ধূমপান পরিহারের সাত ধাপ
ধূমপানের মতো আসক্তি থেকে বের হওয়া সহজ নয় মোটেও। এ কারণেই বেশিরভাগ ধূমপায়ীরা ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে তা বাস্তবায়ন করতে পারেন না। তবে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে ধূমপানের অভ্যাসকে বাদ দিতে পারবেন যে কেউ।
সবার সুবিধার জন্য ধূমপান বাদ দেওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে জানানো হলো, কীভাবে এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হবে।
তালিকা তৈরি করুন
ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করায় মনস্থির করার পর তালিকা তৈরিতে হাত দিন। প্রথমে একটি তালিকা তৈরি করুন, ঠিক কোন কোন কারণে ধূমপান আপনার কাছে প্রিয়। এই তালিকা শেষে নতুন আরেকটি তালিকা করুন, ধূমপান কোন কোন কারণে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর। দেখবেন এই তালিকা আগের তালিকার চাইতে বড় হবে। এভাবে তালিকা তৈরির ফলে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা সম্ভব হবে ধূমপান পরিহার করার জন্য।
সিগারেট কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিন
প্রতি মাসে যদি পাঁচ প্যাকেট সিগারেট কেনা হয়, তবে ধূমপান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। পাঁচ প্যাকেটের জায়গায় তিন প্যাকেট কিনতে হবে। এইভাবে ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিয়ে এগুলো ধূমপান বাদ দেওয়া তুলনামূলক সহজ হয়।
ভালো সময় দেখে ধূমপান বাদ দিন
নিজেকে প্রস্তুত করার পর হুট করে যেকোন দিনে নয়, যেদিন মন-মেজাজ ভালো থাকবে সেদিন থেকে ধূমপান বাদ দিন। যেদিন মন-মেজাজ খারাপ থাকবে, সেদিন নয়। এর পেছনে কারণ রয়েছে। ধূমপান বিষয়ক বেশ কয়েকটি পরীক্ষামূলক পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছ, মন-মেজাজ ভালো থাকা অবস্থায় ধূমপান পরিহার করা হলে সেই চেষ্টা সফল হয়।
ধূমপান সম্পর্কিত জিনিস সরিয়ে ফেলুন
ধূমপান বাদ দেওয়ার পর প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো, ধূমপানের সাথে সম্পর্কিত ও ধূমপানের কথা মনে করায় এমন সকল জিনিস সরিয়ে ফেলতে হবে। লাইটার, অ্যাশট্রে , সিগারেট হোল্ডার, ম্যাচ- এই জিনিসগুলো যথাসম্ভব নিজের কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে।
টাকা আলাদাভাবে জমান
ধূমপানের পেছনে যে পরিমাণ টাকা খরচ হতো, তা আলাদাভাবে জমাতে হবে। এভাবে এক মাসে টাকা জমানোর পর বোঝা যাবে, প্রতি মাসে শুধু এই একটি অভ্যাসের জন্য কত টাকা খরচ করতে হত। এই বিষয়টি অনুপ্রেরণাদায়ক, ফলে ধূমপানের অভ্যাসে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ডিক্যাফে অভ্যস্ত হন
ধূমপান বাদ দেওয়ার অন্তত দুই-তিন মাস পর্যন্ত সাধারণ কফি পান করার বদলে ডিক্যাফ কফি পান করতে হবে। সাধারণ কফির ক্যাফেইন অনেক সময় ধূমপানের চাহিদা তৈরি করে।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স সাথে রাখুন
নিজের কাছে যেকোন জায়গায় সবসময় সাথে রাখা যায় এমন স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার রাখতে হবে। যখন ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে, দ্রুত সাথে থাকা স্ন্যাক্স খেয়ে নিতে হবে। এতে করে ধূমপানের ইচ্ছা অনেকটাই কমে যাবে। স্ন্যাক্স হিসেবে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, সুগার-ফ্রি চুইংগাম ভালো হবে।