শুষ্ক ত্বকের রাত্রিকালীন যত্ন কেমন হবে?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই সবার ত্বকে শুষ্কভাব দেখা দেয়। তবে যাদের ত্বকের ধরণ শুষ্ক হয়ে থাকে, তাদের জন্য শীতকালীন সময় বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পুরো শীতকাল জুড়েই ত্বকে শুষ্ক ত্বকের যত্নে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে শুষ্ক ত্বকের সুস্থতার বেশিরভাগ অংশই নির্ভর করে রাত্রিকালীন ত্বকের যত্নের উপর। আজকের ফিচার থেকে দেখে নিন রাত্রিকালীন শুষ্ক ত্বকের যত্নের বিশেষ পাঁচ ধাপ।

প্রথম ধাপ: ত্বকের ময়লা ও মেকআপ তোলা

সারাদিন শেষে রাতে প্রথম ধাপেই ত্বকের ময়লা ও মেকআপ তোলার কাজ করতে হবে। সাধারণ পানিতে মুখ ধোয়া হলেও ত্বকের গভীরে ময়লা রয়েই যায়। অয়েল-বেসড ক্লিনজিং ব্যবহারে শুষ্ক ত্বকের লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা বের করা সম্ভব হবে। এছাড়া অয়েল বেসড ক্লিনজিং ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার হলেও শুষ্ক হবে না।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় ধাপ: ত্বক এক্সফলিয়েট করা

এই ধাপটি সপ্তাহে দুইবারের বেশি করা যাবে না। প্রতি সপ্তাহে দুইবার এক্সফলিয়েট করাই ত্বকের জন্য উৎকৃষ্ট। এতে করে কয়েকদিন ধরে ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা ময়লা ও মরা চামড়ার আস্তরণ ভালোভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।

তৃতীয় ধাপ: ত্বককে আর্দ্র করা

আগের ধাপগুলোয় ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর এ ধাপে ত্বককে তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা দিতে হবে। বনতুবা ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ফেটে যাবে। ত্বককে আর্দ্র করার জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো হাইড্রেটিং ও মিনারেল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।

বিজ্ঞাপন
serum

চতুর্থ ধাপ: হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করা

সিরাম ব্যবহারের চল বেশ নতুন। তবে শুষ্ক ত্বকের সার্বিক পরিচর্যায় সিরাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কারণ সিরামে থাকা হাই কন্সেনট্রেশন উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ ও সজীব রাখতে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো হবে Hyaluronic Acid ও ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করা, যা ত্বককে সঠিক মাত্রায় কোমল রাখতে কাজ করে। এ কারণে ময়েশ্চারাইজা ব্যবহারের পরবর্তী ধাপে অবশ্যই মনে করে সিরাম ব্যবহার করতে হবে।

পঞ্চম ধাপ: নাইট ক্রিম ব্যবহার করা

একেবারে শেষ ধাপে ব্যবহার করতে হবে নাইট ক্রিম। বিশেষত যাদের বয়স ৩০ এর উপরে, তাদের জন্য নাইট ক্রিম ব্যবহার বিশেষ প্রয়োজন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের পিগমেন্টেশন ও মেলানিনের মাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। এক্ষেত্রে নাইট ক্রিম অনেকটা অ্যান্টি-এইজিং ক্রিমের মতো কাজ করবে।