প্রাকৃতিক ক্লিনজারে হোক ত্বক পরিষ্কার
সাধারণ সাবান বা ফেসওয়াশের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করা হলেও, ত্বকের গভীরে ময়লা ঠিকই রয়ে যায়। এই ময়লা দীর্ঘদিন জমে থাকার ফলস্বরূপ দেখা দেয় ব্রণ কিংবা ব্ল্যাক হেডসের প্রাদুর্ভাব। এ কারণেই নিয়মিত ক্লিনজার ব্যবহার জরুরি।
নামজাদা ব্র্যান্ডের ক্লিনজার অবশ্যই উপকারী। তবে ঘরেও যে পরিচিত ও সহজলভ্য উপাদান দিয়ে ক্লিনজার তৈরি করা সম্ভব সেটা কি জানা আছে? প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এমন তিনটি চমৎকার ক্লিনজার সম্পর্কে জেনে নিন আজকের ফিচার থেকে।
বেসন ও হলুদ গুঁড়া
সৌন্দর্যচর্চায় বেসনের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যেমন ত্বকের প্রদাহকে কমাতে কাজ করে, তেমনইভাবে হলুদ গুঁড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এছাড়া ত্বকের গভীর থেকে পরিষ্কার করতেও এই দুইটি উপাদান অনবদ্য।
ব্যবহারের জন্য দুই টেবিল চামচ বেসন, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও দুই টেবিল চামচ দুধ একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। সকল উপাদান মিশে ঘন পেস্ট তৈরি হলে এটা মুখ, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
শসা ও টকদই
টকদই ত্বকে প্রশান্তি নিয়ে আসে, অন্যদিকে শসার রস ও এতে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, দাগ ও ত্বকের শুষ্কতাকে দূর করতে কাজ করে। ফলে এই দুইটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে দারুণ ফল পাওয়া যাবে। ব্যবহারের জন্য একটি ফ্রেশ শসা ও ২ টেবিল চামচ টকদই প্রয়োজন হবে। শসাটিকে ব্লেন্ড করে এর সাথে টকদই মেশাতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রণটি মুখ ও গলার আশেপাশের অংশে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
মধু ও দুধ
ত্বকের জন্য আলাদাভাবে উপকারিতা বহন করা দুইটি উপাদান যখন একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হবে, স্বাভাবিকভাবেই তখন উপকারিতাও পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ। বিশেষত মধু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ধর্ম ত্বককে যেমন ভেতর থেকে সুস্থতা প্রদান করবে, একইভাবে ত্বককে আর্দ্রতাপুর্ণ রাখতে কাজ করবে দুধ। ব্যবহারের জন্য ২ চা চামচ মধুতে তিন চা চামচ দুধ মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি মুখ, গলা, ঘাড় এমনকি হাতেও ব্যবহার করা যাবে। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শুকিয়ে আসলে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।