওয়া যায় খুবই স্বল্প পরিমাণে, মাত্র ২২ কেজি। দক্ষিণ কলম্বিয়ার ফুলটাইম কৃষিবিদের তত্ত্বাবধানে পাওয়া যায় এই কফি বিনস। এই কফির গাছগুলো পরিচর্যায় ব্যবহৃত হয় মুরগীর বিষ্ঠার সার। গাছগুলো বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক পদ্ধতি রোদের আলো ও ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া। তবে দক্ষিণ কলম্বিয়ায় চড়া মূল্যের এই কফি গাছ বেড়ে উঠলেও কফি বিনস প্রস্তুত ও রোস্ট করার জন্য শুধু একটি স্থানই রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। যেখানে কফি বিনস ও কফি সম্পর্কিত সকল তথ্য গোপন রাখা হয় খুব যত্ন সহকারে। এই কফি বিনস প্রতি পাউন্ডের দাম পড়বে ১০০ মার্কিন ডলার তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪১২ টাকা।

৪. অসপিনা ডিনেস্ট্রি গ্র্যান ক্যাফে প্রিমিয়ার গ্র্যান্ড সিআরইয়ু (Ospina Dynasty Gran café Premier Grand cru)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582357662.jpg

অন্যতম পুরনো কফি বিনস হিসেবে সুপরিচিত অসপিনা ডিনেস্ট্রি কফি বিনস। ১৮৩৫ সালে জেল পালানো দুই ভাইয়ের হাত ধরেই সর্বপ্রথম এই কফির উৎপত্তি হয়। নামের মতোই বেশ খানদানি পরিবেশে বেড়ে ওঠে এই কফি গাছ। কলম্বিয়ার অ্যান্টিওকিয়া (Antioquia) প্রদেশে প্রায় ৭৫০০ ফিট উঁচু আগ্নেয়গিরির ভস্মযুক্ত স্থানে এই কফি গাছগুলো পাওয়া যায়। অমন পরিবেশ ও স্থানে বেড়ে ওঠার ফলে এই কফির স্বাদ ও গন্ধ যেকোন কফি থেকেই ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া কফি প্রস্তুত করার হলে ভেলভেটের মতো নমনীয় তবে প্রখর সুগন্ধের কফি তৈরি হয়। প্রতি পাউন্ড অসপিনা কফি কিনতে গুণতে হবে ১৫০ মার্কিন ডলার তথা ১২,৬১৮ টাকা।

৩. হাসিয়েন্ডা লা এসমেরাল্ডা (Hacienda la Esmeralda)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582384771.jpg

এই কফিটি গেইশা (Geisha) কফি বিনস হিসেবেও পরিচিত, যার আদি উৎপত্তিস্থল হলো ইথিওপিয়া। তবে পরবর্তীতে পানামাতে এসে জনপ্রিয় ও মূল্যবান কফি বিনস হিসেবে পরিচিত লাভ করে গেইশা। এই কফিটির ব্যতিক্রমী স্বাদ ও গন্ধের প্রধান কারণ কফি বিনস বেড়ে ওঠে ভিন্ন মাত্রার উচ্চতায়। মাটি থেকে প্রায় ১৫০০-১৯০০ মিটার উপরে জন্ম নেওয়া এই কফি বিনসের স্বাদ ও গন্ধ একেবারেই ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া এই কফি তৈরিতে শারীরিক পরিশ্রম ও যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। যে কারণে দামটাও গুণতে হয় বেশি। প্রতি পাউন্ড হাসিয়েন্ডা লা এসমেরাল্ডা কফি বিনস পাওয়া যাবে ১০০-৩৫০ মার্কিন ডলার তথা ৮৪১২-২৯,৪৪৩ টাকায়।

২. কপি লুয়াক (Kopi Luwak)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582501710.jpg

