প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার ‘আমন্ড অয়েল’
অফিসে, ক্লাসে নিত্যদিন বাইরে বের হলে ভারি মেকআপ ব্যবহার করা না হলেও,
আইলাইনার কিংবা মাশকারা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিশেষ দিন কিংবা বিশেষ কোন উপলক্ষে কিছুটা হলেও মেকআপ করাই হয়। আর যেখানেই মেকআপের প্রসঙ্গ থাকবে, সেখানেই মেকআপ রিমুভার ব্যবহারের বিষয়টিও উঠে আসবে।
নিয়মিত মেকআপ ব্যবহারের পরেও ত্বককে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে চাইলে মেকআপ রিমুভার ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু মেকআপ রিমুভার হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদান আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেছেন কখনো?
চুল ও ত্বকের পরিচর্যায় আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা হলেও, মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে আমন্ড অয়েল ব্যবহারের প্রচলন একেবারেই নেই। অথচ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই তেলটি রোদের আলোর ফলে ত্বকের ক্ষতি ও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে কাজ করার সঙ্গে চমৎকার মেকআপ রিমুভার উপাদান হিসেবেও কাজ করে।
আমন্ড অয়েল কেন মেকআপ রিমুভার হিসেবে ভালো?
যখনই কোন মেকআপ রিমুভার কেনা হয়, সেটা যেন ঠিকভাবে মেকআপ তুলতে পারে সেদিকেই খেয়াল রাখা হয়। বিশেষ করে ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার ও মাশকারা যেন পুরোপুরি ওঠানো যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মেকআপ রিমুভার হিসেবে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল এক্ষেত্রে বেশি প্রচলিত। এর পাশাপাশি আমন্ড অয়েলও সমানভাবে কাজ করে।
প্রাকৃতিক এই তেলটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপকারিতা হলো, মেকআপ রিমুভারের মতো এতে কোন ধরনের কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহার করা হয় না। ফলে আমন্ড অয়েল ব্যবহারে ত্বকের কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় না। সেই সাথে আমন্ড অয়েল খুব সুন্দর ও সম্পূর্ণভাবে মেকআপ তুলে ফেলতে কাজ করে।
মূলত এ কারণেই সকল ধরনের ত্বকের জন্যেই মেকআপ রিমুভার হিসেবে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষত যাদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাদের জন্য আমন্ড অয়েলের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।
তবে আমন্ড অয়েল ব্যবহারের সবচেয়ে দারুণ সুবিধাটি হলো, এই তেল ব্যবহারে মেকআপ তুলে ফেললে ত্বক তেলতেলে হয়ে থাকবে। নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল ব্যবহারে সাধারণত এমনটা হয়। আবার মেকআপ রিমুভার ব্যবহারের পর যেমন শুষ্ক হয়ে ওঠে, তেমনটাও হবে না। বরং মেকআপ রিমুভার হিসেবে আমন্ড অয়েল ব্যবহারে ত্বকের সাধারণ সমস্যা, মেকআপ ব্যবহারে র্যাশভাব, ত্বকের প্রদাহ ইত্যাদি কমবে।
কীভাবে ব্যবহার করতে হবে আমন্ড অয়েল?
ত্বক থেকে মেকআপ তোলার জন্য হাতের আঙুলে কিছু পরিমাণ আমন্ড অয়েল নিয়ে মুখে খুব ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে। পুরো মুখে ম্যাসাজ করা হয়ে গেল, তুলার বল গোলাপ জলে ভিজিয়ে, ভেজা তুলার বল দিয়ে মুখ ধীরে ধীরে মুছে নিতে হবে। যদি গোলাপ জল ব্যবহারে সমস্যা থাকে, তবে পানিতে ভিজিয়ে নিলেও হবে।
এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, চোখের আশেপাশের অংশে তেল কিছুটা বেশি ব্যবহার করতে হবে এবং কিছুটা বেশি সময় নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে
আরও পড়ুন: চুলের যত্নে আমন্ড অয়েলের তিন ব্যবহার