মানের বিষয়ে আপোষহীন ন্যান্দো’স
যে কোন উৎসব, আয়োজন, আড্ডা কিংবা নিছকই বাসার খাবারে থেকে ব্যতিক্রম কিছুর স্বাদ নিতে হরহামেশাই খাওয়া হয় রেস্টুরেন্টে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে রেস্টুরেন্টের মুখরোচক খাবারের আড়ালে থাকে মেয়াদোত্তীর্ন পণ্যের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনসহ নানান অনিয়ম। যা লোভনীয় খাবারকে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
ক্রেতা ও ভোক্তাদের অধিকারকে দৃঢ় করতে কাজ করা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর থেকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানের ফলে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টকেই বড় অংকের জরিমানা গুণতে হয় নিয়ম না মানার ফলে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম অবস্থানে দেখা গেলো আন্তর্জাতিক চেইন রেস্টুরেন্ট ন্যান্দো’সকে।
নভেম্বরের ১২ তারিখে ন্যান্দো’সের গুলশান শাখায় অভিযান চালিয়ে সবকিছু সঠিক অবস্থায় পাওয়ার ফলে প্রশংসিত হয় সুপরিচিত এই রেস্টুরেন্টটি। এই বিষয়ে কথা বলতে ও সরাসরি তাদের কার্যক্রম দেখার জন্য বার্তা২৪.কম থেকে যাওয়া হয় ন্যান্দো’সের এই শাখাটিতে।
সেখানে কথা হয় ন্যান্দো’সের বিজনেস হেড আরিফ মুস্তাফার সাথে। ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানের প্রসঙ্গে জানালেন, ভোক্তা অধিকার অধিদফতর থেকে বিশদ প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, যে বিষয়ে তারাও খুশি।
আরিফ বলেন, ‘তারা প্রথমেই আমাদের রান্নাঘর পরীক্ষা করেন এবং সেখানে পরীক্ষা করে সবকিছু ঠিকঠাক পান। তবে তারা সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন আমাদের ফার্স্ট এইড বক্স ও টেইক এওয়ে প্রসিডিউর দেখে। রেস্টুরেন্টে খেতে আসা কোন ভোক্তা হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়লে বা আহত হলে আমরা তাকে ঠিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারব কিনা সে বিষয়ে তারা দেখেছেন। সাথে টেইক এওয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি ছবিতে তুলে ধরার বিষয়ে প্রশংসা করেছেন।’
ন্যান্দো’স জনপ্রিয় তার ভিন্ন ও ব্যতিক্রম স্বাদের মাংসের জন্য। স্বাদের এই ভিন্নতা আসে ‘পেরি পেরি সস’ থেকে, যা তৈরি করা হয় বার্ডস আই চিলি থেকে। সেই সূত্র ধরেই আরিফ জানালেন আফতাব সাপ্লায়ার থেকে সংগ্রহ করা হয় প্রতিদিনের মুরগির মাংস এবং সবজি সংগ্রহ করা হয় স্থানীয় বাজার থেকে এবং এ দুইটি ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সতর্কতা পালন করা হয়।
স্বচ্ছতা ও সুনিয়ম সবসময় মেনে চলার উপরে তারা কতটা প্রাধান্য দেন, এমন প্রশ্নের মুখে বার্তা২৪.কমকে আরিফ বললেন, ‘আমরা ইন্টারন্যাশনাল ফ্র্যাঞ্চাইজ, তাই আমাদের কমপ্লায়েন্সের লেভেল থাকে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে। ইউরোপে যেভাবে মুরগি মাংস রান্না ও পরিবেশন করা হয়, বাংলাদেশেও শতভাগ সেভাবেই করতে হয়।
ফ্যাঞ্চাইজি অর্থাৎ সাউথ আফ্রিকা থেকে আমাদের চেকলিস্ট দেওয়া হয়। রেস্টুরেন্ট খোলা থেকে শুরু করে মুরগি কীভাবে পরিষ্কার করা হবে, কীভাবে রান্না করা হবে- প্রতিটি স্টেপের পেছনে SOP (Standard Operating Procedure) থাকে। এর কোনকিছুই আমরা লঙ্ঘন করতে পারি না।’
জানালেন তারা নিজেদের মান রক্ষা করে এ ধরনের অভিযানে সহযোগিতা করতে চান।
আরও পড়ুন: