শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে যা খাওয়া প্রয়োজন
ওজন কমানো একেবারেই সহজ কোন বিষয় নয়।
এর জন্য সঠিক নিয়মে খাদ্যাভ্যাস ও সময়মতো শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এই উভয়ের সংমিশ্রণেই ওজন কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড ক্ষুধাভাব দেখা দেয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পরে। এ সময়ে কোন খাবারগুলো খেলে ডায়েটের উপর প্রভাব ফেলবে না এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি ফিরে পাবে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে আজকের ফিচারে।
পানি ও পানীয়
শরীরচর্চা, দৌড়ানো কিংবা হাঁটার সময় প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অল্প সময়ের মাঝে অনেক বেশি পানি বের হয়ে যায়। শরীরে পানির ঘাটতি কাটাতে শরীরচর্চা শেষে দ্রুত পানি ও স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে হবে। ফল ও সবজির তৈরি স্মুদিও এক্ষেত্রে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে কাজ করবে। স্মুদির পাশাপাশি রাখা যেতে পারে ফলের রস অথবা লেবু-মধুর শরবতও।
কলা
ফলের স্মুদি যদি পান করতে ইচ্ছা না করে তবে পানি পান করে দুইটি মাঝারি আকৃতির কলা খেয়ে নিতে হবে। শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ফলের মাঝে কলা সবচেয়ে বেশি উপকারিতা বহন করবে। কারণ কলাতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম ও উপকারী কার্ব শরীরে শক্তি যোগাবে।
ডিম
সহজে হাতের কাছে রাখা যায় ও দ্রুত খেয়ে নেওয়া যায় এমন খাবারের মাঝে ডিম থাকবে সবার উপরে। বিশেষত শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি খাদ্য উপাদান এই ডিম। একটি মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যাবে ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন ও ৭০ ক্যালোরি। শরীরচর্চার ফলে ক্লান্ত শরীরকে শক্তি প্রদানে ডিম অন্যতম একটি উপকারী উৎস।
কুইনো
শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে প্রবল ক্ষুধাভাব দেখা দেয় এবং ক্লান্তি বোধ হয়। এ সময়ে ক্ষুধা নিবারণ ও ক্লান্তি দূর করার জন্য কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খুব চমৎকার কাজ করে। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের মাঝে কুইনো গ্রহণ করা হবে সবচেয়ে ভালো উপায়। কুইনো আমাদের দেশে কাউন চাল নামে পরিচিত। যা সাদা চালের ভাতের মতো ক্ষতিকর নয় একেবারেই। সাধারণ সবজি বা ডিমের সাথে এক কাপ পরিমাণ কুইনো খেয়ে নিলে অনেকটা রিফ্রেশ লাগবে।
মিষ্টি আলু
কুইনো যাদের পছন্দ নয় তারা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের জন্য রাখতে পারেন মিষ্টি আলু। অসংখ্য পুষ্টি উপকারিতা সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয়ে থাকে অন্যতম স্বাস্থ্যকর একটি সবজি। বিশেষত এতে থাকা স্বাস্থ্যকর কার্বের সাথে আরও থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমূহ। যা শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে শরীরকে চাঙ্গা করতে উপকারী ভূমিকা রাখে।
বাদাম
দীর্ঘসময় শরীরচর্চায় কাটানোর পর শরীরে উপকারী ফ্যাটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উপকারী ফ্যাটের মাঝে বাদাম থাকবে সবার আগে। কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তাবাদামের মতো উপকারী প্রাকৃতিক উপাদানকে হাতের কাছে রাখলে শরীরচর্চা পরবর্তী সময়ে সহজেই খেয়ে নেওয়া যাবে। খেয়াল রাখতে হবে একবারে ৭-৮ টি বাদামের বেশি খাওয়া উচিত হবে না।