ঠান্ডা থেকে যেভাবে নিরাপদে থাকবে শিশু

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুকে মধু খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন

শিশুকে মধু খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন

শুধু শীতকালীন সময়েই নয়, পুরো বছর জুড়েই শিশুদের মাঝে ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও রোগের প্রকোপ দেখা যায়। তবে স্বাভাবিকভাবেই শীতকালে এর প্রভাব বেড়ে যায় বেশ অনেকখানি।

নিজের খেয়াল বড়রা রাখতে জানলেও, ছোটদের দেখভালের জন্য বড়দের সতর্কতা ও সাবধানী হতে হয়। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, সামনে বাড়তে পারে শীতের প্রকোপ। এ সময়ে শিশুদের কীভাবে ঠান্ডার হাত থেকে নিরাপদে রাখবেন সেটাই তুলে ধরা হলো।

বিজ্ঞাপন

শিশুর হাত পরিষ্কার রাখুন

hands

আবহাওয়াজনিত কারণে যতটা না ঠান্ডার সমস্যা দেখা দেয়, হাত অপরিষ্কার থাকার ফলে তার চাইতে বেশি অসুস্থতায় ভুগতে হয় শিশুদের। তাই হাতের সাহায্যে খাবার খাওয়ার আগে যেন অবশ্যই হাত ধুয়ে নেওয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে শিশুদের হাত যেন সবসময় পরিষ্কার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা।

শেখাতে হবে হাঁচি দেওয়ার ধরণ

হাঁচি দেওয়ার সঠিক পদ্ধতিটি শুধু শিশুরা নয়, অনেক প্রাপ্তবয়স্করাও জানেন না। অথচ একটি হাঁচি থেকেই অসুস্থ হতে পারে একসাথে কয়েকজন। এমনকি নিজের হাঁচি থেকেও জীবাণু ঘুরে আসার দরুন থেকে যেতে পারে অসুস্থতা। তাই এই বিষয়টি জেনে রাখা খুবই জরুরি।

বিজ্ঞাপন

শিশুদের শেখাতে হবে- প্রতিবার হাঁচি দেওয়ার সময় হাতের তালুয় মুখ ঢেকে নয়, হাত ভাঁজ করে কনুইয়ের ভাজের অংশে মুখ রেখে হাঁচি দেওয়া। এতে করে ঠান্ডার জীবাণু ছড়ানোর কোন সম্ভাবনা থাকবে না এবং হাত পরিষ্কার থাকবে। শুধু হাঁচি নয়, কাশির সময়েও একই নিয়মে কাশতে হবে।

মধু খাওয়ান প্রতিদিন

এক বছরের উপরে সকল শিশুই মধু খেতে পারবে। উপকারী প্রাকৃতিক এই উপাদানটিকে শিশুদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে অংশ করে নিতে পারলে ঠান্ডার সমস্যাকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। তবে মধু একবারে খুব বেশি খাওয়ানো যাবে না। প্রতিদিন এক চা চামচ পরিমাণ বিশুদ্ধ মধুই যথেষ্ট। শুধু মধু খেতে না চাইলে দুধ বা সুজির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

অভ্যস্ত করুন স্বাস্থ্যকর খাবারে

food

মুখরোচক ও রঙিন খাবারের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই শিশুরা আকৃষ্ট হবে। তবে ছোট থেকেই তাদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অভ্যস্ততা গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবারে অসুস্থতা বেড়ে যায়, কারণ এ ধরনের খাবারগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। বিশেষত শীতকালীন সময়ে এ বিষয়ে বেশি জোর দিতে হবে।

সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন

শিশুরা সবসময় ছুটোছুটির মাঝে থাকে বলে গরম কাপড় পরতে চায় না। এ সময়েই ঠান্ডা বাঁধিয়ে বসে তারা। তাই গরম কাপড় পরতে না চাইলেও বাইরের আবহাওয়া বুঝে গরম কাপড় পরাতে হবে। বিশেষ করে পা মোজা ও কান টুপি পরিয়ে রাখতে হবে বিকেলের পর থেকে। তবে যেহেতু শিশুদের শরীরের তাপ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে, তাই খেয়াল রাখতে হবে শরীর যেন ঘেমে না যায়। নতুবা ঘাম বসেও ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নিয়মিত গোসল করান

আবহাওয়া বেশি ঠান্ডা হলে অনেকে শিশুরাই গোসল করতে চায় না। কিন্তু তাদের এই আবদার না শুনে প্রতিদিন অবশ্যই গরম পানি মিশ্রিত কুসুম গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। গোসলের মাধ্যমে পুরো শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়, এতে করে ছোঁয়াচে ধরনের অসুখে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।  গোসলের আগে মাথার তালু, হাত-পায়ের তালু ও বুকে সরিষা তেল মালিশ করে নিলে গোসলের কারণে ঠান্ডা লাগার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।