ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা কমাবে এই কাজগুলো



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
পুরনো নিয়মে গার্গল করলে গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, ছবি: সংগৃহীত

পুরনো নিয়মে গার্গল করলে গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতকাল একা আসে না, সে সাথে নিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাও। মৌসুমি এই সমস্যায় কমবেশি ভুগতে হয় সবাইকেই। সাধারণত ঠাণ্ডার সমস্যায় ওষুধ গ্রহণেও লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয় সুস্থ হতে। এ সময়ে খুবই পরিচিত কিছু কাজ ঠাণ্ডার সমস্যাটিকে কমিয়ে আনতে পারে অনেকখানি।

বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার। যেহেতু ঠাণ্ডার সমস্যায় শরীর নাজুক হয়ে পড়ে, এই সমস্যা থেকেই দেখা দিতে পারে বড় ধরনের সমস্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিন’ এর তথ্য মতে এ সময়ে রোগপ্রতিরোধকারী খাদ্য উপাদান তথা- সাইট্রাস ফল, ব্রকলি, রসুন, আদা, কচু শাক, কাঠবাদাম, টকদই প্রভৃতি খেতে হবে। এছাড়া জিংক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের প্রতিও জোর দিতে হবে। এতে করে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঠাণ্ডার সমস্যা কমে আসার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

গার্গল করা

ঠাণ্ডার সমস্যার বিভিন্ন লক্ষণের মাঝে গলা ব্যথা অন্যতম। অনেক সময় এই গলা ব্যথা থেকেই কানে ও মাথায় ব্যথা দেখা দেয়। এ কারণে ঠাণ্ডার সমস্যা ও ব্যথাভাব তাৎক্ষণিকভাবে কমাতে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায়। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার পালমোনারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড স্লিপ স্পেশালিস্ট রাজ দাসগুপ্তা জানান, উষ্ণ লবন-পানির মিশ্রণ জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে, ব্যথা কমায় এবং আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করে। পুরনো দিনের এই কাজটি তাই আধুনিক সময়ে এসেও সমানভাবে কার্যকর ঠাণ্ডার সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে।

মুরগি ও সবজির স্যুপ খাওয়া

ঠাণ্ডা

ক্যানজাত অথবা বাইরের যেকোন স্যুপেই অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম বা চিনির উপস্থিতি থাকে। তাই ঘরেই বাচ্চা মুরগি ও মৌসুমি সবজির মিশেলে তৈরি করে নিতে হবে সাধারণ মুরগি ও সবজির স্যুপ। খুব পরিচিত এই খাবারটি একইসাথে পেট ভরা রাখবে, শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখবে, পুষ্টি সরবরাহ করবে, স্যুপের উষ্ণতা ঠাণ্ডার সমস্যা কমাতে কাজ করবে। বিশেষত ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় শরীর তুলনামূলক দুর্বল হয়ে পড়ে। যা স্যুপ পানে অনেকটাই কেটে যাবে।

ভালোমতো ঘুমানো

ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন হাঁচি-কাশি হওয়া, গলা ব্যথাভাবের মাঝে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে ওঠে। বিশেষত যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে মাথাব্যথা দেখা দেয় তাদের জন্য কষ্টটা বেড়ে যায় আরও বেশ অনেকটা। এ সময়ে দুইটি বালিশের উপর আধা শোয়া হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলে উপকার পাওয়া যাবে এবং নিঃশ্বাস সহজে নেওয়া যাবে। আরামদায়কভাবে বিছানায় শোয়ার পর অন্তত পক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমের মাধ্যমে শরীর তার প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পাবে এবং এতে করে নিজ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে।

উপকারী চা পান

ঠাণ্ডা

নিউ ইয়র্কের ‘নিউ ইয়র্ক কালিনারি মেডিসিন’ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং নেফ্রোলজি ও হাইপারটেনশন বিভাগের ফিজিশিয়ান ডারা হুয়াং জানান, ঠাণ্ডার সমস্যা কমাতে বিশ্রামের মতোই চমৎকার উপকারী আরেকটি উপায় হলো উপকারী চা পান। বেশ কিছু চা ঠাণ্ডার সমস্যা কমানোর পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। এমন একটি উপকারী চা হলো আদা-হলুদে তৈরি হারবাল চা। আদার প্রদাহবিরোধী উপাদান এবং হলুদে থাকা কারকিউমেন এ সময়ে খুব ভালো কাজ করে। চায়ে মিষ্টতা আনতে ব্যবহার করা যেতে পারে মধু, যা আরেকটি উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান।

আরও পড়ুন:

ডাক্তারের কাছে লুকাবেন না এই ৬টি বিষয়

নিত্যদিনের সাত অভ্যাসে ক্ষতি হচ্ছে মেরুদণ্ডের

   

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;