সুগার ক্রেভিং কমাতে ৬ কৌশল
মিষ্টি ঘরানার খাবার মানেই চিনির উপস্থিতি। আর কে না জানে চিনিকে সরাসরি বলা হচ্ছে সাদা বিষ। স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর এই উপাদানটি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা হলেও, বাধ সাধে ‘সুইট ক্রেভিং’ এর যন্ত্রণা। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবল ইচ্ছাকেই বলা হয় সুইট ক্রেভিং।
অনেকের ক্ষেত্রে এই সুইট ক্রেভিং এতোই তীব্র হয় যে, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতেই হয়। তবে এই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি রয়েছে নিজের হাতেই।
খাদ্যাভ্যাসে ব্যালেন্স নিয়ে আসুন
প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ব্যালেন্স আনতে পারলে অনেকাংশে সুইট ক্রেভিংকে দূরে রাখা সম্ভব হয়। শরীরে পুষ্টির অভাব থেকেও অনেক সময় মিষ্টি খাবারের চাহিদা দেখা দেয়। খাদ্যাভ্যাসকে ব্যালেন্সড রাখার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য এবং সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। সাথে রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
স্ন্যাক্স খাওয়ার পরিকল্পনা করুন
শুধু সকালে, দুপুরে ও রাতের খাবার খাওয়াই যথেষ্ট হয় না অনেক সময়। ফলে ক্ষুধাভাব দেখা দেয়, হাবিজাবি অথবা মিষ্টি খাবার খাওয়ার দিকে ঝোঁক তৈরি হয়। যা থেকে সহজেই সুইট ক্রেভিং দেখা দেয়। তাই প্রতিদিনের মিল প্ল্যান তৈরি করার সময় স্ন্যাক্স খাওয়ার প্ল্যানও রাখতে হবে। কী ধরনের স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স রাখা যেতে পারে সেটা ঠিক করে রাখলে সুবিধা হবে।
স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার রাখুন হাতের কাছে
স্বাস্থ্যকর মিষ্টি স্বাদের খাবারের মাঝে প্রথমেই থাকবে বিভিন্ন ধরনের ফল। আপেল, আঙুর, কলা জাতীয় সহজলভ্য ফলগুলো সুইট ক্রেভিংকে অনেকাংশে কমিয়ে আনে। ফলের পাশাপাশি চিনিবিহীন পিনাট বাটার, খেজুর ও কিশমিশও সমানভাবে কাজ করবে সুইট ক্রেভিং কমাতে।
খাবার সময় ঠিক করে নিন
প্রতিদিন খাবার খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। এতে করে শরীর ও ক্ষুধাভাব একটি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে নিয়ন্ত্রিতভাবে দেখা দেবে। এর ফলে হুটহাট সুইট ক্রেভিং দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। এছাড়া খেয়াল করে দেখতে হবে দিনের মাঝে কোন কোন সময়ে সুইট ক্রেভিং দেখা দেয়। সে সকল সময়ে খাওয়ার মতো স্বাস্থ্যকর খাবার হাতের কাছে রাখতে হবে।
মসলাযুক্ত খাবারে ঝুঁকুন
খাদ্যাভ্যাসে মসলাযুক্ত সুস্বাদু খাবার যত বেশি রাখা যাবে মিষ্টি খাবারের প্রতি আগ্রহ ততই সরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ভিন্ন ভিন্ন মসলার বৈচিত্রপূর্ণ স্বাদ টেস্টবাডকে মিষ্টি খাবারের আকর্ষণ থেকে দূরে রাখতে কাজ করবে।
রেসিপির নতুনত্বে কাজ করুন
শুধু চিনি দিয়েই নয়, চিনি ব্যতীতও মিষ্টি খাবার তৈরি করা সম্ভব। মধু কিংবা খেজুরের পেস্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাবার তৈরি করে হাতের কাছে রাখলে, হুটহাট সুইট ক্রেভিংয়ের সময় চিন্তায় থাকতে হবে না।