সুস্বাস্থ্যের জন্য আঁশযুক্ত এই খাবারগুলো খেতে হবে প্রতিদিন



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
আঁশযুক্ত খাবার।

আঁশযুক্ত খাবার।

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিপাক প্রক্রিয়ার জন্য ফাইবার (Fiber) তথা আঁশ দারুণ উপকারী উপাদান।

পরিচিত এই তথ্যটি অজানা থাকার কথা নয়। তবে একদম নতুন ও চমকপ্রদ একটি তথ্য জানিয়েছে ভারতের এলিট এস্থেটিক এন্ড কসমেটিক ক্লিনিকের ডাক্তার, ডায়টেশিয়ান ও পুষ্টিবিদেরা। তারা জানান, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে পরিপাক ক্রিয়ার উপর!

শুধু তাই নয়। বেশ কিছু বিশদ গবেষণা থেকে গবেষক ও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, মানুষের মগজ ও পাকস্থলীর মধ্যে সরাসরি সংযোগ আছে! তাইতো আঁশযুক্ত খাদ্য শুধুই পরিপাক ক্রিয়ার জন্য কিংবা সুস্বাস্থ্যের নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যেও সমানভাবে প্রয়োজনীয়।

আরো জানুন: জীবাণু দ্বারা প্রভাবিত হয় আমাদের আবেগ ও আচরণ!

তবে বর্তমান সময়ের বেশ কিছু ডায়েটে আঁশযুক্ত খাবারের কমতি দেখা যায়। যা প্রকৃতপক্ষেই বিপদাশঙ্কাপূর্ণ। কারণ খাদ্যের আঁশ ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনির পাথর, পিএমএস, ওবেসিটি ও ডায়বেটিস প্রতিরোধে ‘হেলথ গার্ড’ হিসেবে কাজ করে থাকে।

খাদ্য আঁশ প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে- দ্রবণীয় আঁশ ও অদ্রবণীয় আঁশ। দ্রবণীয় আঁশ পাকস্থলীতে গিয়ে জেলে রূপান্তরিত হয়। এই আঁশ পরিপাক হয় খুব ধীরে। ফলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অন্যদিকে অদ্রবণীয় আঁশে কোন পরিবর্তন হয় না। একদম অপরিবর্তিত ও অক্ষত অবস্থায় এই আঁশ বৃহদন্ত্র থেকে পরিত্যাক্ত হয়ে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে পতিত হয়।

পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে খাদ্য আঁশ কখনোই পুরোপুরিভাবে শরীরে শোষিত (Absorb) হয় না। যে কারণে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গবেষকদের মতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ২৫-৩৮ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার থাকা উচিৎ।  

কোন খাবারে কতটুকু আঁশ রয়েছে জানা না থাকলে, সঠিক পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া বেশ সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো কিছু উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত খাবারের নাম। যা একই সাথে সহজলভ্য, স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর।

শিমের বিচি

প্রোটিন ও আঁশযুক্ত দারুণ পুষ্টিকর খাবার হলো শিমের বিচি। প্রতি কাপ শিমের বিচিতে ১৬.৩ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে। ঝোল রান্না কিংবা ভর্তা হিসেবে খাওয়া যাবে শিমের বিচি।

ডাল অথবা কুইনো

প্রোটিন, আয়রন, ফলেট, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফেটের উৎস হলো বিভিন্ন প্রজাতির ডাল ও কুইনো। এক কাপ পরিমাণ ডাল কিংবা কুইনোতে পাওয়া যাবে ১৫.৬ গ্রাম আঁশ।

আরো জানুন: স্বাস্থ্যকর কুইনো-চিংড়ি সালাদ 

মটরশুঁটি

ভিটামিন সমূহ, ফলেট, ওমেগা-৩ সমূহ, প্রোটিন ও অদ্রবণীয় আঁশ থাকে মটরশুঁটিতে। প্রতি কাপ মটরশুঁটিতে ৮.৮ গ্রাম আঁশ থাকে।

ব্রকলি

ব্রকলিকে বলা হয়ে থাকে ফুলকপি ঘরানার ‘পাওয়ার-প্যাক’ সবজী। পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সাথে প্রতি কাপ ব্রকলিতে পাওয়া যাবে ৫.১ গ্রাম আঁশ।

/uploads/files/XhjcWNn1XEg4iRjobcXXxkgXpdzCKhDNoBSp2cI1.jpeg

ওটস

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের চেয়ে উপকারী খাবার আর নেই। সকালের নাস্তায় দুধের সাথে ওটস খাওয়া সবচেয়ে ভাল। এক কাপ ওটসে ৪ গ্রাম আঁশ থাকে।

তিসি

তিসিতে (Flax Seeds) প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে বেশ জনপ্রিয় একটি খাদ্য উপাদান এটি। এতে রয়েছে প্রোটিন, থায়ামিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ ও আঁশ। শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল কমাতে ও মেনোপজের উপসর্গ কমাতে দারুণ সাহায্য করে তিসি। এক টেবিল চামচ তিসিতে ৩ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে।

আরো জানুন: খাওয়ার মাঝে পানি পান: উচিৎ না অনুচিত

নাশপাতি

স্বল্প মিষ্টির এই ফলে আঁশের সঙ্গে সাথে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ। যা মগজের কোষ ও নার্ভ সমূহকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। একটি মাঝারি আকারের নাশপাতিতে ৫.৫ গ্রাম পরিমাণ আঁশ পাওয়া যাবে।

আর্টিচোকস (Artichokes)

একেবারেই নতুন ও অপরিচিত সবজী ঘরানার এই খাবারটি হলো আর্টিচোক। একে বলা হয়ে থাকে সর্বোচ্চ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। এতে আরো আছে ভিটামিন- এ, সি, ই, বি, কে, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফেট। একটি মাঝারি আকারের আর্টিচোকে ১০.৩ গ্রাম আঁশ থাকে।

/uploads/files/GO3mBiW4KDFwQ6pgq4mgk4oIRiZtrhYMnTFsF72m.jpeg

ব্রাসেলস স্প্রাউট

খুচরা বাজারে সহজলভ্য না হলেও সুপারশপ গুলোতে খুঁজলেই পাওয়া যাবে ব্রাসেলস স্প্রাউট। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় উভয় ধরণের আঁশের পাশাপাশি এতে থাকে ভিটামিন- সি, কে, বি১, বি২, বি৬, ফলেট ও ম্যাঙ্গানিজ। প্রতি কাপ ব্রাসেলস স্প্রাউটে থাকে ৪.১ গ্রাম আঁশ।

অ্যাভোকাডো

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকার জন্য অ্যাভোকাডো কোলেস্টেরলের মাত্রা ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও মজার এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট, ভিটামিন- সি, ই, বি৬, কে ও পটাসিয়াম। অর্ধেকটি কাঁচা অ্যাভোকাডো থেকে পাওয়া যাবে ৬.৭ গ্রাম আঁশ।

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;