সাত উপকারিতার কোয়েল পাখির ডিম
দেশি ও ফার্মের মুরগির ডিমের পাশপাশি এখন কোয়েল পাখির ডিম গ্রহণের প্রচলন বেশ দেখা যাচ্ছে।
এলাকার ছোট-বড় বাজারসহ সুপার শপগুলোতেও কোয়েল পাখির ডিম বেশ সহজলভ্য। আকৃতিতে ছোট হওয়ায় ও সাধারণ মুরগির ডিমের চাইতে তুলনামূলক কম গন্ধ থাকায় এই ডিম খেতে পছন্দ করেন অনেকেই।
প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, ফলেট, ভিটামিন-এ, ই, ডি, বি১২ ও কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ কোয়েল পাখির ডিম একসাথে দুই-তিনটি খেয়ে ফেলা যায় সহজেই। মুরগির ডিম গ্রহণের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে কথা বলা হলেও, কোয়েল পাখির ডিমের গুণাগুণ নিয়ে খুব একটা আলোচনা করা হয় না। এ কারণে আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো ছোট এই ডিমের সাতটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কোয়েল পাখির ডিম শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করার পাশাপাশি রক্ত থেকে ক্ষতিকর ও টক্সিন উপাদান বের করতেও উপকারী ভূমিকা পালন করে। এতে করে সাধারণ শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার হার কমে যায় অনেকখানি।
বাড়ায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা
কোয়েল পাখির ডিমে উচ্চমাত্রার আয়রন থাকার ফলে এই খাদ্য উপাদানটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। যাদের রক্তস্বল্পতার সমস্যা বা অ্যানিমিয়া আছে, নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম গ্রহণে তারা উপকার পাবেন।
তীক্ষ্ণ করে দৃষ্টিশক্তি
ছোট এই ডিমে থাকা ভিটামিন-এ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে কাজ করে। যা দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে
কোয়েলের ডিমে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম। এই মিনারেলটি আর্টারি ও রক্তনালীকার চাপ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেওয়া হতে প্রতিরোধ করে।
সুস্থ রাখে হৃদযন্ত্র
কোয়েল পাখির ডিমের ফ্যাটে রয়েছে ৬০ শতাংশ HDL (High density lipoprotein), যাকে উপকারী কোলেস্টেরল হিসেবে বলা হয়। এই উপাদানটি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ও তার ক্রিয়ায় কোন ধরনের বাধা প্রদান না করার জন্যে কাজ করে। তবে কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কোয়েলের ডিম গ্রহণ করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে কাজ করে
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান হিসেবে কোয়েল পাখির ডিম খুব ভালো কাজ করবে। কোয়েলের ডিমে থাকা শক্তিশালি অ্যালকালাইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে এবং খাদ্য ভালোভাবে হজম ও শোষণে ভূমিকা রাখে।
কমায় প্রদাহ ও অ্যালার্জির সমস্যা
এই ডিমে থাকে ওভোমিউকয়েড (Ovomucoid) নামক বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন। যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অ্যালার্জিক উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের প্রদাহ ও অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাবকে কমাতে ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: ডিম ভাঙার সঠিক নিয়মটি জানেন তো?
আরও পড়ুন: ডিম খেতে হবে নিয়মিত