বিশ্বজোড়া অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত!) কফি হলো এই কপি লুয়াক। মূলত এই কফি বিনস তৈরির মূল প্রক্রিয়াটির জন্যেই কপি লুয়াককে এতো বেশি মানুষ চেনে। পাম সিভেট (Palm Civet) নামক প্রাণী যাকে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় নামে টডি ক্যাট নামেই ডাকা হয়ে থাকে, এই প্রাণীর মল থেকে পাওয়া যায় চড়া মূল্যের এই কফি বিনস।

বড় চোখের প্রাণী পাম সিভেট দারুণ বাছবিচার করে তবেই কফি চেরি খায়। সবচেয়ে ফ্রেশ, মিষ্টি ও সুন্দর কফি চেরিগুলো বেছে নেয় তারা খাওয়ার জন্য। কফি চেরিগুলো খাওয়ার পর সেগুলো সিভেটের পেটে ভালোভাবে পরিপাক হয়। এটাই মূলত কফি চেরিগুলোর সবচেয়ে ভালো ও প্রাকৃতিক ফার্মেনটেশন প্রক্রিয়া। পরিপাককৃত কফি চেরিগুলো মলের সাহায্যে বের হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো বেছে কয়েক ধাপে পরিষ্কার করে, রোস্ট করে তবেই কফির জন্য জ্বাল দেওয়া হয়। এই কপি লুয়াক কেনা যায় প্রতি পাউন্ড ৬০০ মার্কিন ডলার তথা ৫০,৪৭৫ টাকায়। তবে দুঃখজনক হলো, বেশ কিছু সুযোগ সন্ধানী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সিভেটকে খাঁচায় আটকে রেখে কপি লুয়াক কফি বিনস প্রস্তুতের চেষ্টা করছে অর্থলোভে। এতে করে সিভেটের উপরে প্রভাব পড়ার পাশপাশি, রিয়েল কপি লুয়াকের মানও কমে যাচ্ছে।

১. ব্ল্যাক আইভরি (Black Ivory)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582543558.jpg

বিখ্যাত কপি লুয়াকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণের বেশি দামী ব্ল্যাক আইভরি দখল করে নিয়েছে এক নাম্বার স্থানটি। নামের মতোই বেশ গাম্ভীর্যপূর্ণ ও রহস্যময় মনে হতে পারে এই কফিকে। কিন্তু এই কফিটির সাথে কপি লুয়াকের খুব দারুণ একটি মিল রয়েছে। ব্ল্যাক আইভরিও তৈরি করা হয় হাতির মল থেকেই!

উত্তর থাইল্যান্ডের হাতিদের অ্যারাবিকা কফি বিনস খাওয়ার মধ্য দিয়ে এই ব্ল্যাক আইভরি তৈরির প্রস্তুত প্রণালি শুরু হয়। হাতি এক বিশেষ ধরণের এনজাইম তৈরি করে, যার ফলে কফি বিনস সম্পূর্ণভাবে পরিপাক হতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে হাতির মল থেকে কফি বিনস আলাদা করা হয়।

এই কফির অবিশ্বাস্য উচ্চমূল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাতি যে পরিমাণ কফি বিনস খায়, যে পরিমাণ পরিপাককৃত কফি বিনস পাওয়া যায় না। কারণ হাতি বেশিরভাগ কফি বিনস সম্পূর্ণ চিবিয়ে ফেলে। এছাড়া হাতির মল থেকে আস্ত কফি বিনস খুঁজে বের করাও বেশ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ বিষয়। সর্বোচ্চ দামের ব্ল্যাক আইভরি কফি পান করতে চাইলে প্রতি পাউন্ড কফি বিনস কিনতে হবে ১৫০০ মার্কিন ডলার তথা ১,২৬,১৮৮ টাকায়।

আরও পড়ুন: কতটা উপকারী প্রিয় পানীয় কফি?

আরও পড়ুন: কোল্ড কফি ও হট কফি: কোনটা বেশি উপকারী?

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;